Sanjay Karmakar


  · hag011g4t2Sp o1nsugg6hdgrh3s05  ·


বন্দি মোরা পেলাম ছাড়া জেলের জীবন শেষ
পাক্কা সাত বছর ধরে আর্জি করে পেশ।
ছেড়েও দিল পয়সা দিলো ঘানি টানার দাম
ও দা কত কিপটে রে জেল-অনেক দিছে কম।
যাবি কোথায় বল তো দাদা বউ গুলা কী আছে
তিনটা তো দিলি ই মেরে পাঁচটা যদি যাচে!
যাচলে দাদা ঠাণ্ডা থাকিস বুদ্ধি রাখিস ঘটে
চেষ্টা আমি করবো অনেক তাইতে যদি পটে।
ও দা খিদা পাইছে রে খুব মাংস রুটি খাই
রুগ্‌ণ দেহ পা চলে না বল যদি তাও পাই।
ওই তো দোকান অর্ডার দিয়া মাংস রুটি চান
যাচ্চলে ভাই কান্ড অবাক হিসির বিজ্ঞাপন!
নুসি তো দা মরছে কবেই নুসির হিসির খেলা
নকল হিসি নুসির বাড়া-কামায় কে এই বেলা?
চল দা বাড়ি গিয়াই দেখি বউগুলারে ধরি
পটলে ও দাদা দু-পাঁচ দিন দিবই গড়াগড়ি।
আরে দাদা এই কী দেখি মহল দেখি খাড়া!
ঢুকিস নারে রক্ষী যদি করেই মোদের তাড়া?
কী চান কন রক্ষী বলে চাওয়ার কী আর আছে
বউ গুলা যে তোমার আমার বললে রাগে পাছে!
কইতে কথা ম্যাডাম এল ঢাকার মাইয়া যেটা
জেল হতে ছাড় পাইছি শুনেই আনছে শলার ঝ্যাটা।
তা, যা হোক দয়াই বুঝি মহল থেকে দূরে
পুরান যেটা টিনের যে ঘর সেথায় দিল ছুড়ে।
যাক গা বাবা স্থান তো হলো পুরান ঘরেই থাকি
তোমার আমার প্রথম যে বউ এই ঘরেতেই একি!


(বিয়ে করা বউ ঘরে থাকতেও আরো দু চার টা বউ ঘরে আনলে এমনই দশা হয়)


Sanjay Karmakar


  · F1t3eb723rp7uioaryr6u 12 aut3 3:i09 tPlM  ·
নুসির হিসি নবম পর্ব


কেনই সুগার ডিজিজ ধরে বড়দা তুমি খোঁজটা করো
তেমন কিছুই নয় গো কঠিন নেট খুলে দা সার্চ মারো।
রাজভোগ আর মালাইকারী আমি না হয় খাওয়াই তারে
চাইপে ধরে মুখটা নুসির; রস এর গোলা দেই ভরে।
কই রে সতীন গন্ডা খানেক কাজের কাজ কর তো কিছু!
নিয়ায় বাজার বস্তা চিনির পাঁচ কেজি দিস লিটার পিছু।
চোস্ত কড়া মিঠাই বানা নুসির বাড়ার সুগার তরে
ধরলে সুগার নুসির হিসি উড়বে টাকা মোদের ঘরে।
তিন সতীনের নাই কো সে মন বিয়াই মশাই তাদের লোক
মান করে তাই মুখটি বুঁজে তার তরে খুব করছে শোক।
বাকি পাঁচের প্যাচ প্যাচালো নাই তো মান শোকের বালাই
কোমর কষে রাঁধছে তাদের, খাইছে যে ভোজ নানা খালাই।
ও দা কিছু পাইলে নাকি নেটের দেশে বেড়ায় ঘুরে
চিনি দিলে সারবো কী কাজ; নয় তো দাদা নলেন গুড়ে?
চল দা দুজন এবার আসল, কাজটা করি পাক হয়েছে
জোর করে ভোজ যেই না নুসি, খেয়েই রে তার কাম সেরেছে।
তিন সতীনে দৌড়ে আসে নুসি ছিল তাদের পরান
খুন্তি হাতা তোমার মাথা মারতে থাকে ধরাম ধরাম।
জোর করে ভোজ চিনির গোলা খেলে কী আর বিড়াল বাঁচে
দুষছো তুমি আমায় দাদা আমি দুষি বাঁচার আশে।
আশা কী আর রইলো কিছু, ও দা তুমি খেপলে কেনো!
এমন পিটান দিচ্ছ কষে যাবেই সতীন মরেই জেনো।
তিন সতীনের লাশ পড়ে যায় পুলিশ এলো বাজায় হুটার
আর নাই কাম ওরে দাদা, আর নাই আশ জিন্দা বাঁচার।
জেলের সেলে কাটছি জাবর নুসির সাথে ধন ও গেলো
সতীন আটের প্রেমের আঁচল; নুসির বিনাই ছিলাম ভালো।


(মানুষের স্বভাব তিল কে তাল করা। কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। সামান্য তুচ্ছ ঘটনা থেকে ঝামেলার শুরু হয় তারপর স্বভাব গুণে একের পর এক অশান্তি ঝগড়া ঝাটি মারপিট , একের থেকে আর এক উৎপন্ন হতে থাকে। স্বীয় স্বার্থসিদ্ধি আর ধনের লোভে একে অন্যকে চুষতে থাকে সে কারো প্রাণটাই না চলে যাক। ঝামেলা একসময় চরমে পৌছুলে হাতাহাতি মারামারি থেকে খুনোখুনি রক্তাক্ত হয় পরিবেশ অনেক সময়ই। কত শত সংসার ধ্বংস হয়ে যায় তুচ্ছ ব্যাপারকে কেন্দ্র করে সিরিজের পর সিরিজ অশান্তি মারপিট আর খুনোখুনিতে। আসরে নিজের কবিতার বিশ্লেষণের সুজোগ নাই তাই সমগ্র কবিতাটিতে কী বোঝাতে চেয়েছি অল্প কথায় বলে গেলাম। মরনোত্তর আরও দু একটি পর্ব হতেই পারে তবে তা হবে একমাত্র আপনারা চাইলেই।)


Sanjay Karmakar (যারা আগের ভাগ পাঠ করেন নি তাদের জন্য প্রথম থেকে অষ্টম  ভাগ দিলাম)
  · Feh0btruaoruuycm 83 ast 4:colf6d28 PM  ·
রম্য রচনা, "নুসির হিসি"
- সঞ্জয় কর্মকার


নুসির রোগের প্রকোপ সুগার মিষ্টি খেতে মানা
রাজভোগে নাই দৃষ্টি প্রকট দিলেই তিনি কানা।
নানা সাহেব আদর করে চাখতে দিলেন তায়
অমনি নুসি রাগ করে তা, অবাক চোখে চায়।
দু চার ধমক মিঁয়াও মিঁয়াও সাহেব তারে দিলো
এসব বালাই ছাড়ো মিয়া ঢাকাই না হয় চলো।
ঢাকায় গিয়া করবো বিয়া লকর পকর ঝপ
পড়লে ধরা পদ্মা নদী না হয় দিলাম ঝাপ।
আমি যাবো তুমি যাবে আর গো নিব নুসি
ঝাপ ও ঝপাং হবেই রহিত করলে নুসি হিসি।
এক শিশি তার হাকিম খাবে এক শিশি তার বাপ
এক শিশি তার পুলিশ খেলেই সব গুনাহ মাফ।
নুসি হলেন দাদার বিড়াল হিসি যে তার মিঠা
এক শিশি ফ্রি দিবো তোমায় কাটবে তুমি ফিতা।


রম্য রচনা,"নুসির হিসি-দ্বিতীয় ভাগ"
- সঞ্জয় কর্মকার
শ.ম. শহীদ


পরের খবর কই?
আশায় বসে রই।


Sanjay Karmakar
  · 19g6S hou2nhg8urscld  ·
"নুসির হিসি"


তারপরে!
তারপরে দুল দুলিয়ে কোমর তাইড়ে ছুটে বউ
যেই না এলো হটাৎ আলো বাঁধলো গন্ডগোল।
আপনি এদিক আমি ওদিক যেই ছুটেছি বাড়া
হটাৎ নুসি দুই পা তুলে বললো ওরে ভেড়া।
ভিরমি খাব ভাবছি মনে মা কালি রূপ পিছে
তার পিছনে তোমার দাদা কাঁকড়া যেমন বিছে।  
বিষের ভাপে বারুদ জ্বালা হাপুস নয়ন দাদা
আমার পিছে জিন্দা কালি তোমার পিছেও ধাঁধা।
ধপ করে যেই শয্যা নিছি উপুত হয়ে কাত
হুমড়ি খেয়ে বউ ধরেছে কুড়াল নিয়ে হাত।
যেই উঠেছে খর্গ খাড়া জিভ টা করে বার
সি সি করে নুসি তোমার করলো হিসি তার।
তার বলে কী! জিবের ডগায় যেই পড়েছে ঝোল
খর্গ ছেড়ে জয় মা কালি শয্যা আমার কোল।
তোমার বাড়া জিন্দা খাড়া তাই না দাদা দেখে
কি'রম সে ঝোল নুসির হিসি দেখলো শুধু চেখে।
যেই চেখেছে নুসির হিসি হাসির তুফান উড়ে
জড়িয়ে তোমায় তোমার কালি অনেক আদর করে।  
দুই দুগুনি চার জোড়া বউ; এলাম মোরা নিয়ে
ধুম ধামে ঘর বউ'রা মোদের করায় দিলো বিয়ে।


Sanjay Karmakar
  · 51p1ona42cg hrh0rm7h61gds  ·
"নুসির হিসি-তিন"


নুসির হিসির খবর দ্রুত দেশ বিদেশে ছায়
ডিমান্ড অনেক সব দেশেরই দাদায় দাদা চায়।
নুসির আরক কতই হবে দু-চার শিশি দিনে
বেচতে চলি যাচাই করে ঝাপায় সবাই কিনে।
বউ গুলা সব যত্ন নুসির; নিচ্ছে দিন আর রাতে
মাছ আর মিট আনলে কিনে আর জোটেনা পাতে।
রাতেও দাদা হচ্ছি হাঁদা বউ যে নুসির সাথ
লিঙ টা মোদের কী আর বলি চলছে শুধুই হাত।
কী আর করা ঘাটের মরা, তুমি আর হই আমি
আমরা হলাম দামড়া গরু নুসিই এখন দামি।
গঙ্গা ফরিং ধরতে চলো ওঝা টোঝা খুঁজো
ওঝার নিদান করতে বিধান লাগবে উটের কুঁজ ও।
চলেন দাদা কিংবা হাঁদা মরু ভূমিই চলি
থাকতে কেনো বউ গুলা সব; হবোই পাঁঠার বলি।


Sanjay Karmakar
  · 19 hrs  ·
"নুসির হিসি-চার"


হায় রে মরু পাতলা সরু লম্বা মোটা সব ই
দু চোখ মিলায় দেখতে চলি শুধুই উটের ছবি।
উট কী দিবে ও দা শুধাও ঊট কী বুঝে বাত
করবে কী আর চাইলে সে কুঁজ হবেই কী আর কাত।
কাটতে হবে কাচি কী গো আনছো দাদা সাথে
ও্ঝার নিদান বুঝবে কী উট আলগা মুলাকাতে।
আনছো নাকি দু চার শিশি নুসির হিসি ব্যাগে
খেলেই সে মুত নুসির বাড়া মানবে কূঁজের ত্যাগে।
দাও দিকিনি বিকিকিনি করতে চলি উট
হায় রে দাদা খেপলো খেয়ে বলছে কেনো ফুট!
উটের মাঝি ডালায় সাজি দিচ্ছে কেনেই গাল
এর চেয়ে ভালো গরম গরম বিবির মুখের শাল।
শাল ই হোক শালাই হোক চল দা বাড়ির পান
ডিগবাজি খাই চল রে দাদা গাইতে নুসির গান।


Sanjay Karmakar
  · F6et5bruarpy 18 can9t51 5i8:06i ePMad3  ·
"নুসির হিসি-পাঁচ"


নুসির হিসি বিগড়ে গেছে সুগার কী ভাই কমলো তার
হই হই রব উঠলো সে ঘর ডাকতে চলি ডাক্তার।
মাপলো সুগার হায় রে সবার চক্ষু হলো চড়কগাছ
বউ গুলা সব ডুকরে কাঁদে খাওয়াও আরো মিট আর মাছ!
দাদা দুষে দুই সতীনে চুন পোড়া মুখ খামচে ধরে
ছাড়াই আমি সে পথ গামী ও রে দাদা যাবেই মরে।
কালচে মুখে বদ্যি বলে ও ভাই এত দুঃখ ক্যান
তোদের নুসি সুস্থ হলো অসুখ হলেই খুশি জ্যান!
ভাগ রে শালা বদ্যি কালা আপনি তো রাগ অগ্নি সম
দু চার ঘা আমিও লাগাই বদ্যি এমন বললো কেনো?
চার জোড়া বউ আপনি আমি দাওয়ায় বসে বুদ্ধি খুঁজি
বুঝবে কে আর নুসির বাড়া ওটাই যে ভাই মস্ত পুঁজি।
দুই সতীনে ঝগড়া শুরু তাই তে কী আর মনটা ভরে
মুখ হতে হাত ডান্ডা লাঠি এসব চালায় রাগের তরে।
আর সতীনে বাকি যে দুই তারাও আবার কম কীসে
আপনি তাদের যে মার দিলেন সেই রাগেতে ভাঙছে সীসে।
জানলা যেনো খেলনা তাদের বেলনা দিয়ে দিলাম বাড়ি
হ্যাচরে টেনে চুলের মুঠি হ্যাঁচকা টানে ছিড়লো শাড়ি।
টপ আর শায়া আট সতীনে নয় রে ভায়া আটশো তিন
চললো সে রণ ঘন্টা ছয়েক কী আর পেলাম ঘোড়ার ডিম।
হটাত সে সিন বদলে গেলো নুসি সে তার ঘুরছে মাথা
কাত হলো ঘাড় লেপটে মাটি চারটিখানি কথার কথা!
সুগার কমের ডিজিজ নাকি, দুই সতীনে দৌড়ে যায়
আর সতীনে বাকি দুয়ে জল নিয়ে ভাই মাথায় ছিটায়।
(এত্ত হাসি ভালো নয় আবার কালকে)


Sanjay Karmakar
  · Februt9am4mr7y7t 2m59 at 1cog09:537ecd1 hPM  ·
"নুসির হিসি-ছয়"


দু চার ডজন বাচ্চা বুড়া জুটলো এদিক ওদিক হতে
নুসির ম্যাজিক মরবে নাকি, ও রে ও ভাই তার ওই শোকে।
কারুর মুখে মুচকি হাসি ফিসফিসিয়ে এ ওর কানে
বলছে শালা ঠিক হয়েছে দৃষ্টি ছিলো আমার ধনে।
হটাৎ আঙুল ফুললে ও দা কারুর কী আর সহ্য হয়
তোমার আমার হলেই ক্ষতি মন যে তাদের উড়তে রয়।
দূর হ শালা কুত্তা গুলা তুমি তো রাগ ফুলিয়ে পেশি
সইতে নারি আমিও ও দা হয় রে শুরু ঘুষাঘুশি।
যেই হয়েছে লড়াই শুরু এ ওর  ঘাড়ে মারছে কষে
কে যেনো দা ফোন লাগিয়ে পুলিশ ডাকে রুদ্র রোষে।
আসলো পুলিশ হলাম ফুলিস ডান্টা মারে বেদম জোরে
মানুষ না কী দানব রে দা মরছি দুজন মারের তোড়ে।
বউ গুলা সব যাদের হৃদয় কঠিন ছিল মোদের তরে
ও দা ওরা দেখছো কেমন পা পুলিশের জড়িয়ে ধরে।
চার সতীনে বলছে কেঁদে আসলো কেনো মোদের ঘরে
আর যে বাকি চার সতীনে পুলিশ সনে ঝগড়া করে।
যা হোক দাদা ছাড়লো মোদের রুদ্র রূপী পুলিশ শেষে
মানলো রে হার সে রূপ তাদের চার সতীনের বীরের বেশে।


Sanjay Karmakar
  · FSepbrlu0a4r44oy msor95 aft 6:9081 PM4  ·
"নুসির হিসি-সাত"


ছাড়লো বটে বট পাকুরের চার সতীনের ইচ্ছে ভাই
নুসির নসিব করতে রে ঠিক ওই দু-গাছের বিয়ে লাগাই।
লাগামছাড়া ইচ্ছে বড় হয় কী এমন তাই কী ঘটে
সতীন আটের জবাব সটান কিছু ঘটে তার যা রটে।
বটে, বলেই দাদা কেনই তুমি মারলে থাবড় তার গালে
কী আর এমন খরচা হবে দু-বট পাকুর বিয়ে দিলে!
যা হোক বাড়া মিঠে কড়া, শেষমেশ ঠিক আসলো পুরুত
আসলো কাপড় ফল ফলাদি মন্ত্র সাধে ফুরৎ ফুরুৎ।
বরযাত্রী আট সতীনের বাবা কাকা মামা দাদা
ও দা মাথা ঠান্ডা রেখো আসছে উড়ে গাদা গাদা।
গাধার দলে সদলবলে দুই চারি বাস আসলো চলে
কী ঢং বাবা রঙ্গ কী তার বউ গুলা সব পড়ছে ঢলে।
বিয়ের ধাঁধা হলাম গাধা গন্ডা খানিক খরচা তার
তাই বলে কী ও দা তুমি করবে বাসর ছারখার!
বেয়াই মশাই যেমন কষাই ঢাক আর ঢোল ও বায়না তার
তাই বলে কী মারবে দাদা হ্যাদান প্যাদান দিবেন মার।  
সহ্য কেন করবে ওরা ওদের তো দা দলটা ভারি
তুমি গোয়ার পটলা আমি কী আর বলো করতে পারি?
হবার যা ভাই সেটাই হলো ডজন ডজন খেলাম মার
সটান এলাম বিয়ের আসর, হাসপাতালের বেডের পর।


(চিন্তার কিছু নাই। আর দু-তিন দিনের মধ্যেই নুসিকে মেরে ফেলে দিয়ে এ গল্প শেষ করে দিব আর সেদিন এ গল্পের সারমর্ম ও ছোট আকার প্রকাশ দিব। আমার আর দাদার পরিণতি কী দেখাবো আপাতত তা নিয়েই চিন্তা)


Sanjay Karmakar
  · Feb2rua90tpr6ony 10 lh7aotr 2a0:4c5 PMi6  ·
"নুসির হিসি-আট"


তারপরে দা ব্যথায় মরি, বউ পাঁচে তে করছে সেবা
বট আর পাকুর মাথায় রে দা; খাচ্ছি জুস আর খাচ্ছি মেওবা।
নুসির খবর কেমন আছে চিন্তা খানিক গুলায় পেটে
দাবাই কী আর আছে কোনও সুগার হবে খেলেই বেটে।
দু-দশ দিন বেডের পরে; উঠতে গেলেই ব্যথা ধরে
সতীন সবে কামাই দিছে বোধ হয় নুসির সেবার তরে।
হপ্তা দুয়েক কেটেই গেলো; চলতে পা হয় টলোমলো
করলি কী দা চড় আর থাবড়; লাথ মারা কী ছিলোই ভালো?
বিয়াই মশায় হুল টা কষায় দিলোই দাদা দাবার চালে
গোয়ারতুমির জবাব কেমন তোর আর দা মোর কপালে!
আর কী ঠাঁই হবেই রে দা, আট সতীনের আস্তাবলে
চল দেখি যাই কেমন তরা খবর সে নেই তলে তলে।
এই রে বাড়া করছে তাড়া তিন সতীনের একটি দলে
পাঁচ সতীনের দলটা হেসে মোদের দিকের পড়লো ঢলে।
যাক গে বাবা রেহাই পেলাম আস্তাবলে পেলাম ঠাঁই
যা হোক এবার চেষ্টা শুরু নুসির আবার সুগার চাই।


(চিন্তার কিসু নাই আগামীকাল ই নুসিকে মেরে ফেলে গল্পের ইতি টেনে দিব প্রিয় বন্ধুরা। দয়া কইরে আর একদিন সহ্য করেন প্লিজ।)


Sanjay Karmakar


  · F1t3eb723rp7uioaryr6u 12 aut3 3:i09 tPlM  ·
নুসির হিসি নবম পর্ব


কেনই সুগার ডিজিজ ধরে বড়দা তুমি খোঁজটা করো
তেমন কিছুই নয় গো কঠিন নেট খুলে দা সার্চ মারো।
রাজভোগ আর মালাইকারী আমি না হয় খাওয়াই তারে
চাইপে ধরে মুখটা নুসির; রস এর গোলা দেই ভরে।
কই রে সতীন গন্ডা খানেক কাজের কাজ কর তো কিছু!
নিয়ায় বাজার বস্তা চিনির পাঁচ কেজি দিস লিটার পিছু।
চোস্ত কড়া মিঠাই বানা নুসির বাড়ার সুগার তরে
ধরলে সুগার নুসির হিসি উড়বে টাকা মোদের ঘরে।
তিন সতীনের নাই কো সে মন বিয়াই মশাই তাদের লোক
মান করে তাই মুখটি বুঁজে তার তরে খুব করছে শোক।
বাকি পাঁচের প্যাচ প্যাচালো নাই তো মান শোকের বালাই
কোমর কষে রাঁধছে তাদের, খাইছে যে ভোজ নানা খালাই।
ও দা কিছু পাইলে নাকি নেটের দেশে বেড়ায় ঘুরে
চিনি দিলে সারবো কী কাজ; নয় তো দাদা নলেন গুড়ে?
চল দা দুজন এবার আসল, কাজটা করি পাক হয়েছে
জোর করে ভোজ যেই না নুসি, খেয়েই রে তার কাম সেরেছে।
তিন সতীনে দৌড়ে আসে নুসি ছিল তাদের পরান
খুন্তি হাতা তোমার মাথা মারতে থাকে ধরাম ধরাম।
জোর করে ভোজ চিনির গোলা খেলে কী আর বিড়াল বাঁচে
দুষছো তুমি আমায় দাদা আমি দুষি বাঁচার আশে।
আশা কী আর রইলো কিছু, ও দা তুমি খেপলে কেনো!
এমন পিটান দিচ্ছ কষে যাবেই সতীন মরেই জেনো।
তিন সতীনের লাশ পড়ে যায় পুলিশ এলো বাজায় হুটার
আর নাই কাম ওরে দাদা, আর নাই আশ জিন্দা বাঁচার।
জেলের সেলে কাটছি জাবর নুসির সাথে ধন ও গেলো
সতীন আটের প্রেমের আঁচল; নুসির বিনাই ছিলাম ভালো।


(মানুষের স্বভাব তিল কে তাল করা। কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। সামান্য তুচ্ছ ঘটনা থেকে ঝামেলার শুরু হয় তারপর স্বভাব গুণে একের পর এক অশান্তি ঝগড়া ঝাটি মারপিট , একের থেকে আর এক উৎপন্ন হতে থাকে। স্বীয় স্বার্থসিদ্ধি আর ধনের লোভে একে অন্যকে চুষতে থাকে সে কারো প্রাণটাই না চলে যাক। ঝামেলা একসময় চরমে পৌছুলে হাতাহাতি মারামারি থেকে খুনোখুনি রক্তাক্ত হয় পরিবেশ অনেক সময়ই। কত শত সংসার ধ্বংস হয়ে যায় তুচ্ছ ব্যাপারকে কেন্দ্র করে সিরিজের পর সিরিজ অশান্তি মারপিট আর খুনোখুনিতে। আসরে নিজের কবিতার বিশ্লেষণের সুজোগ নাই তাই সমগ্র কবিতাটিতে কী বোঝাতে চেয়েছি অল্প কথায় বলে গেলাম। মরনোত্তর আরও দু একটি পর্ব হতেই পারে তবে তা হবে একমাত্র আপনারা চাইলেই।)