অশরীরী,
তুমি এসেছিলে একাল আমায়
কহিতে কী মনো ব্যথা??
জীবনো খাদেরি কিনারে নমনে-
বিষময়তার সে ক্ষণ-
গাহিতে সে ক্ষণ গাথা!!
অশরীরী,
তুমি এসেছিলে একাল আমায়
কহিতে কী মনো ব্যথা!!!


জেনেছি চিনেছি স্বপনে তোমারে-
নিঃস্বার দেহ তব;
হেরিনু স্মৃতিতে মলিনতা নাই
শোকাহত কূল শোক রব-ও।
  
ভীত নহে মন ভেবেছি সে ক্ষণ-
নির্ভীতে এ মন কবি
গহীনে গহনে এ মন পেতেছি
সে ক্ষণ রচিতে ছবি।


অমূল্য ধন কোন সে বেদন
বুঝি নাই তার সার
অশরীরী তুমি বিবেচক নহে
বোধে নাই মূল্য তার।


কূমন্ত্রনায় যদি আপনায়
ব্যথা দেয় যদি প্রাণে
অশরীরী শোনো বিরূপতা শ্যেন
কেনো হে নিলে নির্জনে??


বধিবারে হারে জীবনের ধারে
ধরণীর মোহ ছাড়ি
গেলে কী মিলিবে স্বর্গ নরক-
কহো আজি অশরীরী!


অশরীরী,
তুমি এসেছিলে একাল আমায়
কহিতে কী মনো ব্যথা??
জীবনো খাদেরি কিনারে নমনে-
বিষময়তার সে ক্ষণ-
গাহিতে সে ক্ষণ গাথা!!
অশরীরী,
তুমি এসেছিলে একাল আমায়
কহিতে কী মনো ব্যথা!!!


(গত ৯ ডিসেম্বর রাতে মহারাজ তৈলক্যনাথ চক্রবর্তী এন্ড মর্টার যতীন দাস মেমোরিয়াল কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কবিতা উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে পৌঁছেছিলাম ১০ তারিখ সকাল ১০ টায়। সেখানে সে হলে আমার থাকবার ব্যবস্থা তারা করে দিলেও সেখানে থাকি নাই আমি কারণ তাতে আমার রাতের তাতে বিঘ্ন ঘটবে , সলিল সমাধি। সেকথা আহ্বায়ক কবি মাননীয় স্যার কবি শ্রী গৌতম রায়ের কাছে আমি ব্যক্ত করতে তিনিও পরিস্থিতির বিচারে আমাকে আমার নিজের খরচায় হোটেলে থাকতে সায় দিতে বাধ্য হন। টালিগঞ্জ অশোকতলাতে তেমন নিবাস নাই আর কাছে বলতে হাজরা মোর কালিঘাটে তিনি আর আমি থাকবার হোটেল খুঁজতে থাকি আর অনেক খোঁজের পর একটা হোটেল পেয়েও যাই। হোটেলের যে কোনো রুমের দর ১২০০ টাকা। রিকোয়েস্ট করতে তিনি তিনতলায় একটি রুম ৬০০ টাকায় দিতে রাজি হলেন। সে রুম পরিত্যক্ত একটি রুমের মত দেখেই গৌতমদা অনেক আপত্তি করলেন আর তিনতলার আর যে রুম রয়েছে তা সবই খালি। আমি ভয়ডর হীন গৌতমদাকে আশ্বস্ত করি রাতে তো শুধু ঘুমাবো আর কী!! এতেই অনেক। তবে রাতে অনেক কিছুই ঘটেছিল তা কাব্যের মাধ্যমেই লিখলাম। ১১ তারিখে রাতে অনুষ্ঠান শেষে সে হোটেলেই রাত কাটাতে এসেছিলাম তবে ছোট্ট একটা কথা বলেছিলাম রুমটা কিন্তু এক্সচেঞ্জ করে দেবেন। বিনা বাক্যব্যয় কতৃপক্ষ আমাকে ১২০০ টাকার রুম পুরানা ভাড়া ৬০০ টাকায় দিয়ে দেয়। তবে সেদিন অশরীরী র দর্শন পাইনি রাতে। চেষ্টা করলাম লিখে ঘটনাটি স্মরণীয় করে রাখলাম তাও সেটা প্রিয় কবি গৌতম রায় সে রাতের অভিজ্ঞতা শুনে আমাকে রেকোয়েস্ট করেছিল ঘরে ফিরেই যেন এ ব্যাপারটা কবিতায় লিখে প্রকাশ দেই তাই।)