মন ভালো নেই আজ কিছুদিন হলো, লেখনী মুক্ত স্বাধীন নেই  যে আর। কবি কী অনাকাঙ্ক্ষিত শৃঙ্খলে আবদ্ধ হলে লিখতে পারে!! আর তো আর সে শৃঙ্খল যদি হয় হয় শুধুমাত্র বৈরিতার বাতাবরণে প্রতিস্থাপিত, সৌহার্দের বাতাবরণে বুকে ছুরি মারবার মতন বর্বরতার কৌশলের অবতারণা মাত্র।


কবি লিখতে পারে শুধুমাত্র উন্মুক্ত স্বাধীনতার আস্বাদনে। বিদ্রোহী কবি কী মেনেছিলেন ভারত মায়ের বিশৃঙ্খলতা বাঁধন? ভানুকর বিসর্জন দেন নি ব্রিটিশের দেওয়া তকমা-নাইট উপাধি।


অশ্লীল লেখা বা কপি করে লেখা বা হেইট স্পিচ যুক্ত কবিতা আসর থেকে বর্জনীয় তবে এর বাহির কবিকে আঘাত করা কী সমুচিত!!


বহু বহু কবিই একই পাতায় একের অধিক কবিতা পোষ্ট করে থাকেন। একজন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আজ অবধি আমি বা অন্য কোনও রিভিউয়ার বা মোডারেটার সে লেখা ব্যান করবার আবেদন করে নাই। তাহলে শুধুমাত্র সঞ্জয় কর্মকার এর জন্য কেন এই যুক্তি দেখানো হবে তার কবিতা সকল ব্যান করবার জন্য আর নিয়মমাফিক তার লেখা যুগল কবিতাগুলি ব্যান হতে থাকবে দিনের পর দিন। সকালে কম্পিউটার অন করে কবিতার আসরে ঢুকলেই তাকে লাল কালিতে লেখা একটা বা দুটা যুগল কবিতা ব্যান হয়েছে তা দেখতে হবে আর তা মুখ বুঁজে সহ্য করে নিতে হবে।


কেউ কী বলতে পারবেন যে সকল কবির লেখার বিপরীতে সঞ্জয় কর্মকার যুগল কবিতা লিখেছেন আর যুগল হিসাবে আসরে তা প্রকাশ দিয়েছেন একজন কবি ও সে কারণে সঞ্জয় কর্মকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন? অনেক লেখাতেই সে সকল কবির সন্তুষ্টিপূর্বক মন্তব্য অবধি রয়েছে।


এ আসর আমার প্রাণ, কেউ কল্পনা করতে পারবে না যে কবিতার জন্য কতটা স্যাক্রিফাইস আমাকে করতে হয়েছে বা করেছি।


স্রেফ এই কারণে সাংঘাতিক মানসিক অবসাদে ভুগছি আজকাল। কবিতা পাঠ করতেও আর ইচ্ছা করে না আর লিখতেও।


জানি না আবার কবিতার জগতে ফিরে আসতে পারবো কিনা। প্রত্যহ ভাবি এসব ভুলে গিয়ে পড়বো লিখবো তবে মন আর সারা দেয় না।


আমি জানি আমার এ লেখাও তারা ব্যান করে দিতে পারে আলোচনা বিভাগ থেকে তবুও বলে যাই এ লেখা কিন্তু কবি ও কবিতা সম্বন্ধিত ছিল। কবিতা ছাড়াও কবিতা ও কবি সম্বন্ধিত অনেক বিষয় আলোচনা বিভাগের নিয়ম অনুসারেই এখানে প্রকাশযোগ্য।