আড্ডাতে লেখা আলোচনা বিভাগে প্রবন্ধকারে প্রকাশিত ব্যন হওয়া আসরে কবিতার আকারে সে লেখা প্রকাশ দিলাম। আশা করি এ বিভাগে এ লেখা নিয়ম কানুনের জাতাকলে পরবে না। কবিতার নাম ছিল "হিসেব করুন" এখানে পাল্টে দিলাম। শিরোনাম "আমি বলতে চাই"


আমি বলতে চাই।


৭০ বৎসর আগে আগষ্ট মাসের ১৫ তারিখ রাত ১২ টা-
অন্তদ্যয় হলো বৃটিশ রাজ-
উত্তলিত হলো স্বাধীন ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকা-
সৃষ্টি হলো ইতিহাস।
সে ইতিহাস যা বহন করে চলে সত্য অহিংসা সবৈব সন্দেশ।
না। কোন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ নয়-
জননী মাতৃভূমির প্রতি প্রেম ভালোবাসা আর
অহিংসার মূর্ত প্রতীক মহাত্মা গান্ধি-
সারাদেশ জুরে সে অহিংসার ব্রতে ব্রতি
লক্ষ লক্ষ অযুত নিযুত
অহিংস সেনা-
স্বাভিমান বুকে ধরে-চলে লবন হ্রদ ডান্ডি অভিযান।
কম্পিত শঙ্কিত ইংরেজ জাতি দুরুদুরু বক্ষে
প্রতক্ষ্য করেছিল অধিকারের
স্বাভিমানতা।
জালিয়নাবাগ রক্তাক্ত হয়েছিল শত শত বীর শহীদের রক্তে।
না-থামানো যায়নি সে অহিংস
আন্দোলন।
তরুন রক্তে দাবানল জ্বলেছিল পরাধীনতার বিদ্বেষ বিষ-
হৃদয় আন্দোলনে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল-
বাদল বিনয় দিনেশ-
চলে রাইটার্স অভিযান-
আত্মবির্ষজনে ভীতির সঞ্চার প্রথিত করেছিল-
ইংরেজ প্রাণে প্রাণে।
সুভাস চন্দ্র বসু দায়িত্ব্য নিয়েছিলেন বিপ্লবি
রাসবিহারি বোসের হাতে গড়া আজাদ হিন্দ বাহিনীর-
সে আর এক ইতিহাস।
মহাপ্রাণ ক্ষুদিরাম স্বয়ং বড়লাটে্র গাড়ি ওড়াতে ছুড়েছিল সে বোম-
সৌভাগ্য যদিও বা সাথ পেয়েছিল বড়লাট
কিন্তু সে বোম ইংরেজ ললাটে লিখে দিয়েছিল-
ভারত ছাড়বার সন্ধিক্ষণ।
হাসতে হাসতে গলায় দড়ি নিয়েছিল সে।
দুচোখে জলের ধারা
বয়ে গেল।
পেরেছি কি আমরা তাদের সে দানের কিঞ্চিৎ পরিমান মূল্য দিতে?
পেরেছি কি শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে
অর্জিত স্বাধীনতার মান রাখতে।
প্রতি বৎছর এই দিনটাতে আমরা মেতে উঠি আনন্দ উৎসবে-
স্বাধীনতার আনন্দ।
কোথায় সেই স্বাধীনতার আনন্দ!
লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি বেকার যুবক-
কর্মহীন স্বপ্নহীন-হীন্যমনোতায়
ভুগতে থাকা।
রন্ধে রন্ধে ভ্রষ্টাচার।একটা সরকারি চাকরি পেতে
লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়
আমলাকে।
শত শত কোটি কোটি টাকার সর্বস্তরে কেলেঙ্কারি-
রাজনৈতিক ছায়ার আচ্ছাদনে চলতে থাকে
সারদা সাহারা রোজভ্যালি-
গরীব মানুষকে আকাশ কুসুম গল্প শুনিয়ে-
রক্ত শুষে নেবার
কারবার।
অপদার্থ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্য গালভরা
মনভোলানো তর্জমাতে মেতে ওঠে
আর দেশের সম্পদ হরন করে তা
সুইসব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখে-
নিলজ্ব্য বেহারার
দল।
আর সেই সব কালো হাতেই উড্ডিন হয়
স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা
বছরের পর বছর।
মা বোনেদের ইজ্জৎ ভূলুন্ঠিত-
প্রকাশ্যে ট্রামে বাসে রাস্তায় সংঘটিত হয়
ইজ্জৎ হরনের আদিম
খেলা।
নির্বিকার পুলিশ প্রশাসন বিচার ব্যবস্থা।
বিচারের নামে বছরের পর বছর
চলতে থাকে প্রহসন।
ওয়েলফেয়ার কান্ট্রি এখন আর নয় ভারতবর্ষ।
সাবসিডি আর দেওয়া চলে না।
হিসেব করুন কোথায় কিভাবে পেলেন
স্বাধীনতা।
এই কি সেই দেশ যে দেশ দেখতে চেয়েছিল
লক্ষ লক্ষ নিবেদিত প্রাণ স্বাধীনতা
সংগ্রামীরা।
হিসেব করুন।


প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকারের আজ প্রকাশিত দেশ মাতা-বন্দনা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                           বন্দনা গাহি হে ভূম মাতা জন্মভূমি-
                           শস্য শ্যমল কনক বরন-কৃপার
                                       সিন্ধু তুমি।


                      তোমার আশীষ চরণ কমল-স্নিগ্ধ তরুছায়া-
                               বন উপবন সাগর নদী-
                                আকাশ আলোকরা।


                     ঝর্ণাধারা পাহাড় কোমল-শিখর আকাশ ছোয়া-
                              কুয়াসাতে অরপ রতন-
                                  ধুপছায়েতে গড়া।


                 আকাশ তোমার শীর চুমে যায়-সাগর লহর তোলে-
                        বিহঙ্গো সুর ধরতে অলি-গুঞ্জনেতে
                                    ফুলের কোলে।


                 তোমার রুপের দিব্যচ্ছটা-নাই উপমা ধরতে ভূবন-
                        বন্দনাতে মনটি মাতি-সপ্তসুরে
                                    বাতাস গগন।


                   রত্নগর্ভা মা যে তুমি-দিলেন শত সোনার প্রাণ-
                            দেশের তরে শহীদ হলেন-
                           দীপ্তি শৌয্য সদাই তাদের-
                               বুকের মাঝে মা
                                     অম্লান।


             আজকে তোমার আকাশ বায়ু-ভষ্টাচারী শোষন তলে-
                     ভয় নেই মা করবো কোতল-বীর সন্তান-
                                 জয় মা বলে।


প্রিয়কবি শরীফ আহমাদ মহাশয়ের প্রকাশিত টানাটানি কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                      সংসারে সং সেজে রোজ হানাহানি টানাটানি-
                            এদিক মেটে ওদিক ছোটে-
                                  কলুর বলদ ঘুড়াই
                                        ঘানি।
                  
                      ঘ্যান ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান প্যান-
                         দিন কিবা রাত নাকে ছড়ি-
                          হেপাক গেলে হোপাক টানে-
                                   আমায় দড়ি
                                     টানাটানি।


                 মধ্যিখানে ল্যাজে গোবর-গোবরা মনে আপিস ছুটি-
                          ট্রাম বাসেতে আপিসেতে-
                               বলে শরীর খারাপ
                                      নাকি?


                     মরার ওপর খাঁরার ঘা-হাপিত্যিস কাম কি নাই-
                             মন না শরীর-জানতে কেমন-
                                  কোন ঠেকাতে বলবো
                                      ভাই।


                     গরীব যারা চোলাই মারে-ধনী সে তো পাইট-
                         মধ্যিখানে আমরা হলেম-করতে
                                   এমন ফাইট।


                    মাস পয়লা বেতনখানা ছেঁচরে টেনে নেয়-
                            হুকুমদারি সাতকথারই-মাসটা
                                     চলে যায়।


                   তোমরা কবি আমায় বলো-শান্তি কোথায় পাই-
                            উড়ু উড়ু মন অনেক ব্যথা-কেমন
                                     করে সই।



স্বাধীনতার ১২টা বাজানো কবিতা


মদনা আজ হইলো গিয়া অই স্বাধীনতা দিবস-
আচ্ছা ক দেহিনি
স্বাধীনতা কারে কয়।
কত্তা স্বাধীনতা হইলো গা
ইংরেজদের ভাগানোর লগে লড়াই।
তা বটে ত ইংরেজ তো গেল অহন।
কন কি কত্তা অবাধ স্বাধীনতা-
চুরি কন রাহাজানী ছেনতাই মাইয়া বউগুলার রাস্তাঘাটে-
অই হইলো গা।
কারো কিসু কহনের অধিকার নাই।
এই হইলো গা স্বাধীনতা। বুঝলেন কত্তা।
হেলায় স্বাধীনতা সে তো বোঝন গেল
কিন্তু আইজকার দিনডায় কি করিতে হয়।
কত্তা আপনি হইলেন গিয়া কবি-
একখান কাব্য লিখেন-
যেই যেই গুলান কইলাম
এক|টু গুছাইয়া ল্যেইখ্যা ফ্যালান।
রাত ১২ টা উত্তরে উত্তরে দিয়া দিবেন-
কাম ফিনিস।