শ.ম. শহীদ
ভাই রে ভাই উপায় নাই
পড়ছি ফাঁদে আটকা,
খাচ্ছি এখন পঁচা- বাসি
জুটছে না তো টাটকা।
টাটকা সবই থাকছে এখন
ধরা-ছোঁয়ার বাইরে-
যতোই হাঁপাই, যতোই লাফাই
নাগাল তো না পাইরে।
উপর ওঠার পাচ্ছি না পথ
পাচ্ছি নীচে নামার-
দাম বেড়েছে সব জিনিসের
দাম বাড়েনি আমার।
তাই তো পঁচা-বাসি খেয়েই
টিকে থাকার চেষ্টা,
টাটকা খাবো আগামীকাল-
সজীব হলে দেশটা।
সঞ্জয় কর্মকার
হায় রে মিয়া, কস্স টা কী, ধরতে চলো টাকি,
ছিপ লিও আর টোপর নিও, সঙ্গে নিও কাকি।
ধরবা তুমি বড়শি ফেলায়, নাড়ান চাড়ান মিয়া,
কাকির কোঁচড় ভইরা যাবে, দু-দশ কেজি দিয়া।
মিয়া বিবি দুজন হবি, মাছের বাজার মেছো,
মাছ কিনতে দৌড়ে ছুটে, আসবে পাড়ার মেসো।
তিড়িং বিড়িং টাটকা সে মাছ, বিকবে বহুত দরে,
মাছ বেইচা কাকির কোঁচড়, ট্যাহায় যাবে ভরে।
ভোর বেলাতে, তাল তলাতে, বসে যেখান হাট,
মাছ গুলারে লইয়া মিয়া, বসবি লিয়া খাট।
খাবি দাবি, নদিই যাবি, নিত্য দিনের খেলা,
দু চার সাল, খাটলে ট্যাহা, হবেই রে তোর মেলা।
বুদ্ধি দিলাম পাইসা বিনাই, তোর বাড়িতে গেলে,
দু-চার খান তিড়িং বিড়িং, দেখবি যেনো মেলে।
তদ্দিনে তোর, মহল খাসা, বানায় নিবি মিয়া,
ঢাকায় গিয়া, বাংলা মেয়ে, কইরে নিব বিয়া।
বিয়া হবো তোর ঐ ভবন, গাইবি মিয়া সুরে,
চিন্তা কিসুই নাই রে মিয়া, চইলা যাবো দূরে।
নীচের থিকে উপুর দিকে, দিলাম তোরে টান,
দেখিস মিয়া, সমঝে চলিস, রাখিস আমার মান।
শ.ম. শহীদ
আমি-
ইঁদুর-বিড়াল মারি না!
বাঘ-ভাল্লুক সামনে প'লে
যাই যে তারে দু'পায় দলে
খুব সহজে ছাড়ি না!!
এটাও ঠিক- কারো জীবন
অকারণে কাড়ি না!
বলছি যেটা ঝাড়ি না!
এই বিষয়ে- তর্কে গেলে
দেই জ্ঞানীকে দূরে ঠেলে,
খুব সহজে হারি না।
আমি-
আসলে কিছুই পারি না
গল্পে সবার আগে থাকি
কাজে দু'হাত নাড়ি না।।
সঞ্জয় কর্মকার
নাড়ান চাড়ান মিয়া, বাংলা মেয়ের বিয়া,
শুইনা কী তোর চোখ কপালে, উড়াল দিলি গিয়া।
গ্যাসিস তা জা, ধরবো তাজা
সে মাছ আমি খাবোই ভাজা,
তুই না দিলি, দুঃখ ভুলি, ধরবো রে জাল দিয়া।