(আজ যার যার কমেন্ট বক্সে কবিতাতে উত্তর দিয়েছি সব মিলিয়ে আমার আজকের কবিতা "উত্তরে উত্তরে" )


(প্রিয়কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার আজ লেখা কবিতা "সঠিক সময়" কবিতাতে উত্তর দিতে গিয়ে কমেন্ট বক্সে লেখা)


                         “প্রত্যয়”


।       এমনি করে এগিয়ে গিয়ে-জীবন তরণীতে-
                 করবো না ভয় বিঘ্ন বাধায়-
                     অশনি সঙ্কেতে-


        পঙ্কে যদি রুধলো তরী-জীবন সীমানাতে-
                 কান্না পথে ধরবো না রে-
                  সাহস সবল শক্ত বেঁধে।


          কর্ম ধারের সেই অসিতে-পঙ্ক বাঁধা পার-
                  জীবন ধারার স্রোতটি ধরে-
                        হাসবো বারে বার।


       এই ধরাতে দুদিন প্রাণে -করবো না প্রাণ দীন-
                  পাখির চোখে ভরটি করে-
                        সদাই সাবলীল।


          দুর্গামায়ের বলটি বুকে-অসুর নিধন তরে-
                 শক্ত চাবুক মারবো কষে-
                        মহিষ অসুর ঘরে।


        জীবন সফল হবেই যে মোর-শক্তি বুকে বল-
                 থাকবো আমি অমর হয়ে-
                        ধরায় চিরকাল।


           অসুর নিধন প্রানটি মেতে-পঙ্ক করি দূর-
                 এই ধরাতে-মিলিয়ে দেবো-
                      প্রাণ আলো রোদ্দুর।


          সেই আলোকে স্বপ্ন মেখে নবীন প্রানের গতি-
                    হিংসা দ্বেশ অনেক দুরে-
                       সুস্থ প্রানের মতি।


        হাসবে ধরা ভালবাসায়-প্রেম ভাব সম্পৃতি-
                    স্বপ্ন এঁকে চোখের তারায়-
                     গাইবে মধুর সুধা গীতি।


(আমার লেখা কবিতা "কর্মফল" কবিতাতে প্রিয়কবি এম ওয়াসিক আলি মহাশয়ের মন্তব্যের উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা)


                           “অনুভব”


             কি হবে জীবনেতে-বৃথাই দ্বেষ আর দ্বন্দেতে-
                         একদিন যেতে হবে-
                         ভবনদী কিনারেতে-


               সেইখানে প্রনোপ্রভা মিলে যাবে দীপ্তিতে-
                        তবু কেন রোষানল-
                       ঘৃনাদল দিকে দিকে।


                 মধুকরা ডাক দেয়-প্রজাপতি ওড়ে-
                         রামধনু রং ঢালে-
                         আকাশের ঘরে।


                  গিরিরাজ সৌভিত-বরফেরি চাদরেতে-
                           চাঁদ তারা রঙ্গিত-
                        রাত ঘেরা আকাশেতে।


              দিকে দিকে সৌরভে-আলো রং মন মাতে-
                        কি হবেটা জীবনেতে-
                      হিংসা আর দ্বেষে মেতে।


              কি হবে জীবনেতে-বৃথাই দ্বেষ আর দ্বন্দেতে-
                       একদিন যেতে হবে-
                       ভবনদী কিনারেতে।


(প্রিয়কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের লেখা আজকের কবিতা "নামাঙ্কণ" এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা)


                              “মজুরি”


         মজুরি প্রতি পলে প্রতি পলে-শত শত কোটি মেলে-
                         হৃদয়ের কিনারায়।


                অন্তর ভেসে যায়-নীলাকাশে উড়ে যায়-
                 সুখোবারি প্রাণে ঝরে-ভাবনাতে অন্তরে-
                            মিলন ঈশ্বরে।


              নাই ছাপা হোক লেখা-নাই হোক বড় পাতা-
                        নাই পাই শত টাকা-
                         নাই অভিমান কিছু।


               কবিতাতে মন ভরে-লিখে পড়ি বারে বারে-
                     অন্তরে বারি ঝরে-নয়নেতে জল-
                       কবিতা-মন প্রাণ সম্বল।


               মজুরিতে মজুরিতে-ভাল লাগে ধরা দিতে-
                           কবিতাতে প্রাণ।


          মজুরি প্রতি পলে প্রতি পলে-শত শত কোটি মেলে-
                          হৃদয়ের কিনারায়।


(প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের লেখা আজকের কবিতা "অবাধ্য কলম (ব্যঙ্গ) কবিতাতে উত্তর দিতে গিয়ে কমেন্ট বক্সে লেখা)


                                 “যন্ত্রণা”


                 কবির কলম-মানে না কোনও বারণ-
                        থামিবার কোন মতি নাই-
                     আকাশ বাতাস এই ধরণীতলে-
                         কলমোরসভাতি পাই।


                 সেই রসে বুঁদ হই-যেন নেশা অন্তর-
                          চা বিড়ি সিগারেটে-
                       কাটে নাকো-সেই ঘোর।


                   কাজকাম গোল্লায়-রসভাতি মন-
                       ভাবি রোজ রাতে প্রাতে-
                          ছেড়ে দেবো পেন-


                  পেন বলে পাবিনা-হেসে লুটুপুটি-
                         আমি হই খেলাঘর-
                            পেন চাল ঘুঁটি।


                 মন চাই মদিনা-পেন বলে জানিনা-
                       হায়! ভাবি কবি হওয়া-
                           কত বড় যন্ত্রণা।


(আমার লেখা কবিতা "কর্মফল" কবিতাতে প্রিয়কবি স্বপন গায়েন(উদয়ন কবি) মহাশয়ের মন্তব্যের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা)


                                ঈশ্বরে মিলন


                 কবিতা আমার জান-কবিতা আমার প্রাণ-
                          সেই গানে মেতে প্রাণ-
                           অবিরাম অভিরাম-


                রুপ শোভা মন মেতে-দিকে দিকে চৌদিকে-
                         হাওয়া জল বারিসনে-
                            নয়নেতে বরিষণে-


                 কভু আনন্দ হাসিগানে-উল্লাসে ধরা তানে-
                      সুর লয় তান সনে-বিহঙ্গ ডানা মিলে-
                              ঈশ্বরে মিলন।


                   উলুদ্দ্ধনি রব ওঠে-চৌদিকে দিকে দিকে
                       রবিরং বন্যাতে-সুরভিত সুপ্রভাতে-
                           রাতে ভরা জ্যোৎনায়।


                    ভাদ্রের ভরা নদী-চোরাস্রোত দুর্গতি-
                            ভাঙ্গা পার আঙ্গিনাতে-
                             বানভাসি চোখে রেখে-
                               কবিতার গল্প।


                           খুশি মন আলো ধায়-
                               ঈশ্বর ধরা দেয়-
                             কবিতায় কবিতায়।


(প্রিয়কবি রণজিৎ মাইতির আজকের কবিতা অন্তিমের পথে যেতে যেতে উত্তর দিতে গিয়ে কমেন্ট বক্সে লেখা)


                            “ভবহাট”


                    সুখ দুঃখ প্রেম কলহ ভক্তি  ভাব –
                           এসব দিয়েই গড়া-
                            এ ভবের হাট-


                    দুঃখ হেথা ছোবল মারে অর্হনিশি-
                        দাম্পতে কোলাহল ওঠে-
                            হেথা বেদনার-
                               বাস্পরাশী-


                   হেথা দলনো মলনো ছলনো কৌশল-
                         এ হাটে স্বপ্ন ছোটে-
                            জীবনো গরল।


               প্রেম প্রবাহিত হেথা দহনো প্রগলনে-
                        শান্ত সমাহিত সমীপে-
                          মন্দিরো প্রাঙ্গনে।


            থেথা বেদনার রাশি ঢেউ-অব্যক্ত কান্না বুকে-
                 বয়ে চলে বয়ে চলে-অতপর ক্ষীন হয়-
                     প্রানেরো কিনারেতে।


(প্রিয়কবি অনিমেষ দন্ডপাট  মহাশয়ের আজকের কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখাঃ

                          "বিদায়"


             বিদায় বিদায় বিদায়-বিভিদ প্রকার হয়-
                   সব বিদায়ই মর্মদায়ী-
                      হৃদয় ছুঁয়ে যায়।


         কারুর কারুর বিদায় আবার-শান্তি আনে মনে-
               যেমন লাদেন লুকিয়েছিলেন-
                    পাহাড় গুহা বনে।


            চিন্তামনি হরির কাকা-যেইদিন হন গত-
                   হাঁফ ছেরে বাঁচলো সবাই-
                    তিনি জ্বালাচ্ছিলেন শত।


         একদিন নয় দুইদিন নয় পাক্কা বছর সাত-
                 বিছানাতেই ছিলেন তিনি-
                    ভেঙ্গে কোমর হার।


        হাঁগামোতা ঐখানেতেই-খাওয়া দাওয়া তাও-
               সঙ্গে আবার প্যাকনা ছিল-
                   খ্যাচরা মেজাজ ভাও।


          অভিসারের গোপন প্রেমে-বিদায় সকরুণ-
                  পাথরচাপা বুকের মাঝে-
                      কান্না নিদারুন।


        গোপন প্রেমিক বিদায় নিলে-স্বামীর মন হয় চাঙ্গা-
                 আপন লোকের বিদায়কালে-
                     কান্না আকাশ ভাঙ্গা।


             ভাইয়া তুমি কি ধরনের বিদায়  চাও-
                      খোলসা যদি  করো-
                   মনমাতানো নজরকাড়া-
                       বিধান পেতে-
                            পার।