আড্ডায় লেখা
প্রধানমন্ত্রী (৮)


মাননীয় সকল ক্যাবিনেট মন্ত্রীগন সচিবসকল
বিদেশে গচ্ছিত বিপুল পরিমান কালো টাকা
দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।  
বিদেশমন্ত্রী  যে সকল নিরপেক্ষ দেশে
কালো টাকা গচ্ছিত রয়েছে তাদের সুচিত করুন
আগামি তিন মাসের মধ্যে
আমানতকারিদের নাম ও টাকার রাশি
ভারত সরকারকে জানাতে হবে এবং
এ টাকা ফেরৎ আনবার প্রক্রিয়ায়
পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে
অন্যথায় সে সকল দেশের সঙ্গে সমস্ত রকম
কূটনৈতিক অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীগন সচিবসকল
এ প্রক্রিয়া সফলভাবে কিভাবে সম্পন্ন করা যেতে পারে
অর্থনীতিবিদগনের সাথে আলাপ আলোচনা করে
রূপরেখা তৈরি করুন। সহজ সরল শর্ত রাখুন।
"যেমন সরকারকে ৩০% ট্যাক্স দিয়ে যারা
তাদের বিদেশের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকা
দেশে ফিরিয়ে আনবেন তাদের বাকি ৭০% টাকা
বৈধ হিসেবে গন্য হবে।
তাদের নামধামও গোপন রাখা হবে।
এ ৭০% টাকার কোন হিসেব দিতে হবে না"
এ টাকা ভারতে ফিরিয়ে আনতে পারলে
ভারতীয় অর্থনৈতিক বুনিয়াদ
অনেক অনেক শক্তিশালী হবে।
কাজেই সহজ সরল শর্ত দিয়ে এ টাকা প্রথমে
এ দেশে ফিরিয়ে আনবার চেষ্টা করা হবে।
তাতে কাজ না হলে
কঠিন কঠোর ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হতে হবে।
এ অপারেশানের নাম হবে "ওর্য়াম আপ ইন্ডিয়া"
ধন্যবাদ। জয়হিন্দ বন্দেমাতরম।


গতকাল প্রকাশিত আমার ইংরেজিতে লেখা কবিতা প্রেয়ার কবিতার বাংলা অনুবাদ আজ করেছি।


প্রার্থনা।


আজ সমগ্র পৃথিবী অভিশাপে পূর্ণ-
রক্তাক্ত প্রবাহে মানবতা দূরে চলে গেছে।
বাতাসে সে ক্রন্দন ধ্বনি-স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার।
দানবতার গহীন গহন চরম ঘৃনার নিঃশ্বাসে
চারিদিকে ধ্বংস আর ধ্বংস।
অন্ধকার হয়ে যাওয়া চাঁদের মতো মানবতা-
পাপ দ্বারা পরিপূর্ণ।
মুর্হুমুহু গর্জন আর ঝলকানি আকাশ ও বাতাসে।
শান্তি তার শৈশবকালে উপনীত।
বিভিন্ন ধর্মের মাঝে-
মানবতা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে।
কোনোও ধর্মগ্রন্থ সহিংসার কথা বলে না বরং
শান্তি ও সাম্যই সারকথা।
হে প্রভু দূর্দশাগ্রস্থ জীবনগুলিতে দেবত্ব বর্ষণ করুন।
দানব হৃদয় ও মননে স্নেহ ভালোবাসা বর্ষণ করুন।
বর্ষণ করুন বর্ষণ করুন।
হে প্রভু মানবতা রক্ষা করুন।


প্রিয়কবি গো অল ওয়ান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত প্রশ্ন কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বিস্ময়


কি বিস্ময় কি বিস্ময় এ ধরা-
কি বিস্ময় অনন্ত প্রশ্নের যতি ধরা-
কি বিস্ময় অনন্ত অসীম-কি বিস্ময় ধরা এ সসীম।
কে দিলো কে দিল-কে রচিলো অম্বর-
প্রেম ভালোবাসা প্রীতি-দিগম্বর।
গণিতে গণিতে মাপা মাপা সুর-বিশ্ব বসুন্ধরা-
আকাশ বাতাস সাগর লহর-মনোমুগ্ধকরা।
কে রচিলো ঝিকিমিকি-রাত আকাশে লক্ষ তারা-
কে রচিলো রবির কিরণ-অরুণ মুগ্ধকরা।
আমি কবি কেন হই-মন ভাব দিল কে-
রচনাতে সৃষ্টিতে-কেন মোর মন মাতে।
কেন হই দিশেহারা-পরিবার পরিজন-
কেনো কেনো কেনো-রতি ভরা মতি প্রাণ।
প্রশ্নের প্রতিঘাত-নিয়তির বিধানেতে-
খুজে পেতে হাতাপাতি-খুজে ফিরি জীবনেতে।


প্রিয়কবি ফয়েজ উল্লাহ রবি (পারিজাত) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত নকল-দুই কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হাঁদারাম


নকল নকল নকল গানে-
নাকান চোবন খাচ্ছে রে মন-
পদ্য নকল গদ্য নকল-
নকল সব শয়তান।
ধর্ম নকল গুরু নকল-
দিচ্ছে গুরু মাফি-
জলজ্যান্ত ধর্ষণেতে
দিচ্ছে রে ভাই ফাঁকি।
ফাঁক ফোঁকরে ইঁদুরছানা-
বাদুর ঝোলা ঝুলছিল-
মহিলারাই ঝুল ঝুল ঝুল
তারি মাঝে দুলছিলো।
হাজার হাজার বুদ্ধু গাধা-
হদ্দ চরম হাঁদারাম-
দে মার দে সব পাঁঠাকে-
শালা ভুলায় দিবি বাপের নাম।


প্রিয়কবি বৈশালী মহাশয়ার আজ প্রকাশিত যেন মনে হয় তবুও কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


যেন মনে হয়


যেন মনে হয়-আজকে আগুন জ্বলছে ধরা
যেন মনে হয়-মানবতার হচ্ছে বলি-দিকে বিদিকে লহুঝড়া
যেন মনে হয়-ঘুমায় জাতি জাত বেজাতের নৃত্য তাই
যেন মনে হয়-আঘাত শত-পদাঘাতেই তাদের জাগাই।
যেন মনে হয়-আকাশ নীলে মিলতে ডানা
যেন মনে হয়-শুধোই দেবে-দিলেন কেনো হিংসেপনা।
যেন মনে হয়-অস্ত্র ধরি ঝাপ দিয়ে রণ
যেন মনে হয়-ওই সে বন দাবানলের জ্বালাই অনল।
যেন মনে হয়-সেই আগুনে রাবণ পুড়াই
যেন মনে হয়-ভষ্ম মেখে রাবণ বধের মনটি জুড়াই।
যেন মনে হয়-কৃপান হাতে শিক্ষা দেই
যেন মনে হয়-রক্তগঙ্গা এই ধরাতে বইয়ে দেই।