প্রিয়কবি ফাইছুল আলম নাছিম মহাশয়ের "আমি আকাশ ধরবো বলে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আধুনিক গদ্যছন্দ প্রয়াস ২৫
ভুলভুলি


এই আকাশ ধরতে গিয়েই-সাগরের জলে ভরে যায় জীবনটা
তেপান্তরের মাঠের ওই পারে খেলা করে সুখ।
দোয়েল কোয়েল খেলা করছিল বাড়ির চালেই-
মন যে চায় ময়ুরীর পেখম তোলা নৃত্য।
বনবাদার চষে ফেলে যাও পাওয়া গেল-
মেঘ কই। বিনা মেঘে তো ময়ুরী পেখম মেলে না।
নৃত্য তো দুর অস্ত।
অতঃ মেঘের পানে চেয়ে বসে রই-
দিন যায় রাত যায়-ধু ধু রোদ্দুর।
জীবনটা বড়ই কঠিন-বেদনাময়।
একতারাতে বাউল গান গেয়ে ওঠে-
প্রজাপতির ডানায় ডানায়-
শতেক রং এর ফুলঝুড়ি-
ফেলে কেন ধরতে গেলি-
আকাশের ওই ভুলভুলি?


প্রিয়কবি মণি জুয়েল মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হারিয়ে যেতে মন করছে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা গান।


                 হারিয়ে যেতে আকাশ নীলে-ভাসিয়ে দিলেম মনটি আমার-
                                 দুর অজানায় প্রকাশ ধারায়-
                                    গগন তলে দীপ্তি নীলে………
                                       দুর অজানায়।


                           ভাসিয়ে দিলেম মনটি……..আমার।


                       আজকে আমি হারিয়ে যেতে-নেইকো মানা-
                           ফাগুন নীলে শুভ্র মেঘে-উড়তে ভাসি-
                                  উড়তি বকের ডানায় মিলে
                                          উড়ছি রাশী-


                     গগন তোমায় আকাশ চুমি-শুভ্র প্রেমের মুক্তোরাশী…….
                                   মুক্তরাশী মুক্তোরাশী
                                         মুক্তোরাশী।


                     আজকে আমার প্রাণের ডোরে-ভালবাসার ফুটলো কুঁড়ি-
                              মুকুল সে যে মুক্তো হয়ে-পাপড়ি মিলে
                                          হৃদয় ভরি।


                       উছল গাঙ্গে বীণার সে তান-ঝঙ্কারেতে মাতলো প্রাণ-
                               আলিঙ্গনে ফুটলো সে ফুল-প্রাণ সে ধরা
                                           প্রেমের গান।


                      আজকে শুধুই প্রেম আকাশে-হারিয়ে যেতে মনটি চায়-
                                আলিঙ্গণে প্রেম সে মধুর-প্রেম দরিয়ার
                                            ডুবতে চায়।


                          আজকে আকাশ হারিয়ে যেতে নেইকো মানা-
                                  ভাসিয়ে দিলেম মনটি আমার-
                                            দুর অজানায়-


                              গগন তলে দীপ্তি নীলে দুর অজানা-
                                       দুর অজানা দুর অজানা
                                            দুর অজানা


প্রিয়কবি মহঃ সানারুল মোমিন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত"মাটির করুণ বেদনা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আধুনিক গদ্যছন্দ প্রয়াস 26
অবৃমিশ্রকারিতা


প্রাকৃতিক সম্পদের যথেচ্ছ ব্যাবহার-রাসায়নিক সার-
বিষাক্ত কিট্নাশক-শুধু মাটিকেই অনুর্বর করেনি-
ফল ফলাদি শাক শব্জির মাধ্যমে
পরিবাহিত হয়ে-
মনুষ্যকূলে দূরারোহ জটিল রোগের সঞ্চারে-
সে প্রাণ-সে তো মেদিনীরই সন্তান-
অশ্রুজলে পাপস্খলন।
ভূগর্ভে ঘনঘন পারমানবিক বোমার বিষ্ফোরণ-
কেঁপে কেঁপে ওঠে মেদিনী-
রাগে ক্রোধে হুঙ্কার দিয়ে ওঠে-
ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ও সুনামিতে
ধ্বংস করে দিতে মাতে সভ্যতা-
মানবতার নগ্ন প্রদর্শন।
স্নিগ্ধ বনানীর অবশানে গড়ে তোলা কংক্রীটের জঞ্জাল-
আকাশ বাতাস ছেয়ে ফেলা কল কারখানার
বিষাক্ত ধুমারাশী।
রাগে ক্রোধে উত্তপ্ত মেদিনী।
আর নয় আর নয়-মেদিনীর সে আর্ত্ত চিৎকার
যেন ঘন কালো মহাকাশ চিঁরে-
গ্রহ তারা নিহারিকায় ব্যাপ্ত।
অনন্তের মাঝে শ্রষ্টার কানে পৌছে দিতে চায় সে বাণী-
ধ্বনী প্রতিধ্বনীত অনুরণীত
অনন্তকে আহ্বান।
ধ্বংসে্র মরুভূমি রচনায় থর থর কম্পিত-
দলিত মলিত নিশ্চিহ্ন করে দিতে হয় উদ্যত
আর চুরান্ত ধ্বংসের কিনারায় আমরা
বাড়িয়ে চলেছি আমাদের
অপরিমিত কার্যাবলী।


প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের "মায়ের চোখে জল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                                           অম্লাণ


                        হায়রে হায়-কি যা তা কয়-নিন্দুক মতি মন-
                              হায়রে হায় ব্যঙ্গো তো নয়-নহে
                                       দিবা স্বপন।


                    মাগো তোমার চরণ তলে-দিন দুঃখি গাইছি গান-
                               হেন মতি ধনপতি-কুবেরেরে
                                      করো দান-


                    শতেকো ধনের সাগর মোতি-বিন্দু বিন্দু দান-
                         দীন দুঃখী পাড় পাবে মা-সে দান
                                     হবে অম্লাণ।


                       হেন মতি দাও মাতা-বুকে ধরে সবে-
                         গরলো সে দুখের সাগর-সে দানে
                                     পাড় হবে।


                     ধন লাগি নাহি মাতা-নাহি করি প্রার্থনা-
                       দিকে দিকে মা অশ্রু ঝড়ে-দেখিতে কি
                                    মা পাওনা।


                  সমাজ বিধান করুণময়ী-দ্বীধায়িত অসম বল্টণ-
                        মাহি এ গঞ্জণা সহিতে নারি-হেরিতে
                                     সে দর্পণ।


                      মাতা তুহি পুত তোহে করিছে ক্রন্দণ-
                               মাগিছে চরণে ত্বরা-
                                      সমবল্টণ।


প্রিয়কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত ঐকতান কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ডাল খিঁচুরি


তারি ফাঁকে ফাঁকে
মেঘের আঁকেবাঁকে।
বৃষ্টি আনে বান
ভরতে মরা গাঙ্।
ধুপছায়ারই খেলা
ভরা দুপুরবেলা।
নকসি কাথার মাঠ
প্রিয়ার মধুর বাত।
বুলবুলি দেয় শীস
প্রিয়ার কথায় বিষ!
আকাশ ঘন কালো
ঝড়ে প্রেমের আলো।
ডাল খিঁচুরি রাঁধা-
প্রিয়ার পায়ে সাধা।
উঠলো তেড়ে প্রিয়া-
মুখ ঝামটা দিয়া।
গুড় গুড় গুড়-গুড়
ফাটলো ভাঁদুর।


প্রিয়কবি মোজাহারুল ইসলাম চপল (প্রসূন কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ছড়া (শিশুতোষ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আর যাবনা


গাই এর গায়ে জোর নাই-ঘ্যাচর প্যাচর শব্দ তাই-
ঘাস বিচুলি খায় নাই-টিপ টিপ টিপ যাচ্ছে তাই।
দুই ক্রোস সে পথটি ধরা-খিদার জ্বালায় দিশেহাড়া-
হেলেদুলে পথ যে চলা-গাঁয়ের সে পথ নজরকাড়া।
বাঁকের মুখে যাচ্ছে কই-অমল ওরে হাঁকছে দই
জোলদি চল একটু জোরে-হ্যাট হ্যাট হ্যাট বেতন মারে-
দৌড় দিতে থুবরে পরে-মুখ দিয়ে ভাই ফেনা ঝড়ে।
গোরুর আবার অসুখ নাকি-কেমন জোরে দিল ফাঁকি
তালগোলেতে মাথা ঘোড়ে-দারুন রকম ভীষম জোরে।
হটাৎ জোরে বৃষ্টি কেন-খর গুলি সব ভিজেই গেল
এখন ওজোন অনেক ভারি-নিতাই ঘাড়ে লাগা দড়ি-
এইপালেতে আমি বাঁধি-গরু থাকুক এপথ ভাগি।
একটু জারে টাননা রে-পাচ্ছে আমার কান্না রে।
আর যাবনা ক্ষেতির বাড়ি-চড়বো নারে গরুর গাড়ি।


প্রিয়কবি অচিন্ত্য সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঘোড়ার ডিমের চপ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                                 ঘোড়ার ডিমের চপ


                ঘোড়ার ডিমের চপটা ভালই-বেশ রসালো গল্প-
                            ভাবছি ট্রাই নেবোই নেবো-
                              সময় পেলে স্বল্প।


                 গাওয়া ঘি টা কোথায় পাবো ভাবছি অনেক ক্ষণ-
                          লিখতে ছড়া তাও তো ভাবি-
                               দেইনা এত মন।


প্রিয়কবি তাপস গুহঠাকুরতা র একটু আগে আসরে প্রকাশিত "ভালোবাসা-১৬" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                                বন্দে মাতরম


                              বন্দে মাতরম-
                 আমার সারা শরীরটা ক্ষতবিক্ষত মা আজ-
                            স্বাধীন বাংলাদেশ-
                                  তবুও!


                    তবুও শেষ রক্তবিন্দু থাকা প্রর্য্যন্ত
                       একটাই ধ্বনী ধ্বনীত হবে মা-
                               বন্দে মাতরম।


প্রিয়কবি মোজাহিদুর ইসলাম ইমন মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "তুমি নেই বলে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


তুমি নেই বলে


তুমি নেই বলে  হাহাকার বুকে জাগে ক্ষরা
তুমি নেই বলে  আঁখিজল বহে ধারা।
তুমি নেই বলে  রাত আঁধারেতে মায়াজ্বাল বুনি
তুমি নেই বলে  রাত রঙ্গীন আকাশেতে তারা গুনি।
তুমি নেই বলে  ফাগুনেতে চিত্ত হয়না ব্যাকুল
তুমি নেই বলে  গোলাপ কুসুম ফোটেনা বকুল।
তুমি নেই বলে  জ্যোছনার আলো লাগে ফিকে
তুমি নেই বলে  ঘন কালো দেখি দিকে দিকে।
তুমি নেই বলে  ঘন অঞ্জন মন মিলি ডানা
তুমি নেই বলে  আঘাতে পিঞ্জরে সে ডানা ভাঙ্গা।
তুমি নেই বলে  তমস ঘন বেদনার দুখ নীড় কাঁদে
তুমি নেই বলে  লহু প্রদাহিত প্রান সে আশাহত অবসাদে।
আসিবে কি প্রিয়ে এ তাপিত হৃদয়ে
মধুযামিনীত রসনায়!