প্রিয়কবি কে কে বিশ্বজিৎ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অমরত্মের বাসনা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আজি হতে শত বর্ষ পরে
আজি হতে শত সহস্র বর্ষ পরে-কে স্মরিবে মোরে আপন করে-
কে লইবে কাছে টানি-চির নবীন সে স্মৃতিখানি-
আজি হতে শত
বর্ষ পরে।
আজি হতে সহস্র বর্ষ পরে-নশ্বর এ দেহ নাহি রবে-
ধরাতলে সুকঠিন মোহগর্তে-সেদিন কি ডাক দেবে কেউ-
প্রানেতে বহিবে কি বেদনার ঢেউ-
রিক্ত হবে কি ধরা
বিহনে মোর-
আজি হতে শত সহস্র
বর্ষ পরে।
এ দেহ এ প্রাণ রহিবে অম্লাণ-আজি হতে হাজারো বর্ষ পরে-
হৃদয় বহিবে উজ্জ্বল স্মৃতি-সুকোমল সুনিবীড় বন্ধন প্রীতি-
জাগ্রত হবে কি জগতের প্রতি
ঘরে ঘরে-
আজি হতে শত সহস্র
বর্ষ পরে।
আজি এ দিবস রজনী-প্রতি পলে পলে জ্বাল বুনি আমি-
যে জ্বালের রসদ মোরে-ঈশ্বর করেছেন দান-
সর্ব শক্তিমান;
সে দান হবে অম্লাণ-আজি হতে শত
সহস্র বর্ষ পরে।
প্রিয়কবি প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আশা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মহিসাশুর মর্দিনী
সেই সন্ধিক্ষণের দ্বারগোরে আব্রুবিহীণ রক্তাক্ত মেদিনীর
আর্ত চিৎকারে ভাঙ্গে নৈশর্গীক নিঃস্তব্ধতা-
ঘন কালো শূন্য মহাকাশে সে ধ্বনী
অনুরনীত প্রতিধ্বনীত-
স্বর্গ মর্ত্য পাতাল আন্দোলিত সে আর্ত চিৎকার-
হে মহিসাশুর মর্দিনী-তুমি
কি আসিবে ধরায়-
ত্বরা-
ত্রস্ত্র মানবকূল ভীত সন্ত্রস্থ্য-ধ্বংসের কাঙ্গারে
বসুন্ধরা।
মানবে মানবে ঘাত প্রতিঘাতে-রক্ত ঝড়িছে প্রত্যহ হেথা-
হিংসা বিদ্বেষ বিষে-বিপন্ন
মানবতা।
কাঁদিছে মানুষ কাঁদিছে মাতা-কাঁদিছে বসুন্ধরা-
হিংসার অবশানে অসুরো দলনে-
আসিবে কি তুমি
ত্বরা।
এ ভূম আর বাসা বাঁধবার নেই-দিকে দিকে শুধু ক্রন্দণ-
সে রোল আকাশ বাতাস করে শুধুই
অনুরণন-
হৃদয় কম্পিত অশুর রাজেতে-শ্বাস রুধিত অন্তরে-
হে মহিসাশুর মর্দিনী-আসিবে কি ত্বরা-
এ বঞ্জরো প্রান্তরে।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গরীব লাচার-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
এক বৃন্তে দুইটি কুসুম
গরীব আর ধনী সমাজ-এক বৃন্তে দুইটি কুসুম-
একটা ধরা জরাজীর্ণ আর
একটি শক্তিমান।
একটি শুধু দুঃখ পোষে-আরটি পোষে সুখ-
একটি চাল বিরিয়ানী দম-অপর
কাঁদে ভুক।
এক বৃন্তে দুইটি কুসুম-বৃক্ষ সদাই কাঁদে-
এমন কেনে দিলেন ঠাকুর-
কোন সে অপরাধে।
একই সে গাছ একই মাটি-বৃন্ত ও তো এক-
গরীব আর কেনে ধনী-দুই
রকমের সাঁজ।
রক্তচোঁষা ধনীর সমাজ-গরীব টানে রথ-
উচ্চ ররে শাসায় ধনী-গরীর
ব্যার্থ মনোরথ।
ধনী ধ্বজা উচ্চে ধরে-গরীব পাদতলে-
শোষন আর বঞ্চনাতে-কান্না
সে রোল তোলে।
একই বৃন্তে দুইটি কুসুম-একটি বহুতল-
একটি লহু অনেক ঝড়ায়-শক্তি
হীনোবল।
এমন সমাজ কান্না বহে-দিলেন কেনে প্রভু-
একই বৃন্তে সাঁজিয়ে দিলেন-একটি
কেনে লহু।
তোর দ্বারেতে ঠোকাই মাথা-জবাব কি রে দিবি বল!
তোর জমানার অবাক যে রই-রচলি
অমন ছল বল!
তোর দাঁরিতে পাল্লা মেপে-একটি কেনে সুখ-
তোর ছলেতে একটি কেনে-পাবে
অমন দু্খ।
মন্দির তোর নিপাত যাক-বিগ্রহটা চুঁর হোক মতি-
দিব্যি দিলাম সত্বর কর-সমাজটাকে
মেরামতি।
প্রিয়কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত হৃদয়কাড়া "আবোল তাবোল" কবিতার উত্তর দিতে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
খাঁটি খানির তেল
আবোল তাবোল না হয় মোটে-খাঁটি খানির তেল-
বাস খানি তার বেশ ঝাঝালো-
জমজমাটি খেল।
খৈ ভাজারই ছল ছলনায়-ভালবাসায় মন মেতেছে-
রং তুলি আর আবির দিয়ে-কাব্য কথা
রং বেঁধেছে।
রং মশাল এর ফুলঝুড়িতে-উঠলো জেগে সোনার রবি-
আসর জুরে আলোক ছড়ায়-দেখছি
তারই প্রতিচ্ছবি।
আমরা আসর কবি সকল-এক তরীতে বইছি ভূবন
দিন মান রাত শান্তি খুজি-সাম্য সুরের
মৈত্রী গান।
কান্না ঝড়ে অনেক প্রাণ-দিক বিদিকে চলছে লড়াই-
পরমানু আর বোম বোলেতে-করছে অনেক
করছে বড়াই।
আগুন ঝড়া কাব্য লিখে-মানবতার চাই যে ভিখ-
গরল প্রাণে জাগতে দিশা-ভালবাসা
প্রেম সে গীত।
রক্ত যখন বারুদ ঝড়ায়-হৃদয় কাঁদায় দ্বেষ বিদ্বেষ-
কুঠার তুলি কৃপাণ বুলি-করতে
তাদের অবশেষ।
হাজার প্রাণে আগুন জ্বালি-বিজুলী সে ঘাতটি দিতে-
দিন কিবা রাত ফুসলে বেড়োই-আগুন
দিয়ে মন জাগাতে।
শঙ্কা জাগে ধ্বংস গানে-শান্তি সোপান গড়তে বেদী-
তাই ধরা হাত হাতে মোদের-আসরেতে
সকল কবি।
প্রিয়কবি আলম মুহাম্মদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ফুলের বনে খোকা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ছোট্ট খোকার এমন বুলি-ভরলো নয়ন জল-
একরত্তি জীবন এমন-করলো
কলরোল।
ঞ্জানের মধু একরত্তি-পুচকি ছোট সোনা-
কেমন প্রাণের বাতিক বলো-যায় না
কদাচ শোনা।
সোনার ছেলে সোনার মায়ের-দেখছি সোনার ছবি-
একরত্তি পুচকে সোনার-ঞ্জান
রসনার মতি।
আয়রে সোনা আয়রে কোলে-সোহাগ মেখে দি-
আদর করে মিষ্টি চুমায়-
হৃদয় ভরে নি।
আজকে খোকন সবাই জানিস-দুষ্টু মতি মন-
সব দুরে যায়-সব ভুলে যায়-
রয়না আপন।
মাতা পিতা তাও ভুলে যায়-পাঠায় দুরে হোমে-
মিষ্টি সোনা সমাজ গড়িস-মিষ্টি
মধুর ভূমে।
এইমাত্র আসরে প্রকাশিত ফারহাত আহমেদ মহাশয়ার "তেরো নম্বর কবিতা" র উত্তরে কমেন্ট বক্সে এক্ষুনি লেখা কবিতা।
মদনা
হায় রে হায়
ব্যথায় গেল
মন প্রাণ
যে ভইরা।
মদনা ওরে
ঔষষ লই আয়-
দুইটা বাটি
ভইরা।
সপ্তমীতে
প্রাণটি গেল
চাকুত গেল
পেট-
ওই মদনা
রাস্তাঘাটে
মারিস কেনে
ঠেক।
ঠেক বাঁধলি
ভাল কথা-
চক্ষ্গুলি খুলিস
না ক্যান-
চোখের সামনে
খুন হইল-
দেখনা কেনে
বউটা ক্যামন।
মদনা তোরে
ছারুম নারে-
এইবেলাতে
দুঃখ ঝড়ে-
এই কাহিনী-
করুণ লাগে-
আমার বউখ্যান
মনে পরে।
মদনা তোরে
মাইনা দিমু
এই পূজাতে
দেখবি বল-
সপ্তমী আর
অষ্টমিতে
দেখবি যেন-
চাকুত বল।
আর দেরী নাই
মদনা বানা-
তোর ওই
গোপন দল-
হুকুম আমার
তামিল কর-
নাইলে পরে
তুলবো ছাল।
প্রিয়কবি হায়শান সাবিত(ছন্নছাড়া) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সংঞ্জা ২" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আধুনিক গদ্যছন্দ প্র্যয়াস ২২
মরিচিকা
ভালবাসা মানে ভুল! হায়রে কপাল-
কয় কি রে মদনা-
আমি কই ভালবাসা
মরিচিকা!
অ রে মদনা-পকেটে ট্যাহা আছে তো-
তাইলে আছে নইলে ফুরুৎ-
অই জে কইলাম
মরিচিকা।