প্রিয়কবি অনীক মজুমদারের আজ প্রকাশিত "গাছের মর্ম" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।
, জীবনগান
একটি বৃক্ষ একটি প্রাণ-বৃক্ষ লাগাও বাঁচবে জীবন-
বৃক্ষ মোদের জীবনগান-
বৃক্ষ মোদের জীবন বাঁচায়-প্রাণবায়ু দেদার যোগায়-
পাতায় পাতায়
প্রাণ।
গরল বায়ু শোধন করে-জীবন মোদের বাঁচার তরে-
অমূল্য রতন।
শ্যমল সবুজ বনভুমি-আকাশটাকে আনছে টানি-
মেঘ ঘন বর্ষায়-
বৃক্ষবিহীন রুক্ষ ভুমি-বঞ্জর সে প্রান্তর-
জলদ বারি মুখ ফিরিয়ে-
যায় সে তেপান্তর।
বৃক্ষচ্ছেদে গরল বায়ু আকাশ বাতাস করে ভারি-
তাই তো ধরায় উত্তাপেরি-যেমন
তেমন বাড়াবাড়ি।
সেই উত্তাপ গলছে বরফ-বাড়ছে সাগর জল-
ধ্বংস পানে যাচ্ছে ধরা-নাইরে
রোধের বল।
একটি বৃক্ষ একটি প্রাণ-বৃক্ষ লাগাও বাঁচবে জীবন-
বৃক্ষ মোদের জীবনগান-
বৃক্ষ মোদের জীবন বাঁচায়-প্রাণবায়ু দেদার যোগায়-
পাতায় পাতায়
প্রাণ।
প্রিয়কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত কবিতা "স্মৃতি আজও বেঁচে আছে, তুমি শুধু নেই" কবিতার উত্তরে গতকাল কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
জলোকেলী
কেঁদে ওঠে মনপ্রাণ-সখী একি ছল দিলি-
অশ্রুতে নয়নেতে বেদনাতে-
জলোকেলি।
শূন্য সে মনোবীণা-ঘন কালো প্রান্তর-
স্মৃতি ব্যথা দোলাচলে-মন
প্রাণ অন্তর।
সুদূরেতে মন ধায়-শত বোল সুর তোলে-
নয়নেতে বারিধারা-লহমাতে
মন ভোলে।
রম্য সে রজনীতে-হাসি গানে ধরা প্রাণ-
খাঁ খাঁ ঘরে শূন্যতা-শ্মশানের
বাণী গান।
কূজনেতে কূজনেতে-লহরিত বহমান-
পলকেতে স্তম্ভিত-ছুয়ে দিলি
আসমান।
শূন্য এ বক্ষেতে-হাহাকার ধ্বনী ধায়-
অব্যক্ত ক্রন্দনে-বায়ু জল
ভরে যায়।
দিকে দিকে স্মৃতি জ্বালা-শ্রাবনেরি ধারা বারি-
প্রভু প্রাণে দেহো দয়া-আকাশটা
দিতে পাড়ি।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "হানি অশুভ জানি (ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হিসেব
গড়তে জীবন ধরতে হবে-বীরপুরুষের সাঁজ-
নিষ্টা আর ভক্তি দিয়ে করতে
হবে কাজ।
চিন্তাগুলি সংযত-মাটির সাথে পা-
সরল জীবন যাপন সদাই-
লোভ যেন করবে নাকো-
এত্তবড় হা।
হাসিখুশী সদাই প্রাণ-বিষাদ রেখে দুর-
মিলেমিশে চলবে সমাজ-
সোনালী রোদ্দুর।
আপন প্রাণে আস্থা সদাই-দ্বেষ বিদ্বেষ দুরে-
সংহতি ভাবনা মনে-মধুর
বোলের সুরে।
প্রেম ভাবনায় গরীব দুখি-জ্বালতে প্রাণের আলো-
দান খয়রাত সাধ্যমতো-বাসতে
তাদের ভাল।
দুই দিনের ওই জীবন মোদের-সামনে শ্মশান ঘাট-
স্বর্গ নরক হিসেব পাবে-করবে
যেমন কাজ।
প্রিয়কবি সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় (পীযূষ কবি) মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "নবদয়"কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
পণ
নবদয় সূর্য্যতে
শত শত প্রান মাতে।
আনন্দ দোল খেলে
পাখি ওরে ডানা মিলে।
দশদিক দিকে দিকে
সোনালী সে রদ্দুতে
ভালবাসা প্রেম ঝরে-
দ্বারে দ্বারে ঘরে ঘরে।
মৌমাছি গুঞ্জনে
হাসি খেলে শত প্রাণে।
ভুলে যায় বিদ্বেষ
যুদ্ধের অবশেষ।
অগতির গতি সব
করে প্রাণ কলরব।
গরীবেরে করে দান
দাতা হয়-পরিত্রাণ।
দিকে দিকে সোনা আলো
বসন্ত খেলে গেল।
ফাগুনের লাল আভা
কবিতায় শত ভাবা।
কবে ভাই সত্যি-
হবে নাকি রত্তি।
চেষ্টায় ত্রুটি নাই-
চলো ভাই করি তাই।
আজ হতে পণ ধরো
হাতে হাত হাত ধরো।
প্রিয়কবি আতাম মিঞ্চা মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হেঁয়ালি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অসুখ
হেঁয়ালিতে গনগন-বনবন মাথা ঘোরে-
সাঁইসাঁই হাইফাঁই-নিশ্বাস
জোরে পরে।
রক্তের চাপটা-বেড়ে গেল খুব বড়-
ঔষুদের ডিব্বাটা-তাড়াতাড়ি
বেড় করো।
দরদর দরদর ঘাম ঝরে ওরে ভাই-
বিছানায় শুয়ে পরে-তাই
আমি তরপাই।
জলটল দেরে মাথা-তাড়াতাড়ি আন-
হেঁয়ালির গুতো খেয়ে-যাবে
বুঝি জান।
টুবাইকে ডাক দেনা-ডাক্তার আন-
মনে হয় আজি রাতে-বের
হবে প্রাণ।
হেঁয়ালির ধারেকাছে-আর কভু যাব না-
শরীরটা অস্থির-মনে বড়
বেদনা।
একি হলো একি হলো-ধরপর করে বুক-
শ্বাসটাও রোধ হয়-হায় হায়
কি হলো অসুখ!
প্রিয়কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত কবিতা "গাধা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বউদিমুনি
হার রে হায়-শুইন্যা কথা-পরাণ গেল গইল্যা-
হ্যাট হুইট্যের গল্প হুইন্যা-মনডা
ভাল লাগেনা।
বউদিমুনি ইকটুখানিক ছিন্তা কর বাপ-
হেই লোকটা কেমন কইরা-কয় জে
এমন বাত।
বাপ রে বাপ!এত্ত কঠোর কও ক্যমনে-
বউদিমুনি কই-হেই
লোকটা গাধা কইলা-
ক্যামন কইরা
সই।
ট্যাহা তো আর এমন উমন উইরা আহে না-
অনেক বুদ্ধি না হইলে-কেউ
ধইরতে পারে
না।
নিত্য নতুন বাইনা তোমার-ট্যাহা জুগায় ওই-
তাইলে পরে ক্যামন কইরা-
গাধা অরে
কই।