প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত মানবতা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বলাৎকার


এ পৃথিবী ক্রমশঃ বাসযোগ্যের অযোগ্য হয়ে উঠছে-
দিকে দিকে বারুদের গন্ধ-
চুরান্ত মানবতা হরণ হয় প্রতি মুহুর্তেই-
বলাৎকার নির্যাতন নিপীরণ চলে দেশে দেশে-
ধর্মের নামে চলে মানবতা লুণ্ঠনের উন্মত্ত খেলা-
দমনের নামে চলে বর্বর অমানবিক নির্যাতনের দৃষ্টান্ত-
এক পৃথিবী দুঃশহ যন্ত্রণায় কাতর-
কান্নার ধ্বনি আকাশ বাতাস রুধিত হয়
সে দারুন আর্তনাদে-
আর এক পৃথিবী নিঃশ্চুপ নিরব দর্শক-
ইন্টারনেটে প্রচারিত মানব হত্যালীলার বিভৎস চিত্রগুলি-
গোগ্রাসে গিলতে থাকে-কি জানি!
একদিন এ দানবীয় থাবা আমার ঘর পরিবার
তছনছ করবে কিনা!


সকাল ১০ টা থেকে লাইট ছিল না। পাশে বন্ধুর চেম্বারে কিছুক্ষন আড্ডা মেরে খানিক আগে চেম্বারে ঢুকে খাতা কলম হাতে নেই-যা দেখবো তাই লিখবো শিরোনামে একটা লেখা শুরু করি। খানিক লেখার পরই কারেন্ট চলে আসে-কি লিখলাম এই সময়ে তাই লিখছি--


যা দেখবো তাই লিখবো


পূজার আগে গাছ ছাঁটতে আবার কারেন্ট চলে গেল-
বুলবুল চল চেয়ার পাতি-যা দেখবো লিখতে ভালো।
ভ্যাপসা গরম এই বয়সে-সহ্য আর হয় কি!
প্রেসার বাড়ে গলগল ঘাম-তুইও কি ঘামিস নাকি!
আরে বাবা রাস্তা ফাঁকা-পি পিপ তাও করিস কেন-
কানের গোরে এমন রব-এমন রব লাগতে ভালো।
একটা ছেলে বাইক থামায়-মোবাইলে বলছে কি!
এত কথা রাস্তাঘাটে-ফোনটা সখী করলো নাকি!
দুইটা দাদু-থপ থপ থপ-যাচ্ছে চলে গল্প করে-
মানসবাবু আর বাঞ্ছা স্যার-দ্যাখ বুলবুল এমন হব-
আর কিছুটা বয়স হলে।
এখন পাড়ার বৌদি ঐ-ছাতি মাথায় ওই যে গেল-
হালকা চালে মুখটা ব্যজার-মনটা বোধহয় নাইরে ভালো।
আরে বাবা দাদাও যায়-ছাতা মাথায় বাড়ির পানে-
মারবে নাকি লিখছি ওদের-হটাৎ যদি ওরা জানে।
এখন একটু দেই বিরতি-বুদ্ধিগোরে ধোঁয়া দেবো-
একনাগারে অনেক লিখে-এখন একটু আরাম নেবো।
আরে ভাই টিনা লোহা-এখন কেন অমন হাঁকিস-
বলছি না এখন আরাম-অমন করে কেন দেখিস।
উত্তরেতে আজকে দেবো-কাব্যগাঁথা ফুরালো-
শিস বাজানা কতই তুই-নটে গাছটি মুড়ালো।


প্রিয়কবি ডলি পারভীন মহাশয়ার আজ প্রকাশিত স্মৃতি চারণ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ফাঁদ


প্রেমসাগরে ডুব দিয়ে সই-
কান্না অনেক বুকের মাঝে-
শক্ত কঠিন এই ধরাতে-
সপ্তসুরের বেসুর রাগে।
মন যমুনায় সাঁতার কাটি-
স্বপ্নগুলি আকাশ ওড়ে-
জ্যোছনা আলোক ধরতে গিয়ে-
মুখ থুবরে আছরে পরে।
আকাশ পাখি ভাঙ্গল ডানা-
উড়তে নারি গগন নীলে-
বইতে নারি সইতে নারি-
কইতে নারি মনটি মিলে।
জ্যোছনা আলোক রং হারালো-
হৃদয় আকাশ করাল ছায়ে-
গরল ভূমে করুন সে রাগ-
উপর নিচে ডাইনে বাঁয়ে।
চৌদিকেতে সে রব ধ্বনি-
হটাৎ ধরা উঠলো কেঁদে-
গহন বনে হৃদয় হারায়-
প্রেম বিছানো জ্বাল সে ফাঁদে।


GO AL O NE মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত একটি প্রশ্ন কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।(লেখটির প্রথম ভাগ)প্রিয়কবি শরীফ মুহাম্ম্দ ওয়াহিদুজ্জামান মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত বিরহের গান ৩য় পর্বের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা।(লেখাটির দ্বিতীয় ভাগ)


তুমি কথা রাখলেনা প্রিয়তমা


এক সাগর বিরহ হটাৎ
সুনামির মতো আছরে পরলো হৃদয় অঞ্চলে-
দাবাললের লেলিহান অগ্নিশিখা  
মেদিনী গ্রাস করে নিল মুহুর্তেই-
ধুম্র কুন্ডলিত জটাজ্বালে আকাশ বাতাস
ঘন কালো আভরণ-গ্রাস করে দিবাকর।
মু্হুর্মুহ ঝলকানি আর গর্জনে-
কেঁপে কেঁপে ওঠে বসুন্ধরা-
প্রাণ উপনীত অবলুপ্তির কিনারায়-
ঘন ক্রন্দন রোল আর হাহাকারে-
অশ্রুসিক্ত পৃথিবী-
প্রিয়তমা তুমি কথা রাখলে না।


কোটি কোটি জীবন্ত দগ্ধ লাসের সারি-
মুহুর্তেই সাগর মহাসাগর শুষ্ক মরুভূমি-
প্রাণহীন মৃত গ্রহে পরিনত বসুন্ধরা-
ছায়াপথ নক্ষ্ত্রপুঞ্জে আর একটি
জ্বলন্ত সূর্যে পরিনত পৃথিবী-
মুর্হুমুহু বিষ্ফোরণ আর লেলিহান আগুনের শিখা-
সব কিছু ঠিক পূর্বের ন্যায় কিন্তু
দেশ জনতা সবই আত্মায় পরিনত-
তুমি কথা রাখলেনা প্রিয়তমা।