আজ আড্ডাতে লেখা  
প্রধানমন্ত্রী


গতকাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলাম-
নিরঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্টতা।
আজ প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং-সব মন্ত্রীরাই জড়ো হয়েছেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদেশ আজ দেবো আমি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আপনার প্রথম কাজ হলো
ভারতবর্ষের যত পারমানবিক অস্ত্র রয়েছে-
ইসরোর সাহায্য নিয়ে দুর মহাকাশে
সেগুলিকে ধ্বংস করা।
আর তার লাইভ টেলিকাষ্ট যেন
সারা দুনিয়া দেখতে পারে।
প্রথিবীতে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই-
পরমানু অস্ত্ররহিত বিশ্বের
এটাই হবে প্রথম সোপান।
আর যে বিপুল পরিমান টাকা এই খাতে সাশ্রয় হবে-
বি পি এল পরিবার গুলির মধ্য
বেঁটে দিন অর্থমন্ত্রী।
আইন মন্ত্রী একটি বিল পেশ করুন অবিলম্বে-
ঘুষ নেবার দায়ে ধরা পড়লে যাবৎজীবন-
ধর্ষণে এক মাসের বিচারে ফাঁসি।
যে কোন বিচার ছয় মাসের মধ্যে বিধান দিতে হবে।
আজ এটুকুই থাক।
আগামী বৈঠকে আরও কিছু বিধান দেবো।
`নমস্কার।


প্রিয়কবি সুদীপ কুমার ঘোষ (চোখেরবালি) মহাশয়ের রবে নীরবে কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


স্মৃতি


দাদা বিহনে তোমার হৃদয় ঝড়িছে-স্মৃতি দোলা দেয় মনে-
দাদা তুমি রয়েছো স্বয়নে স্বপনে-
আজ এই দিনটাতে-অশ্রু ঝড়িতে আনমনে
আনমনে।


দাদা তুমি যাও নাই-যাও নাই যাও নাই-
ক্রন্দনে ভাসি বুক-
দাদা জোড়করে ঈশ্বরে প্রনতি মাগিনু-
মাগিনু তোমারি
সুখ।


যেথা রও তুমি যেন সঘন আনন্দ আশ্রম বসন্ত নিকেতন-
দাদা তোমারি স্মৃতিতে তোমারি ভাষাতে
হেরিনু আমারো
ভুবন।


প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত ছলনা-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অমৃত বচন


আহা! যেন অমৃত বচন।
আরে অই মদনা-কই গেলি রে!
আরে এইখানত আয়-দ্যাইখ্যা জা-কবি কইলো কি!
আহা!জেন অমৃত বচন।
অরে-তোগো আর ছেনতাই রাহাজানি কইরবার লাগব না।
দিনকাল তো ভালো দেহি না।
পুলিশের ভয়-পাবলিকের গনধোলাই খাইবার ভয়।
আজি হইতে কবির দ্যাহানো লাইনটা ধর।
নামাবলী গায়ে দে-জ্বাল বিছা।
ভালো ভালো দামি দামি স্যুট পর।
চকচকা চকচকা সবসময়।
অই সাহেব সাহেব ভাব।
একটু দুর শহরে চইলা যা।
সবাইরে কইবি তুই সরকারি চাকুরি দ্যাওনের দালাল।
খ্যাপে খ্যাপে ট্যাহা লইবি আর ফলস
এপয়নমেন্ট লেটার যেইদিন সবাইরে দিবি-
কনটাক্টের পুরা ট্যাহা আগত লইয়া নিবি।
তারপরে আর এক ঘন্টাও রইবি না।
ট্যাহা লইয়া দে পলান।
আর শুন ভুয়া ভোটার কার্ড দিয়া দুই চাইরটা সিম ল।
ফেরত আইবার দিনে ফোন শুদ্ধা ওইগুলানরে
গঙ্গায় ফেইল্যা আসিস।
অহন কবিরে একবার প্রণাম কইরা
কামে নাইমা পর।


প্রিয়কবি প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা নিষিদ্ধ সময় কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মুক্তি নাই


নাই নাই নাই-মুক্তি নাই-
মানুষে মানুষে এখন তো ভেদাভেদ আর নাই-
সবাই সমান-
দুটো দৃশ্যমান আর দুটো অদৃশ্য পা-
আপনি কবি-তাই দেখতে পাচ্ছেন-
আর আমি ভাবছি-
যা দেখা যায় না তা কাটবো
ক্যামন করে। অতঃ
সুচি-নাই নাই নাই-না না না-মুক্তি নাই-
কোনো কালে নাই-কোনো যুগে নাই-
নাই মুক্তি নাই।