আড্ডায় লেখা
প্রধানমন্ত্রী (৫)


রাষ্ট্রীয় ভূতল পরিবহন ও যোগাযোগ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী-
দেশের যত রাষ্ট্রীয় বাস রয়েছে-
তার প্রত্যেকটি ৪ জন স্টাফকে-
মাসিক লিজ চুক্তিভুক্ত করুন-বকলমে মালিক বানিয়ে দিন-
মেইন্টেন্সের দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে-
সাধ্যের মধ্যে যাতে হয়-
রুট অনুযায়ী নুন্যতম মাসিক টাকায় চুক্তিবদ্ধ করুন।
বেতন নয়-মুনাফা তুলুক তারা-
প্রতি বছর এ খাতে ভরতুকি দিতে হয় সরকারকে-
এবছর থেকে এ স্থান থেকে সরকার লাভের মুখ দেখতে পারবে।
একটা বাস ৪ টি পরিবার সুষ্টভাবে চলবার পক্ষে
যথেষ্ট হবে আশা রাখি।
পরীক্ষামূলক ভাবে এবছর সফল হলে-
পাকাপাকি ভাবে এভাবেই চলবে রাষ্ট্রীয় ভূতল পরিবহন সংস্থা।
দুমাস সময় বরাদ্দ হলো।
সমস্ত রাজ্য সরকার গুলির সাথে আলোচনা করে
এ সময়ের মধ্যে এ সারা দেশে এ ব্যাবস্থা কায়েম করতে হবে।
ধন্যবাদ জয় হিন্দ বন্দেমাতরম।
দেশে ভোট ব্যাবস্থার আমুল পরিবর্তন করতে চাই।
বিপুল বিপুল পরিমান টাকা ধ্বংস হয়
এক একটি নির্বাচনে।
একটি ফর্মুলা দিচ্ছি ইলেকশন কমিশনকে।
সমীক্ষা করুন-জনগনের রায় নিন-
জনগন রায় দিলে তবেই এ সিস্টেম চালু করবো।
সরকারি অর্থ অপচয় নয়-প্রতিটি নির্বাচক
ইনল্যান্ড লেটারে তার পছন্দ প্রর্থীর নাম ও প্রতীক চিহ্ন লিখে
এলাকা বুথ নম্বর উল্লেখ করে
ভোটার কার্ডের সেল্ফ এটাস্টেট জেরক্স কপি সহ
খামে ভরে নির্বাচন দপ্তরে পাঠিয়ে দেবেন-
ওখানেই থাকবে আপনার ব্যালট বক্স-
নির্বাচন অফিসার কম্পিউটারে আপনার তথ্যাদি যাচাই করে
ইনল্যান্ড লেটার ড্রপ করে দেবে নির্দিষ্ট বক্সে।
নির্দিষ্ট সময়ে ওখানেই চলবে ভোট গননা এবং ঘোষনা।
উদ্বৃত্ত টাকা বস্তি বিকাশ তথা
বস্তি নির্মান শিল্পে খরচ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করবো
আগামী ছয় মাসের মধ্যে সার্ভে করে তার রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পেশ করবার জন্যে।
ধন্যবাদ জয় হিন্দ বন্দেমাতরম।


গতকাল উত্তরে উত্তরে why to giving up কবিতার বাংলা অনুবাদ আজ করেছি।
কেন হাল ছেড়ে দেবো


হে প্রভু কেন আমি জীবনে হাল ছেড়ে দেবো-
যখন তিনি আমার আত্মায় সাহসিকতার
একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছেন।
কেন আমি তা নিবিয়ে দেবো-
কেনো সেই আলোকে উদ্ভাসিত হব না-
আমি নিজে এবং আমার চারিপাশে
যত অন্ধকার ছড়িয়ে আছে-
সাধ্যমত তাদের সেই আলোকে
আলোকিত করবো না।
আকাশটা যেমন কালোর মধ্যে আলোর জঙ্গল-
কতই না জাঁকালো-
তদ্যুপ তারা অন্ধকারে তারার মতো
ঝলমল করবে।
প্রত্যাশা কখনোই আকাশের রামধনু নয় কিন্তু
প্রজাপতির সুন্দর ডানা।
যদি তাই হয় অতৃপ্তির বেদনা নিয়ে
কেউ এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে না।
কেন হাল ছেড়ে দেবো।


প্রিয়কবি ড প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা বিরহহীন প্রেম কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
উপলব্ধি


কিসের বিরহ কিসের জ্বালা-দুঃখ কিসের মন-
বিষ পানেতে কন্ঠ আমার নির্মম গরল।
হৃদয় আমার সোনায় গড়া-হাজার ফুঁকের বহ্নি তাপ-
সইতে হৃদয় শক্ত হলো-নাইকো দুঃখ শোক তাপ।
দুঃখ ব্যথায় সুড়সুড়ি নাই-মন সে আকাশ উড়ি-
প্রেম ছলনায় হৃদয় আকাশ-লৌহ কঠিন ধরি।
জীবন তরল সরল সহজ-খাদ সে উঁচা নিচা-
ভব পারাবার বৈঠাখানি সমুখপানে ছোটা।
ভবসাগরে ডুবকি মারি-পান্না মোতি তুলি-
সুখ সরণি লহর বেয়ে-কানামাছি খেলি।
খেলতে গিয়ে পিছলে পরে-আর্তনাদের সুর সে নাই-
মলম পট্টি খুব লাগিয়ে-দৌড়ে আবার খেলতে যাই।
কিসের বিরহ কিসের জ্বালা-দুঃখ কিসের মন-
বিষ পানেতে কন্ঠ আমার নির্মম গরল।
প্রিয়া তোমার ছলাকলা-লৌহ হৃদয় মোর-
দিলেই ব্যথা বইতে পারি ভুলতে মনের দোর।
হৃদয় আমার সোনায় গড়া-হাজার ফুঁকের বহ্নি তাপ-
সইতে হৃদয় শক্ত হলো-নাইকো দুঃখ শোক তাপ।


আড্ডায় লেখা


আকাশ বাতাস মুখরিত রব-মায়ের চরণ ধ্বনি শুনি-
কাশফুলের ওই শুভ্র বনে-ভাব ধরা সে আগমনী।
তবুও করুন সুর কেন বয়-আকাশ বাতাস স্তব্ধ কেন!
বানের জলে ভাসছি যে মা-জীবন করুণ হচ্ছে জেনো।
ধুলিস্যাত ভিটেমাটি-গয় গবাদি পশুও গেল-
সর্ষে ফুলের ক্ষেত দেখি মা-নয়ন হলো ঘন কালো।
ভরিয়ে ভুবন আসছো তুমি-দিকে দিকে রঙ্গিন আলো-
বানভাসি মা গরীব দুখী-বাসবে কি মা তুমি ভালো!
ভালোই যদি বাসলে মা-ধ্বংস কেন করুন দিলে-
ভিটেমাটি ঘর পরিবার-ধ্বংস করে কি মা পেলে?
তোমার ছেলে মন্ত্রী কেতা-বড়ো বড়ো সাহেব বাবু-
ত্রাণের টাকা হাপিস করে-ভ্রষ্টাচারে জোচ্চুরিতে
আমরা হলাম কাবুসাবু।
বাঁধের টাকা বাঁধ মানে না-নোংরা খেলায় মাতে-
আমরা গরীব দুখী মাগো-নেইকো প্রতিঘাতে।
চোখের জলে ভাসি মোরা-কান্না বুকে বই-
অনেক অনেক দুঃখ মা যে-কেমন করে সই।
তুমি মাগো শঙ্কা জাগে-মা নয়কো তুমি-
ওদের সাথে মিলেঝুলে-কেমন করে মা জননী?
তাইতো মোরা চাইবো নাকো-আশীষ তোমার মাতে-
ছাল ছাঁড়াতে ওদের শরীর শক্ত প্রতিঘাতে।


প্রনব কুসুম দত্ত মহাশয়ের আলোচনা বিভাগে কবিতা কি কহতব্য লেখায় কমেন্ট দিতে গিয়ে লেখা কবিতা।(সবাই মিছিলে নাম লেখাতে চায়-কে বাঁচাবে সভ্যতা-এ কবিতার ভাবার্থ)
হিংস্রতা


পাহাড় আকাশ ছিল আদিম বীর্যের কামনায়-
বাতাসে শুনেছিলেম হায়নার অট্টহাসি-
অরন্যে সাপের লকলকানি-
ফণা তোলা আদিম হিংস্রতা-
দৌপদির বস্ত্রহরন খেলা-
একের পর এক চর্তুস্পদীর হিংস্র থাবা-
আর গর্জনে মেতে উঠলো মেদিনী-
হিজরার দল-মিছিলে নাম
লেখালাম আমি।


একটু আগে আড্ডাতে লেখা।
অনুভব


নারীদের অবাধ স্বাধীনতা দিতেই অর্ধনগ্ন (প্রায় নগ্ন)
ড্রেসে ঘোরাফেরা শুরু করেছে।
আর উঠতি বয়সের বালকেরা
তাতে আকৃষ্ট হয়ে দেশটাকে উচ্ছন্নে
নিয়ে যেতে বসেছে।
চিন্তা করবার সময় হয়
নাই কি?