আড্ডাতে লেখা মুক্তমনের কবিতা।
মূরখ
কতটুকুই বা আমরা জানতে পেরেছি সৃষ্টিকে-
কতটুকুই বা বুঝতে পেরেছি মহাকাল
অনন্ত অনাদি বিশ্বব্রমান্ডকে-
কতটুকু কতটুকু।
যে সামান্যতম কণামাত্র আহরণ করতে পেরেছি-
তাতেই আকাশচুম্বী আস্ফালন-
যেন যেন যেন-
শ্রষ্টা পায়ের তলায় লুটায়
তাইতো কণা মারনাস্ত্র নিয়ে
সমরসজ্জায় আহাম্মকি ধ্বংসকে করি
আহ্বান।
হে মূরখ হে অপরিনামদর্শী মানব-
এ মহাকালে হাজার হাজার
কোটি কোটি বার ধ্বংস আর গড়া
সৃষ্টি আর বিনাস-
করে চলেছেন তিনি-
পলে পলে অনুভব করি সে মাহাত্ম-
পরমাত্মার সৃষ্টিতত্মের নিগুঢ়
রহস্য।
হে মূরখ হে মানব হাজার হাজার
শত সহস্র ভূমে
আদি সৃষ্টি প্রাণ স্ফুরণে
নিয়োজিত তিনি-
নিমগ্ন তিনি সৃষ্টিতে-অনাসৃষ্টিতে ধ্বংস।
ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতম এক বিন্দুসম
এ ধরনী-
প্রাণে প্রাণে হৃদয়ে হৃদয়ে-অপার প্রেম ভালোবাসা
সমুদ্র রচনা দিয়েছেন তিনি-
হে মূরখ মানব-
সে শান্তির মহাসমুদ্র অমৃত চারনাভূমি-
অন্তর দিলি বির্ষজন-
কনামাত্র ঞ্জান আহরণে শ্রষ্টাকে করিলি
অবহেলা।
চরম সে দিন দ্রুত ধাবমান-
সে জ্যোতি বিনাসিতে কাল-
সমুহ উপস্থিত।
নাই সে রুখবার ক্ষমতা
মহাকাল দেয়নি মূরখ।
আড্ডাতে লেখা মুক্তমনের কবিতা।
সারগুন
আমি চলে যাবো জেগে রবে মোর স্মৃতি-
আমি ধূলো হবো প্রান পাবে
মোর কৃত্তি।
মোর সৃষ্টিরা জেগে রবে চিরকাল-
বিপ্লবে বিপ্লবে বিদ্রোহী
হবে তাল।
অত্যাচারী সাম্রাজ্যবাদী শোষন অত্যাচার-
ভ্রষ্টাচার নির্যাতন হুশিয়ারি
স্বৈরাচার।
আমি চলে যাবো জেগে রবে মোর স্মৃতি-
আমি ধূলো হবো প্রান পাবে
মোর কৃত্তি।
আমি চলে যাব অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে-
আমি চলে যাবো শোষনের বিদ্রোহী হয়ে-
আমি চলে যাবো বিদ্রোহের বীজ বুনে-
অঙ্কুর থেকে শাখা হবে প্রশাখা
অবশেষে মহীরুহ হবে বীজ
মোর সৃষ্টির
সারগুনে।
মোর স্মৃতি গাঁথা রবে প্রত্যেক বিদ্রোহী প্রাণে-
মোর স্মৃতি প্রাণ পাবে
বিদ্রোহী গানে।
সাহসীর সাথী হবে মোর স্মৃতি-শ্বেত পতাকা হাতে-
শান্তির সাথে প্রীতি।
মোর স্মৃতি লাল রক্ত ঝড়াবে বিল্পবের-
মোর স্মৃতি প্রীতি হবে রক্তিম
সংগঠনের।
মোর স্মৃতি ধিক্কার হবে ভীরুতা দূর্বলতার-
মোর স্মৃতি ভেঙ্গে গুড়ো করে দেবে অন্ধ
কুসংস্কারতার।
মোর স্মৃতি সাথী হবে অঙ্গাণ অন্ধকারের-
কান্ডারী সাথী হয়ে-আঁধার ভেঙ্গে
ঊষার দোরে।
মোর স্মৃতি ভেঙ্গে গুড়ো করে দেবে
দূর্নীতির ভিতের প্রত্যেক ইট-
চাবুকে চাবুকে লাল করে দেবে
অত্যাচারীর কালো
পিঠ।
আজকেই দেখি আমি অত্যাচারের অবসান-
সুন্দর পৃথিবী দেখি
সবাই সমান।
সূর্যের উদয় দেখি শোষকের অবগমন-
ঘরে ঘরে প্রস্তুতি দেখি-
যুদ্ধের শমন।
প্রিয়কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত দুষ্টু কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা
খ্যাতি
ভাবছি খ্যাতি ধরবো ক্ষেতী ক্ষেতির দোলাচল
দোলদোলানি ক্ষেতীর সাধন-
ধরবো কোলাহল।
সেই দোলেতে মর্মর তান-উঠলো যদি ধরা-
আমার পিছে দেশ দুনিয়া করবে
অনেক তাড়া।
পুষ্পবারি সোনার রথে-ঝড়বে সোনার আলো
কর্মকার কামের বাহার-লিখতে
ভালো ভালো।
ভাবছি তাই গন্ডি পার-হতেই লাগামছাড়া-
বল্গা নাই চালাই কলম-টাট্টু
রেসের ঘোড়া।
একটি নয় দুটি নয় হাজার কলম-
ভরবে অনেক পাতা
খ্যাতির ক্ষেতে চাষটি দেবোই-
দিলেম তোমায়
কথা।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকারের আজ প্রকাশিত সার্থক কর্ম কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
পৈচাসিক উন্নিসিত উচ্ছন্নিক উদচরণে উৎশৃঙ্খ্ল নরাধম-
করিতে কে আজি সত্যের
জয়োগান-
এ ধরা বারিকো নাহিকো প্রীতি মিলনের স্থান-
কাল পাত্র ভেদাভেদি-ছলনার
কলতান।
বিবাগী বিরোধ ক্রোধ হিংসা ও দ্বেষ-
হাঃ হঃ হাঃ-
দিকে দিকে দিকে দিকে
মিছা ছলনার
সন্দেশ।
কাঁদিতেছে ধরা মাতা-শুনিতে কি পাও নাই-
ঠুলিতে কি তুলো ঠাসা-পেটভরে
খাও নাই।
অন্ধ কি হলে তুমি-দশদিক দ্যাখো নাই-
দিকে দিকে লহু ঝড়ে-দেখিতে কি
পাও নাই।
গান গাওয়া সত্যের-আজি হেথা মানা ধরা-
মানবেতে হৃদ নাই-গরলেতে
বিষ ভরা।