আসরে ৫০০ তম লেখা কবিতা (প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের কমেন্ট বক্সে লেখা)


আড্ডাতে লেখা মুক্তমনের কবিতা।


সন্দেশ


আমি নিরীহ নিস্প্রাণ নহি-আমি বিনীত দুর্বল নহি-
আমি শান্ত নির্বল নহি-আমি প্রচন্ড
আমি ঘূর্ণী।
তুমি আমার সেই রূপ কখনো দেখেছো কি?
আমি একাই এ দুনিয়া হিলিয়ে দিতে পারি-
আমি একাই দলন মলন
পিষে দিতে পারি-নাম নিশান মিটিয়ে দিতে পারি-
ভ্রষ্টাচার।
দুনিয়া তৈরী হও-এক ঘূর্ণী
প্রবল বেগে আঘাত হানতে আসছে বক্ষে-
পদাঘাতে বিলীন করিতে
তোমাদের পাপের ভুমিতে দলিতে মলিতে-
যে পুস্প তোমাদের পাপের ক্ষেতে-
ক্ষেতীবারিতে-জঞ্জিরে অশ্রুস্নাত-
যে পাপের ধনে তুমি সুউন্নিত-
ধ্বংস।
কভু শুনেছো কি ধ্বংসের সে ধ্বনি-
কভু দেখিয়াছো কি স্বাভিমানের উন্মত্ত আচরণ-
তৈরী হও-আসছে তুফান ধেয়ে।
খড়কুটোর মতো উড়াতে সে সম্পদ-
আভাস কি পাওনা-সে আসিতেছে-
তীব্র প্রবল বেগে-আগাম সন্দেশ দিলাম-
সুনামি।


আড্ডাতে লেখা মুক্তমনের কবিতা।


বিচিত্র এ দেশ!


আমি ৭১ তম স্বাধীনতা দিবস লিখলাম না
কারন স্বাধীনতা সে তো
বড় ভ্রম।
পাতায় পাতায় শুনতে পাচ্ছেন না-
কবিরা কাঁদছে।
শুনতে পাচ্ছেন না শত শত নির্ভয়া-
সিন্ডিকেট রাজ-
চিল শকুন হায়নার উল্লাস ধ্বনি।
আপনাদের কানে কি তুলো ঠাসা
আর চোখ পট্টি!
কত শত হাজার কোটি
বুভুক্ষ মানুষের আর্ত ক্রন্দন রোল-
শত কত পিতা মাতার অশ্রুজল-
কোলাহলে বির্দীর্ন অন্তর।
লিখতে পারলাম না-
ইচ্ছে করেই ভুলটা করতে হলো।
এম এ পাশ বি এ পাশ বি এড
রাস্তায় রাস্তায় সারি সারি লাইনে দাঁড়িয়ে-
পাশ না হয় করা গেল-
ঘুষের টাকা কোথা থেকে জোগার হবে!
আমার মনে হয় রাষ্টায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলোর
একটু সহৃদয় হওয় উচিৎ এ টাকা
ঋণ অনুদান ইত্যাদি-
সরকারের উচিৎ পার্লামেন্টে এব্যাপারে
একটি বিল পাশ করবার-তাই নয় কি?
দিকে দিকে বিস্ময়-সত্য সেলুকাস-
বিচিত্র এ দেশ!


আড্ডাতে লেখা মুক্তমনের কবিতা।


                                      কথা দিলাম


                  দুঃখ হাজার কাজ নেই মা ঘুরছি দ্বারে দ্বারে-
                          ডিগ্রী অনেক নেই দাম মা রয়
                                     সে অনাদরে-


                  আকাশ মাটি কষ্ট অনেক বুকের মাঝে ধরা-
                      তবুও তোমায় রাগ করিনা-তোমায়
                              অনেক ভালোবাসি মা।


                তোমার আকাশ লিপ্ত রয় স্বাভিমানের রক্তে রাঙ্গা-
                   তোমার বাতাস সুবাস যে দেয়-লক্ষ শহীদ
                                  প্রাণ সে বোনা।


                 তোমার পাঁয়ের মুক্ত বেড়ি-আকাশ অনেক উড়ি-
                          তোমার সোনার রং সে ফাগুন-
                                 দুহাত জোড় করি।


                 আজকে তোমায় জল ছলছল-দেখছি তোমার চোখ-
                             বাঁধতে তোমায় ভ্রষ্টাচারে-মা
                                     বাড়ছে অসন্তোষ।


                  আজকে তোমার দুখী হৃদয়-কান্না অনেক শুনি-
                        তাই তো মা রক্ত গরম-চরম সে
                                      দিন গুনি।


             ঝাপ দিয়ে ওই তপ্ত শীশায়-জ্বালবো আগুন দিলেম কথা-
                    দুঃখ চোখের কান্না মুছে-শান্তি সোনার সুখের রঙ্গে-
                              বঙ্গোভূমি গড়বো মা।


ড. প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা চাঁদের আলো কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


                                               চন্দ্রবদন


                 চাঁদ সে তো স্বপ্নীল আভাময়-স্বপ্নের আবডালে হাসে-
                              চন্দ্রবদন তাই চাইনি কখনো-
                                      জীবন অবকাশে।


                     রুক্ষ কর্কশ তপ্ত মরুময়-জীবন চারনাক্ষেত্র-
                               হাসি কান্না বেদনা সংসার
                                         কুরুক্ষেত্র।

                       জীবন কখনো খোজে-প্রশান্ত লাবন্যময়ী-
                                স্বপ্নীল  চাঁদ হৃদয় জুরায়
                                      স্বপ্নীল হাতছানি।


                           সূর্যের কিরনেতে আকাশটা ছুতে চাই-
                                   চন্দ্র লাবণ্যময়ী ধরে নিতে
                                          বাঁধা নাই।


                           অলি কলি গুঞ্জনে-ধরা রাগ রাগিনী-
                                   চাঁদ তারা আকাশেতে
                                     কবিতার বাঁধুনী।


প্রিয়কবি এমকে চৌধুরী রানা মহাশয়ের আজ প্রকাশিত চাকচিক্য ইমিটেশন কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(বানান ও শব্দবিকৃতি ইচ্ছাকৃত)


ইমিটেশন


হক কথা কইছেন কত্তা।
মদনা দেইহা যা
ইমিটেশন কইছে কবি-
হেলার পো তোরে কতদিন
ধইরা কইত্যাসি-
ঐশ্যর্য্য রাঈ দেহিস না-
আমাগো পাড়ার মামুনিরে
বিহা কর।
হহিলো তো হক কথা।


প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত আজব দেশ কবিতার উত্তরে


কমেন্ট বক্সে লেখা আসরে ৫০০ তম কবিতা।


কড়াকড়ি


আজব দেশের ফন্দিফিকির-মন্দ সে নয় গল্প
এত্তোগুলান খেয়েনেয়ে-বলেন খেলাম অল্প।
অট্টহাসি সে কি রব-দুই পাড়াতে যায় যে শোনা-
হাসির রোল থামলে বলেন-মুচকি হাসি দিলেম সোনা।
সোনার কানের খিল তখনো-বন্ধ যেন দোর-
মুচকি হাসি আর না মামা-যাচ্ছি আমি দুর।
যেই দেশেতে পুলিশ নেতায় গৌড় নিতাই হরি
জনগনের সেই দেশেতে-ভীষন কড়াকড়ি।
জ্যান্ত মরা দেশটা ভরা-চক্ষু মুদে থাকতে হয়
দেখলে সেথায় বাড়াবাড়ি-বলহরি-বোল যে হয়।
অট্টহাসি খিল ধরা কান-কালার মতো রইতে হয়
শুনলে সেথায় দম দমা দম-কিলিয়ে কাঁঠাল পাকতে হয়।
শোন মদনা চলনা যাই-সেথায় খুলি হুকুমদারি
তুই ছিনতাই মন খুলে কর-আমি পুলিশ নেতা ধরি।


প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা আদর্শ বিচার কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ধর্মপ্রাণ


হায় রে হায়! কবির বিচার-কে ধার ধারে
আপনি বাঁচিলে বাপের নাম
কি কামে ওই বৃদ্ধাশ্রম-
আপনি আঁচারি ধর্ম-
কবি কি জানে!
নিজ প্রাণ নিজ ধন নিজ পরিবার
আঁচারি অগ্র-
কি কাম দেখিতে হইতে ব্যাগ্র-
যাক না চুলায় ধরা।
সে ঞ্জান কি আছে কবি!
মদনা দেইহা যা-কয় কি কবি!
আমাগো ধর্মের কথা কবিরে শুনাইলাম-
তুওই ক! ঠিক কইছি না!
আমরা হইলাম গিয়া অই-ধর্মপ্রাণ-
ঠিক কিনা-ক?