উত্তরে উত্তরে ৪০০ কবিতা আসরে অধিক ৪৫০
আজ আড্ডাতে লেখা কবিতা।
প্রশ্ন
এ আকাশ এ বাতাস এ পর্বত সাগর ভূমি-
রচিলে আপনো খেয়ালে-
হে অর্ন্তযামী।
অনন্ত মহাকাশে অসংখ্য গ্রহ তারা নিহারিকা সারি-
আলয়েতে বলয়েতে-দিলে সাঁজ
প্রাণ হরি।
তারি মাঝে এঁকে দিলে অম্লমধুরো প্রাণোসুধা-
দিকে দিকে কল্লোল সুখ দুখ
কুহেলিকা।
বয়ে চলে বয়ে চলে-হাসি কান্নার রোল তুলি-
শত ধায় বিকশিত আনন্দে
মন ভুলি-
জলধী তরঙ্গো লহু প্রাণে ঝড় তোলে-
শত ব্যথা আঁখি বহে-নীরবেতে
নির্ঝরে।
কান্নায় কান্নায় দশদিক মুখরিত-দুখ জরা বেদনার-
রং তুলি শত
কত।
অশ্রুমোচনে আজিকে ধরাতে প্রদাহ যন্ত্রণা-
ক্ষণে ক্ষনে ক্ষণে ক্ষণে-
বায়ু জল আকাশেতে-
শতেকো কুমন্ত্রণা।
বিষাক্ত অন্তর শত ছলনার বেশে গাহিবারে নাহি গান-
ছোবলেতে ছোবলেতে-ক্ষত জ্বালা যন্ত্রণা-
অনলেতে বহে প্রাণ।
শঙ্কাতে কাঁপে বুক নয়নেতে ধারা-অশ্রুতে বাঁধভাঙ্গা-
মাতা সন্তাণহারা।
পলে পলে শিহরণ বিস্ফোট কাঁড়ে প্রাণ-
দেশে আর বিদেশেতে-ধর্মেতে
অঙ্গাণ।
সন্তাণ প্রেমহারা মেকি দজ্জাল মতি-
কাঁদে মাতা কাঁদে পিতা-আশ্রমে
হীনো গতি।
শাসনের ছলাকলা-শাসকের দূর্ণীতি-
রাজপাট চোরাগলি-করুণার
পরিনতি।
এ কোন পহেলী রচিলে বিধাতা-সঘন ক্রন্দণো ভুমি-
আরো কি রচিয়াছো বহু-
দুখ সে সাগর-
মহাকাশে তুমি।
মহাকাল গহ্বর খাতে-অনন্ত অজানায়-হে প্রভু-
কভু কি রচিয়াছো সে ভুম-
আনন্দ অলোকোগঙ্গা-
মিলে যায় মোহনাতে-সদা প্রবাহিত সুখ সে
অলকোনন্দা।
দিয়েছো কি শীতল শুভ্র-কপটতাহীন শুদ্ধ হৃদয় মতি-
হেথা অস্থির ধরা-ঘৃনীতো
প্রাণোমতি।
সবলো হেথা প্রত্যহ আঘাত হানিছে-অশ্রু নির্ঝরে ঝড়ে-
রক্ত ঝঞ্ঝায় আকাশ ও বাতাস-হাহাকার
দ্বারে দ্বারে।
কোন সে সুদূর কোন সে গ্রহ-কোন সে নিহারিকা-
হিসেব কি দিতে তুমি প্রভু-
প্রেম সে ভুমি রচিলে তুমি-
হে রচয়িতা।
উত্তরে লেখা ছাড়াও কারগিল যুদ্ধের সময়ে লেখা কবিতাটি প্রকাশ দিলাম।
অহিংসক
চিরশান্তির দেশে এলো হানাদার-পিস্তল বন্ধুক হাতে কিম্ভুত কিমাকার। এছেছিলো এ দেশের মাটি করিতে দখল-
ভূস্বর্গ কাশ্মীরে হিমাদ্রিমন্ডিত
শিখর সকল।
তখনি উঠিলো সারাদেশ জুরে-একতার সুরে-ভেদাভেদ জাতপাত ভুলে-
বজ্রনিনাদে ধ্বনিত হইল-
বন্দেমাতরম।
একতার সে ধ্বনি প্রতিধ্বনি হইয়া ছড়াইলো দিকে দিকে।
গনদেবতা হইলো জাগ্রত স্বাভাবিকভাবে ব্যগ্রত-
হানাদার এসেছে যে দেশে।
বার্তা পৌছাইলো ঘরে ঘরে-শত্রুনিধন তরে দিতে হবে বলিদান-
গর্জে উঠিলো শত সহস্র বীর-বৌদ্ধ জৈন শিখ মারাঠা
হিন্দু ও মুসলমান।
দুনয়ন সজল হলো না মায়ের প্রাণপ্রিয় পূত্রকে করিয়া বিসর্জন-
অপর পূত্ররে দিলো পাঠাইয়া রণে-আত্মাহুতিতেই
চিরশান্তি পাবে তার মন।
এ মা মাটি মহান-এ দেশের সকল জওয়ান-
অক্ষয় অমর তব বীরগাঁথা-প্রণমি চরনযুগলে
ঠেকাইয়া মাথা-
নমি শত সহস্র বার এ মহান ভূমে।
গিড়িকন্দরে যুদ্ধে ভিঁড়িলো-এ মায়ের সেনানী সবে-
শত বলিদানে শত্রু নিধনে ইতিহাস
রচিতো হবে।
রণদামামা বাঁজিয়া উঠিলো-চোখের পলকো পড়িতে-
অহিংস জাতি টুটিয়া পড়িলো- হিংসা
জয় করিতে।
যুদ্ধবাজের ভাঙ্গিতে কোমর-গর্জিলো কামান শত শত-
হিংসা মারিয়া শান্তিরো দূত শহীদ
হইলো কতো।
বীরগন লহ প্রণাম-মোরা অনুগামী তব-
ভারত সেনাণী শুনাইলো যেই বাণী-
সেই সুরে সদা বাঁধা
রবো।
প্রিয়কবি বৃষ্টি মন্ডল মহাশয়ার আজ প্রকাশিত প্রেমের ফাঁদে কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(বছর কয়েক আগের ঘটনা। আমার এক বন্ধুর একমাত্র পুত্র প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্যানেলের জলে আত্মহত্যা করেছিল। তাই ঈশ্বরের কাছে আমার প্রর্থনা তিনি যেন ছলনাবিহীন প্রেমমার্গ প্রবৃত্তি প্রদান করেন প্রেমিক যুগলকে।)
যন্ত্রণা
প্রেম সে ঘাত অকূল ঝড়া-যদি নিভায় জীবনেরো স্পন্দণ-
বেদনার পারাবার সহিবার কিনারেতে-
যদি বির্ষজন।
না না না! না না না!
সহিবারে নারে বহিবারে নারে-
যতেকো যন্ত্রণা-
হৃদ পারাবার অকূল পাথার-পাহাড়
সমান মন্ত্রনা।
আকাশ যদি ভাঙ্গলো ধরায়-বাতাস রুধিত হলো-
প্রাণ সে কঠিন-দলিতো মলন-
হারায় যদিকো আলো।
প্রেম সে ঘাত অকূল ঝড়া-যদি নিভায় জীবনেরো স্পন্দণ-
বেদনার পারাবার সহিবার কিনারেতে-
যদি বির্ষজন!
ছলনা রহিতো প্রেম সে সুধা-মাগিবারে মন-
দাও সে ধরা সুমতি ঈশ্বর করিতে
যতেকো দাণ।
প্রিয়কবি সুবীর সেনগুপ্ত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অবসাদে নেই স্বাদ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মুরখ
কি হবে জীবনে অবসাদ বয়ে নিয়ে-যে কটা দিন দিয়েছেন ভগবান-
কি হবে অন্তরে জ্বলে পুড়ে-
জলে ভরে দুনয়ণ।
যে মুরখ সে জ্বলে-আমি জ্বলি নাই-
নিত্য নিরবধি-দুখ অবগুন্ঠণে-
আনন্দ গীতি গাই।
আমারে ঘেড়িয়া শত রক্ষ-কতনা উন্মাদ নৃত্য-
কতনা ছলনা-ছাল ছাড়াছাড়ি
ইতিবৃত্য-
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে-নিধি নিরশন-
আসনে বসনে গৈরীকধারি-
দলনে মলনে-দ'লে চিঁপে মেরে দি
শতেকো প্রহশণ।
প্রিয়কবি আতাম মিঞ(miya) মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত ছেঁড়া কথা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
১) যুদ্ধ সে তো সহজাত প্রবৃত্তি-যুদ্ধ জীবনের তরে-সবাই যুদ্ধবাজ-তফাৎ-কেউ জীবনযুদ্ধ কেউ-কেউ কামনা বাসনার তরে। ২) না না না লজ্জা পরখ করিস নারে-আসছে তেড়ে নির্ভয়া রে। ৩) ঞ্জানের আলো জ্বালো মনে-সতভাবনায় সংগোপনে। ৪) হেইডা ভালো কইলেন কর্ত্তা-ধর্মের অভাব নাই।
প্রিয়কবি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত গদি আর গদি কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
গদি
গদির ঘ্রাণ অতীব মহান-গদি সর্বশ্য সাতকাহন-
রংমহলের সাতমহলায় সপ্তসুখে
অবগাহন।
হাজার বাতির রঙ্গোশালায় দম্ভে ভরা যতির মেলাই-
রন্ধে রন্ধে শক্তি সোপান-
ভক্তি সেথা নাই-সৎ ভাবনার সৎসঙ্গ-
রঙ্গ তামাসাই।
বঙ্গজাতি দুর্বা দলন-
শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে বারণ-
নাইকো হেথায়
নাই।
সাত তামাসা দেশটি জুরে-কান্না ছড়ায় বাতাস দুরে-
দুকান ধরে আগুল গলে-শুনতে
মানা ভাই।
রংমহলের সাত তামাসায়-গদির
সুবাস চাই।
রং জমানায় রং বদলায়-নিমেষ বদল হয়-
ধন লুটিতে ওই ঝাপিতে-
গদির গতি পায়।
আম আদমি যাক না চুলায়-গদির নিমেষ ক্ষতি কি-
দু দশ সভা-মিছে কথা-ফুলঝুড়িতে
হিসেব দি!
গদির ঘ্রাণ অতীব মহান-গদি সর্বশ্য সাতকাহন-
রংমহলের সাতমহলায় সপ্তসুখে
অবগাহন।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত এমনি ধারায়-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
উত্তরে উত্তরের ৪০০ তম কবিতা।
হিসাব
যাপিতো অনেক রজনী নির্ঘুম-আঁখিপাতা বোঁজে নাই-
হিংসা ও বিদ্বেষে-হৃদমনে
জোটে নাই।
শুভ্র সে প্রভাতেতে-হিল্লোল মৃদু বায়ু-
মেলে নাই জীব খাতে-হিসাবটা
মেলে নাই।
অঙ্কুরে অঙ্কুরে ব্যথা দু্খ সারে সারে-
উড়ে ঘুরে ফিরে চলে-দ্বারে দ্বারে
বারে বারে।
প্রজাপতি ডানা মেলা-রং সুখ বন্যা-
রামধেণু মন চায়-ধরা ছোঁয়া
যায়না।
বায়নাতে ভারি ভারি-অসুখের বারতা-
ওপারটা কাঁদে ভাবে-তিতা
কটা চিঁরতা।
আমি মুনি বলে যাই-হৃদয়টা মেলে দাও-
দুদিনের জীবনেতে-প্রেম ডানা
উড়ে যাও-
আপনার যাহা কিছু-অনন্ত সুখ তাহে-
দুনিয়াটা বয়ে কেন-
কুহেলিতো
অন্তরে।