। ফ্রেন্ডশিপ ডে
আজ আড্ডাতে লেখা কবিতা
আধুনিক গদ্যছন্দ প্রয়াস ২৯
(বানান ও শব্দবিকৃতি ইচ্ছাকৃত)
বন্ধুত্য দিবস এইযুগে হেইটারে আর কেহই বন্ধু দিবস কয় না রে মদনা
হেইডা এখন হইলো গিয়া
ফ্রেন্ডশিপ ডে।
পৃত্যিদিবস মাতৃদিবশ শিক্ষক দিবস হেইগুলান
মুটামুটি এহনো ঠিক আছে-
পোলাপানের দিবস গুলাই সব কেমন যেন
গুলাইয়া গেল।
ভালোবাসা দিবস জেমন হইলো গিয়ে
ভ্যালেন্টাইনস ডে।
পার্কে পার্কে গাছের আড়ালে কিংবা ওই সেবক পাহাড়ে বা
করলা নদীর ধারের ওই নিরিবিলি বাগানডায়-
আচ্ছা ক তো মদনা হেই বন্ধু না
ফ্রেন্ডশিপ ডে টায়-
কি করিতে হয়।
সরকার আপনি হইলেন কবি-একখ্যান কাব্য লেখেন না-
হেইডা আসরে দিয়া দ্যান-
সবাই দ্যাখবো ভালো ভালো মন্তব্য কইরবো-
হেইডা দ্যাইখ্যা আমাগো বুকখান
ফুইলা উঠবো।
তাই কইস-তাইলে একখ্যান কাব্যই লিখি
এহনে ক কোন রূপে লিহি।
আগে ত পদ্য মানে পদ্যই আছিলো-
অহনে পাঁচমিশালি-ক দেহি-
পদ্যছন্দ না গদ্যছন্দ নাকি গদ্য পদ্য-
তুওই ক কোনডাত লিহি।
হের পর আবার লাইনের ব্যাপারটা-
একলাইনে লিখুম না দুইলাইন!
বড্ড হ্যাপা রে মদনা!
বড্ড হ্যাপা!
বুঝিলি।
সরকার আমাগো আবার ল্যাথালেঠির কাজটা রইসে না
আইজকে ওই দুই লাইনেই
সারেন কত্তা।
তাই কইলি-ঠিক আসে-হেইডাই
ভাল হইবো-তাইলে শুরু করি।
করেন কত্তা।
"বন্ধু জে হয় মন্দ নহে লেজ উল্টায় পালায় নাকো-
ডুবলে তরী ডুবকি না দেয় মেঘের তলায়
সূর্য মতো"
প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "বিচ্ছেদ" কবিতার কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
দ্রোহ
আপন আপন বিচার ধরে শ্রেয়-কেহ কারে সহিবারে নারে
সংসারে বাড়ে দ্রোহ-
কুঁড়ি কুঁড়ি যন্ত্রণা-জল বায়ু হাওয়া মেতে-
ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে সংসার
কাননেতে।
ঘন কালো মেঘে ছায়-গুরু গুরু গর্জণ-
অসনীত চমকেতে জলে ভরে
দুনয়ণ।
বায়ু বেগ গতি ধায়-এলোমেলো শাখা সবে-
ভৈরব ধেয়ে এলো-ভীতি প্রাণে
শত রবে।
উত্তাল উদ্দম শাখা বারি নাগপাশে-
ধেয়ে ধেয়ে আসে ঝড়-পাণবায়ু
আকাশেতে।
হৃদপাণ হাহাকার নীড় ভাঙ্গা কান্নায়-
বায়ুবেগ ধীরে কমে-মনোকাশে
বন্যায়।
ভাবনার দূষণেতে আঁখিজল ঝড়ে নীড়ে-
ফিরে চাওয়া রোদনেতে-ঘুড়ে ফিরে
বারে বারে।
প্রিয়কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের লেখা আলোর প্রতীক্ষা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা গান।
রুদ্র
দিকে দিকে আজিকে বহ্নিঝড়া তপ্ত বালুকারাশী-
শীতল আলোক ঝড়াও ভূবন
কোমলো বৃক্ষরাজী।
বেদনায় প্রাণ কান্নার রোল-লহুঝড়া উত্তাপ-
রুদ্রবীণায় ধরনী আজিকে-ধ্বংস
রুদ্র সাঁজ।
কান্নার রোল বহিছে ভূবণ-প্রলয়ো নাচনো গীত-
দিকে দিকে দিকে ধ্বংস বাণী-
করুণো সঙ্গীত।
চৌদিকে আজিকে বহ্নিঝড়া তপ্ত বালুকারাশী-
শীতল আলোক ঝড়াও ভূবন
কোমলো বৃক্ষরাজী।
বৃক্ষচ্ছেদে গরল সে প্রাণ-তপ্ত অমানীশা-
নাই খুজে পাই নাইরে বাদল-নাইরে
পথের দিশা।
ধ্বংস সোপান মর্মর তান হিংসা ঝড়া প্রাণ-
শান্তি নীলে লহর তোলে-কান্না
ঝড়া গান।
স্রস্টা তুমি সজল ভূমি-সোনার দিলেন আলো-
গরল মতি দুষ্ট মানব-দ্বেষ
বিদ্বেশ কালো-
আকাশ নীলে ধ্বংসে মাতে-যুদ্ধ করে খেলা-
হেলায় সে দান বৃক্ষরাজী-
চরম অবহেলা।
গাইতে নারি বইতে নারি-সৃষ্টি সৃজন গান-
বৃক্ষচ্ছেদে গরল বায়ু-বইতে
নারি প্রান।
দিকে দিকে আজিকে বহ্নিঝড়া তপ্ত বালুকারাশী-
শীতল আলোক ঝড়াও ভূবন
কোমলো বৃক্ষরাজী।
প্রিয়কবি রিঙ্কু রায় (আবৃতিকার) মহাশয়ার গতকাল আসরে প্রকাশিত কবিতা "কবির প্রতি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা গান।
সপ্তশিখা
এখন দেখি যে ধরায় ধূলিস্যাত ধরনীর সন্তান-
দিকে দিকে ভয় ও আর্ত ক্রন্দণ
বহমান।
সবলো দম্ভেতে মাতে-নির্বলো দুখেরো কিনারেতে-
মানবাতা পথে পথে হানিত শাণিত
কুঠারাঘাতে।
দিকে দিকে লহুস্রোত-মেকি ধর্মের ধ্বজার তল-
হেরিতে হৃদয় বিস্ফোট ধ্বনী-
গহীনো অতল।
আজিকে ধরায় তপ্ত রবি-ঝড়ায় আগুন তপ্ত আলোক-
সপ্তশিখায় শিঙ্গা ফুকায়-রক্ত হোলী
খেলছে দানব।
আজিকে ধরায় শ্বাপদো রাজ-শঙ্কা জাগে প্রাণে-
গরল সে প্রাণ মাতমো মানায়-
দুঃখ অনেক অপমানে।
প্রশান্তিরি অরুন আলোক-গাইছি অলক রবি-
তপ্ত ধরা মাগিছে আজি-দীপ্ত
তোমার ছবি।
পুনঃ সে সুর ঝড়াও ধরায়-করুণ অরুণ মাগি-
হৃদয় কমল অলির সুবাস-চাইছি
আমি কবি।
প্রিয়কবি বৃষ্টি মন্ডল এর আসরে প্রকাশিত "গাঁয়ের ছেলে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আধুনিক গদ্যছন্দ প্রয়াস 30
রঙ্গভূমি
ধনের বলে বলিয়ান হয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে নেই
পরম কৃপাময় ঈশ্বর দ্বারা
সৃষ্ট এ ধরনী।
মানবকূল তার শ্রেষ্ট সম্পদ
তার ইচ্ছেয় ধনী তার
হিচ্ছেই গরীব।
জীবন রঙ্গভূমিতে বিভিন্ন আঙ্গিকে তিনি সাঁজিয়েছেন
এই সমাজ-নাটক চলতেই
থাকে।
একসময় যবনিকাপাত হয়।
সামান্য এই সময় যা কিনা মহাকাল এর বিচারে
তুচ্ছ থেকে তুচ্ছতর-উপেক্ষা করবার
সামিল-
এই সময়টুকুতেই আমরা হানাহানি বিদ্বেষে
মেতে উঠি।
ধনী আরোও ধন কামনায় লালায়িত বিভিন্ন ছলনাতে
মেতে ওঠে-দারিদ্রতার চরম সীমানায় দরিদ্র মানুষ
বিভিন্ন পাপকার্যে হয় ব্রতি-
আর পরম কৃপাময় ঈশ্বর আড়াল থেকে মুচকি হাসেন
এসব দৃশ্য দেখে কারন তিনি তো সর্বঞ্জানী-
জানেন সব প্রানেরই ইতিবৃত্য।
হাসতে থাকেন।
যে অনাবিল সুখের সাগর পরিব্যাপ্ত দিয়েছেন
মানবকুলের অনুভূতিতে-সহানুভূতিতে-
সহানুমর্মিতায়-ভাব এবং
ভালোবাসায়-
সামান্য ধন পিপাসায় সে সাগর অনাদৃত অব্যবহৃত
হাসতে থাকেন। হাসতে থাকেন
ছলনায়।
প্রিয়কবি ইবনে মিজান মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "কে বাঁচাবে কাকা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ঢাকা
হায়রে ঢাকা এমন হাল-হলিরে কবে তুই-
তোর দুঃখে পরান ভাসে-
সত্যি ঢাকা কই।
পুরঃ প্রণালী এমন কাঁচা-বন্যা কেন হয় রে বল-
ঢাকা তোর রুপটা ভাল-
এমন রুগ্ন বর্ষাকাল!
ঢাকা তোর ওই মেয়র টাকে-দিচ্ছি আমি মন্ত্রণা-
তোর অসহায় এই রুপটি-দেয় যে
আমায় যন্ত্রণা।
এদেশ ওদেশ একটু ঘুড়া-মেয়র টাকে তোর-
দেখুক না হয় শিখুক বারিক-বন্যা
কেমন রোধ।
প্রিয়কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "কবিতা পর্যটন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কবিতা
কবিতা আমার হৃদয় কাহিনী
কবিতা আমার সতীন জীবনি।
কবিতা আমার প্রেমিকা রাধা
কবিতা যুগে যুগে আমায় বানায় গাধা।
কবিতা আমার দুঃখ করন সুধা
কবিতা আমার বউ এর কাছে ধাঁধা।
কবিতা আমার হৃদয় কাঁদে দুখে
কবিতা আমার গিন্নি অনেক কাঁদে।
কবিতা আমার হৃদ মাঝারে রয়
কবিতা আমার বউ সদাই কটু কথা কয়।
কবিতা তুই আমার করন সুধা
কবিতা তুই আমার কাজের বাধা।
কবিতা সব ভুলে যাই তুই যে প্রাণ
কবিতা দুহাত জুড়ি ধরছি দুহাত কান।
কবিতা তুই আমারে দিস না ছুটি
কবিতা তোরে অনেক ভালোবাসি।