প্রিয়কবি খসা হক কবিতা "আধুনা কবিতায় শংকা জাগে" উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা।
আহ্বাণ
ঘন তমসা ভরা রজনী-সখী এ কি ছলনা-এ কি ছলনা তোহে-
হৃদয়বীনায় কোন সে সুর-
কোন রাগিনী-কথা-
কহে।
কোন সে কুহেলি বাঁধিলি রে মন-কোন সে পহেলী-
আঁধার ঘন কোন সে গলি-
কোন সে পথ-হে মোর-
মন সহেলী।
কুহুক কুহুক ডাক নাহি পাই-সুর সে ছন্দডালি-
এ কোন বন-কোন তমসায়-
পথ হারালি।
ঘন তমসা ভরা রজনী-সখী এ কি ছলনা-এ কি ছলনা তোহে-
হৃদয়বীনায় কোন সে সুর-কোন রাগিনী-
কথা কহে।
ফিরে আয় সখী-ফিয়ে আয় সখী-ছলনা কঠিন ভূম-
আয় ফিয়ে আয়-আয় ফিরে আয়-
সে মন মতিভ্রম।
প্রিয়কবি সৌভিক সানি কবিতা অনুকরন এক্ষুনি উত্তর বক্সে লেখা কবিতা।
আগমণী
জাগবো মোরা জাগবে জাতি- জাগবে তরুন দল-
সেই আশাতেই বুক যে বাঁধি-
রাত্র দিবা কাব্য-
ছল।
ছলনাতে ওদের বুকে শানাই রাগের বাণ-
সেই ছলনায় জাগলে কভু-
জাগবে তরুন-
দল।
দল দলেতে তরুন বুকে-কুন্ডলিত দুখ-
উড়িয়ে ধুলো মাড়িয়ে কালো-
আনবে শতেক-
সুখ।
সৎ ভাবনায় ভরবে হৃদয়-জ্বালবে সত্য সৎ-
জাগবে জাতি জাগবে ধরা-
প্রাণ সে মহৎ।
সেই দিনেতে গাইবে পাখি সুখের পরম বাণী-
চৌদিকেতে ঊষার আলো-
শুনছি আগমণী।
প্রিয়কবি আর্য্তীর্থ কবিতা "রোগের ওষুদ" উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেকা কবিতা।
তুকতাক
চলো করি তুকতাক-ছুক ছাঁক মন্ত্র-
ওইখানে তান্ত্রিক ভুতধরা-
যন্ত্র।
ফুক দিয়ে ছাই টাকে-উড়িয়েই দেয় যদি-
কিম তার দলবল-মন্দিরে মাথা-
ঠুকি-
খিচুরি আর রাবরিতে-দরিদ্র নারায়ন-
সেবায়িত হয়ে প্রাণ-গরীবেরে-
করে দান।
তুকতাক শক্তিতে রাখো প্রান ভক্তি-
চলো যাই তান্ত্রিকে-বলি দিতে-
শক্তি।
শক্তিতে বলীয়ান-হই চলো আগুয়ান-
তুকতাক মন্ত্রের চলো-
গাহি জয়গান।
তুকতাক ছাই নিয়ে-অমানুষ বলি দিতে-
তুকতাক ছাই দিয়ে-মন দিতে-
বদলাতে।
কাশ্মীরে তুমি দিবে-তুকতাক ভস্ম-
আমি দিব ডোনান্ডে-কিম-
কাকস্য।
চায়নাতে যাবে কে-তারাতারি হাত তোল-
বেশী নয় একমুঠো গুনধরা-
ছাই তোল।
ভয় নাই পাহাড়েতে-বিমলেতে সুবিমল-
ছাই দিলে বদলাবে-সে ও-
তার দলবল।
তাই ভাই দেরী নয়-দলে দলে যোগ দাও-
বেশী নয় একমুঠো-তুকতাক
ছাই নাও।
আজ আসরে লেখা। পরে পরিমার্জিত করা হয়েছে যা কিনা ছন্দময় কবিতা আবেশের বশে লিখলে দরকার পরে না। গদ্যের ছন্দে লেখবার প্রয়াস-দুই।
জীবন গান
জীবন সে তো গানের মতন-কখনো উঁচু কখনো নিচু-
সুর তাল লয় গতি-ভাষা সম্পৃতি
কি নেই এখানে।
কখনো আনন্দে উদ্বেল হই-দারুন সুর তাল লয় গতি-
আশা ভাষা ভালবাসা-
প্রেম প্রীতি সম্পৃতি-
যেন সুরেলা কিশোর কুমারের-
ধরা গান।
সে গানের আবেশে দিনগুনি দারুন তাল লয়ে-
আনন্দে উল্লাসে-কখন কিভাবে বয়ে যায়-
সাবলীল ছন্দে-
বুঝেও উঠি
না-
হুশ ফেরে যখন তাল কেটে যায় বেদনায়-
চিৎকার করে কেঁদে উঠি-
তখন সে সুর খাদে-ব্যথা বেদনা বিরহের-
সুর।
সে সুরে আসেপাশে সনিগ্ধ্য উতফুল্ল চোখগুনি-
যেন দারুন সঙ্গদ দেয়-
তবলা হারমনিয়াম ঝুনঝুনি-আবার কেউ কেউ-
ড্রাম খোল করতাল ইত্যাদি-
ইত্যাদিতে।
জীবন সে তো গানের মতন-কখনো উঁচু কখনো নিচু-
সুর তাল লয় গতি-ভাষা সম্পৃতি
কি নেই এখানে।
কখনো আনন্দে উদ্বেল হই-দারুন সুর তাল লয় গতি-
আশা ভাষা ভালবাসা- প্রেম প্রীতি সম্পৃতি-
যেন সুরেলা কিশোর কুমারের-
ধরা গান।
প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার কবিতা "আস্থার শরণে-(ব্যঙ্গ) উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আস্থা
বিপিনবাবুর আস্থা ভীষন-বস্তা বস্তা তাই-
প্রতিদিনই কেনেন টিকিট-
লটারিতে ভাই।
পাবেই পাবেন আস্থা তার-লক্ষ কোটি টাকা-
সেই আস্থায় ঘর চলেনা-
করেন বেতন-
ফাঁকা-
বউ এর সোনা বিক্রি হোল-মেয়ের কানের দুল-
বিপিন বলে ভুলেও এবার-
করবো না মা-
ভুল।
শূন্য পাঁচ টিকিট টাতে লাগবে দশ কোটি-
হাজার টাকা গুনিন নিল-
আস্থা ফাটাফাটি।
আস্থা বলে অনেক ঘুরে-শূন্য পাঁচ খুজে পেল-
বিপিন নাচে-সোনা বেঁচে অনেক টিকিট-
কিনে নিল।
বিপিন তখন করন সুধা-গিন্নি বলে গাধা-
বিপিন বলে-এভাবে আর থাকবো না-
রাধা।
দশতলা এক মস্ত বাড়ি-এম্বাসেডার গাড়ি-
গহনা সোনা ভরিয়ে দেবো-আস্থা-
গড়াগড়ি।
রাত পোহালো বিপিন তো নাই খোজ খোজ সেউঠলো রব-
রাস্তাপানে অনেক লোক-
করছে কেন কলরব।
সেই রবেতে দৌড়ে গলাম ব্যাপারখানা কি-
সামনে দেখি গিন্নি বিপিন করছে-
কান্নাকাটি-
কাল রাতেতেই আমগাছেতে-আস্থা ঝুলেছে-
লম্বা ফাঁসি দিয়ে বিপিন-
আস্থা মরেছে।