ভাগ্যের পরিহাস(ব্যাঙ্গ)প্রিয়কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের লেখা আজকের কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


।                              সুপ্রত্র(ব্যাঙ্গ)


             ওরে ওই নয়নমনি-ছিলি তুই আঁখির তুলি-
                         হৃদয় প্রাণের গান-
                  তোর তরেতে জীবন দিলাম-
                       তুই ছিলি মোর প্রাণ।


        তোর ওই চাকরি তরে-সোনাদানা দিলেম বেঁচে-
                          ভিটে ভুম ভুই-


         সোনা তুই পালিয়ে গেলি-বিদেশ ভুই ভ্রমর অলি-
                     সোনা তুই প্রিয়ায় ভুলি-
                      দুরে দিলি দুরে ঠেলি-
                         শূন্য আমার প্রাণ।


             সোনা তুই ছোট্ট ছিলি-ছিলি খুব ছলবলি-
                    মরাবাপ মা অন্ত প্রাণ।


             তোর ওই শিক্ষা তরে-জাগা রাত হসপিটালে-
                        দিনেতে পরের ঘর-
               দুপসা দিনে রাতে-সেবা দিয়ে মানুষেতে-
                    এখন আমায় দিলি পর।


            সোনা তুই সুখেই থাক-চোখঝরে দিনে রাত-
                    আমার আছে দীন দুনিয়া-
                       হব পার ভবের হাট।


আমার লেখা কবিতা উত্তরে উত্তরে কবিতায় সোমালীনিরঝরা(মৃনালীনি) মহাশয়ার মন্তব্যের উত্তরে কমেন্ট                                    বক্সে আজ লেখা কবিতা।


                          ফাগুন রং


           হৃদয় আমার ভাসিয়ে দিলে মিষ্টি মধুর বুলি-
                  আগুন মাখা ফাগুন রঙ্গে-
                    ছন্দেতে সুর তুলি।


            ঝরনা ঝরা সেই সুরেতে- হৃদয় কথা লেখা-
                 স্বপ্নবিদুর প্রাণ যে আমার-
                      কবিতারি গাঁথা।


            হারিয়ে গিয়ে গহন মনে হৃদয় কিনারেতে-
                জল হাওয়া রোদ-আকাশ বাতাস-
                     নয়নেতে ভাসে।


          দোল দোদ্যুলে মনটি মাতে-আকাশ মাটি পাই-
                   এই ধরাকে ভালোবেসে-
                     সাম্যেরই গীত গাই।


           নয়নতারায় স্বপ্ন আঁকি-সুর প্রভাতের রংটি দেখি-
                    সাগরজলে প্রাণটি মিলে-
                      গগনেতে ধরা পাখি।


            লহমাতে দুঃখ ভুলি-হৃদয় প্রাণ জল উছলি-
                    আলোক রবির সুর বন্যায়-
                     সুখ দুঃখ প্রাণ আকাশে-
                          কবিতাতে-
                           সুর তুলি।


প্রিয়কবি খশা হক মহাশয়ের লেখা কবিতা ঝড় এ অনপ্রাণীত হয়ে উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতাঃ

                         দোচালার ভীতি।


            ঝড় উঠেছে ঝড় উঠেছে -দোচালার প্রানভীতি-
                 প্রলয়ো তান্ডবো প্রবলো বহিছে-
                        ধ্বংস গান গীতি।


           ঘন ভৈরবো আছরিত প্রাণ -বায়ু জল বরোষনে-
                    দুরুদুরু সে কাঁপিছে বক্ষ-
                          নির্দয় আছরনে-


         দোচালাটা দোলে পবনো সমীপে-চাল যায় উড়ে-
                    সমীরণ সনে-ঘুড়ে উড়ে –
                       চলে যায় বহুদুরে।


        আবাসিক প্রাণ মুক্ত বাতাসে-ভীতি সঞ্চিত প্রানে-
                       রামনাম রাম রাম-
                        উছলিত গানে।


         গগন সমীপে ভুতল বৃক্ষ-গুরু গম্ভীরো প্রহারণে-
             ক্ষনিকের তান্ডবে-চৌদিকে প্রহারিত-
                     দীনো ধর্ষিত প্রানে।


প্রিয়কবি অনিমেষ দন্ডপাঠ মহাশয়ের লেখা নিশি যাপন কবিতায় মন্তব্য আদান প্রদানে কথোপকথনে লেখা কবিতা।


                           শ্রদ্ধার্ঘ্য


          তোমার দেশে তোমার কাজে-বলবোটা কি আর-
                   দেশের তরে তোমরা ভোল –
                        ব্যথার পারাবার-


         কবির পিতা সেই দেশেতে-জীবনভরের সাথি-
                    বছর মাঝে দশটি মাস-
                      তার বিহনে রাতি।


          আসতো যখন আপন গৃহে -বইতো খুশির গান-
                    বাবার সনে হৃদয়বীনায় –
                     ধরতো মধুর গান।


          বিদায়বেলায় হৃদয়নীলে-ঝড়তো অনেক বারি-
                     যখন বাবা যেতেন চলে-
                         কর্মস্থলে তারি।


                      গর্বে ভরে হৃদয় প্রাণ –
                         গাহি তাদের-
                           অমৃতপ্রাণ-

          অনেক ব্যথা বুকে ধরে-মাতৃভুমি দেশের তরে,
                    ঘর হতে দুর অনেক দুরে-
                      পাহাড় নদী বনবাদারে-


             ভক্তি শুধুই তাদের তরে-শুদ্ধ তারা প্রাণ-
          শ্রদ্ধাসনে নোয়াই মাথা-গাইবো তাদের কতকথা-
                   তোমরা মোদের হৃদমাঝারে –
                         সদাই অম্লান।


আমার স্বাধীনতা -প্রিয়কবি রেজুয়ান চৌধুরীর লেখা কবিতায় অনুপ্রাণীত হয়ে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতাঃ


                       আমার স্বাধীনতা


স্বাধীনতা স্বাধীনতা স্বাধীনতা প্রাণ -স্বাধীনতা স্বাধীনতা স্বাধীনতা গান-
     সেই গানে বুলবুলি-সেই গানে সুর তুলি-উঁচুগ্রামে লপ্ত –
                    স্বাধীনতা স্বাধীনতা-
                       শত শহীদের-
                            রক্ত।


          সেই বাণী বুকে ধরি-দিকে দিকে দিকে ফিরি-
          প্রাণ আলো বায়ু জল -মাটি গাছ সোনা ফল-
                     সোনা রং রোদ্দুরে-
            দেবো দুরে ছুড়ে ফেলে-অনাচারী ভ্রষ্ট-
                  দেশভাল দেখে যারা-
                      দুরা প্রাণ নষ্ট।


         করজোরে ভুমে চুমি-মাতা ভুম মাতা তুমি-
               পণ ধরি প্রানেতে-ধরি মন মানতে-
                       অনাচারী দুরাচারী-


          যত আছে প্রীরাদায়ী-শোষনের কাঙ্গাল-
                     ঐ দ্যাখ পুবাকাশে-
                  কালো মেঘ আসে ভেসে-
                      ঝঞ্জার প্রাতকাল-


         দেশগানে মন মেতে -শহীদের বাণী সাথে-
                   রক্তেতে হোলি মেতে-
                            অবশান।


স্বাধীনতা স্বাধীনতা স্বাধীনতা প্রাণ -স্বাধীনতা স্বাধীনতা স্বাধীনতা গান-
      সেই গানে বুলবুলি-সেই গানে সুর তুলি-উঁচুগ্রামে লপ্ত –
                    স্বাধীনতা স্বাধীনতা-
                      শত শহীদের-
                            রক্ত।