প্রিয়কবি আতাম মিঞ্চা মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "অস্থির সময়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে এক্ষুনি লেখা কবিতা।
, আগুন জ্বাল
আগুন জ্বাল আগুন জ্বাল আগুন জ্বাল-
গুপ্ত ব্যথায় হৃদয় জ্বারন-
সেই বহ্নী-আকাশ-
আলো-
আগুন জ্বাল আগুন জ্বাল-
আগুন জ্বাল-
তপ্ত ধরা শ্বাপদ ভরা-হিংসা দ্বেষ জর্জরিত-
ভ্রষ্টাচার অনেক জ্বালা-
চোখের জল-
দূর হটো।
অনেক জলের আধার জমে-সাগর গেছে ভরে-
তপ্তশিখায় সেই লহুতে-
বহ্নীশিখা আগুন-
জ্বালো-
আগুন জ্বাল আগুন জ্বাল-
আগুন জ্বাল-
গুপ্ত ব্যথায় হৃদয় জ্বারন-সেই বহ্নী-আকাশ আলো-
আগুন জ্বাল আগুন জ্বাল-
আগুন জ্বালো।
সেই আগুনে দুষ্টমতি-এই সমাজের দুষ্ট প্রাণ-
হাজার কোটি বহ্নীশিখায়-লহমাতে-
খানখান।
ক্ষুদ্রপাণে একক প্রাণে-ক্ষুদ্র শিখা এই ভূবনে-
জ্বালবে আগুন দাবানলের-দুষ্টপ্রানের-
সাতমহলে।
এই ধরাতে প্রাণ ধারাতে-শ্বশান গতি ওই-
ভয় কি রে ভাই-নিভেই গেলাম-
সাঁজবেলাতেই।।
তাই বলি ভাই আগুন জ্বাল-মন ফাগুনের সেই কিনারে-
মারবো শত মরবো কত-পরবে কাঁটা-
যম দুয়েরে।
প্রিয়কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গায়ের পাশে বাঁধের ধারে"কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কলসি কাঁখে
ওই সে যায় কলসি কাঁখে-
গাঁয়ের বধু মেঠো পথে-
নদীর কিনারায়-
লজ্জাতে তার মুখটি ঢাকা-শাড়ির আঁচল
ঘোমটা কাটা-
ছলাৎ ছলাৎ ওই কূলেতে-রবির-
কিরন লাল আলোতে-
অস্তাচলের
গান-
নীল আকাশে পুঞ্জ মেঘে-
লাল আবিরের দোল
অভিরাম-
পুঞ্জে পুঞ্জে শ্বেত বলাকা-
গগন চুমে হচ্ছে
ফিকে-
ঝুম ঝুম ঝুম আঁধার নামে-
পাখির রবে দিকে-
দিকে-
ত্রস্ত্র পায়ে গায়ের বধু-
ফিরছে আপন নীড়
আলয়ে-
ছলাৎ ছলাৎ পানির ডিঙ্গা-
অস্ত রবি দূর-
বলয়ে।
প্রিয়কবি দীপঙ্কর বেরা মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আমার এ গ্রাম" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হাতছানি
অপরুপ গ্রামখানি-স্মৃতিপটে দিল ধরা-
মেঘ আর কুয়াসাতে-অপরুপ-
মনোহরা।
দৃষ্টিতে নন্দিত সবুজের ঢল-
তারি মাঝে আলোছায়ে-
জীবনো সচল।
সেই ধরা গ্রামখানি-হাতছানি দিল খুব-
হৃদয়ের গহীনেতে-ধূপছায়া-
রোদ্দুর।
সোনালী সে গ্রামখানি-হৃদয়েতে মাতামাতি-
আকাশকে ধরাছোঁয়া-সুরোধ্বনী-
গাহে পাখি।
ঝির্ ঝির্ ঝর্নাতে-অশান্ত বহে জল-
কলকল সুরোধ্বনী-জীবনেটা
পাই বল।
সকালেতে সোনারবি-হামাগুড়ি দেয় ঘর-
আলো প্রাণ জাগে প্রাণে-শুচি-
মন অন্তর।
প্রিয়কবি আতাম মিঞ্চা মহাশয়ের কাল প্রকাশিত কবিতা "কস্মিক প্রিয়া" কবিতার উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
দিব্য প্রেম
পুনঃ সে মন্দির শিরোনাম-
অবাক বিস্ময়!
জাগিল হৃদয় সে দারুনো শীহরণে-
অঞ্জলি ধরা দিল প্রাণে-
হাসিল আকাশ হাসিল বাতাস-
বিহঙ্গ মাতিলো সুমধুরো-
গানে-
অলকোনন্দা ঝড়িলো ভূবনে-
মহালয়ে সুশীতলো নয়নো-
সমীরণে-
হেরিলা ফিরিনু নাকি দিবা স্বপ্নের ছল-
দুনয়নে ধারা নামে-আনন্দে উচ্চ্ল-
সুন্দর এক পৃথ্থী-
ব্যকারনে।
ভক্ত সে এক করিলো প্রনাম-
বৃদ্ধা সে জীর্ণ-
ভিখারিনী-
জীর্ন চরন দুটি-মন্দিরো সমীপে-দীর্ণ শীর্ণ-
একাকিনী।
নয়নোযুল আঁখি মুদিলাম-
সহস্র প্রনাম করি সে-
ভক্তরে-
ভগবান এমত দিব্য প্রেম-
দাও দাও দাও ঢালি-
সবাকার-
অন্তরে।
উত্তরে উত্তরে ২৮ এ প্রিয়কবি মোঃ আরিফ হোসেন সর্দর ও প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের মন্তব্যের উত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা। কবিতাটি শুরু হয়েছিল প্রিয়কবি মোঃ আ,হো সর্দায় মহাশয়ের কমেন্ট বক্সে ও শেষ হয়েছে প্রিয়কবি খসা হক মহাশয়ের কমেন্টের উত্তরে।
শুদ্ধমতি
বেশ আবেশে গেলাম ভেসে-কল্পলোকের সেই দুনিয়ায়-
অঝোর ঝরা দিব্য প্রেম-ভাসিয়ে-
খেয়া সেই মদিরায়।
অচিনপুরের সেই দেশেতে-দিব্য আলোক বারি-
বইতে নারি সইতে নারি-
দিব্য আলোক ভারী-
সেই সুধারই খানিক ছোঁয়াচ-
তৃপ্ত হলেম মতি-
কাব্যগাঁথায় মন মিলে দি-
দিব্যসুধারতি।
পেমের বাণী স্বপ্নগাঁথায় হৃদ আকাশে উড়ি-
ঈশ্বরেতে মন মিলে দি-
কাব্যে সুহাগ ভরি।
পয়গম্বর শুদ্ধমতি-ওই যে আমার দৃষ্টিপানে-
সেই ঠিকানায় মন হারিয়ে-
কাব্যগাঁথা গানে-
গানে।
প্রিয়কবি খলিলুর রহমান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বানর রাজ্যে ইতিহাস" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা।
বিজয়ধ্বনী
হানাহানি চক্রান্ত জাতিবিদ্বেশে জর্জরিত গোষ্টি কখনই-
শীর্ষস্থানে থাকিতে পারে না-
তাই বলে হায়নার রাজত্বও মেনে নেওয়া-
সমুচিত হবে কি?
আসুন না সবাই মিলে জাতিকোন্দল দ্বেষ বিদ্বেষ ভুলে-
এক প্রাণ এক জাতিতত্বে-ভাতৃত্ব্যের বন্ধনে-
গড়ে তুলি সেই সাম্রাজ্য-
যেখানে রইবে না জাত পাত দ্বেষ বিদ্বেষ-
হানাহানি-ঘাত প্রতিঘাত-
অনুরনন।
শ্বাশত শান্তির বানী খেলে যাবে মন্দিরে মসজীদে গীর্জায়-
উচ্চশীরে উচ্চগামে ঘোষিত হবে-সে বিজয়ধ্বনী-
আমরাই-আমরাই এই পৃথীবির-
সর্বশ্রেষ্ট প্রাণী-বাঁদর নয়-
মানুষ।