আড্ডায় লেখা
প্রধানমন্ত্রী (11)


আর যে সকল শিক্ষিত বেকার যুবকেরা বেকার ভাতা পাবে
তারা তাদের নিয়োজিত করুন ভষ্ট্রাচারের বিরুদ্ধে
লড়াই করবার জন্যে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এ কাজের জন্যে সম্মান প্রদান করবে।
এককভাবে বা গ্রুপ বানিয়ে যে কোনো রকম ভ্রষ্টাচার
প্রমানসহ ধরিয়ে দিতে পারলে সাম্মানিক
প্রদানের ব্যাবস্থা রইলো।
নুন্যতম সাম্মানিক হবে ৫০ হাজার টাকা সর্বাধিক ২৫ লক্ষ।
গুণাগুণ বিচার করে সাম্মানিক এর রাশি ঠিক করবে
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
ভ্রষ্টাচারের বিলুপ্তির সাথে সাথে আপনারাও
স্বনির্ভরতার পথে অনেকখানি
এগিয়ে যেতে পারবেন।
কাজ করুন দেশের ভ্রষ্টাচার বিলোপ করবার জন্য।
কাজ করুন বেকারত্বের জ্বালা যন্ত্রণা থেকে
মুক্তি পাবার জন্যে।
কাজ দিলাম কাজ করুন-ভাতার টাকা তো থাকছেই-
বছরে বছরে সাম্মানিকের টাকা তুলুন-
স্বনির্ভর হোন।
একাজে বিশেষ পরিমান রাশি দরকার হলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে
ই মেইলে যথাযত কারন জানিয়ে বিশেষ দেওয়া ই পোর্টালে
ই মেইল করুন।
বিচার বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে সে রাশি প্রদান করা হবে।
ধন্যবাদ। জয় হিন্দ বন্দেমাতরম।


মুক্ত মনের লেখা
আক্ষেপ


প্রিয় নৃতীকা ভালো আছো তো! আশাকরি ভালো আছো।
পরম করুণাময় ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থণা-
সদা ভালো থাকো তুমি কেননা তুমি আমার
হৃদয়ের রানী।
মনে আছে কি সেদিনের কথা।
তুমি বায়না ধরলে সে মিষ্টির দোকানে বসে-
আটটা বেজে গেছে আর আমি বাড়ি যেতে পারবোনা!
তোমার সাথে নিয়ে চলো আমায় চির জীবনের জন্যে।
আমি সিগারেট আনবার ছলে
তোমাকে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলাম-
তোমাকে একা ফেলে-
তখন তো আমি বেকার ছিলাম-বয়সেও নাদান।
তবুও তুমি সম্পর্ক রেখেছিলে।
তারপর যখন তোমার বিয়ে ঠিক হলো-আমাকে বললে-
আমি কি বলেছিলেম মনে আছে কি?
বলেছিলেম আমাকে পেতে গেলে অন্তত
আরো তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে-
যদি না পারো-বাবা মার কথা মেনে নাও।
তুমি মেনে নিলে।
আমারও গতি হয়েছে-তবে দাম্পত্য কলহ-সে  চরম সীমানায়-
সে তুমি কল্পনাও করতে পারবে না।
আমি জানি তোমাকে পেলে আমার জীবন
অন্যরকম হতো-এখন আক্ষেপ হয়-
কেন সেদিন কাপুরুষের মতো
তোমায় ফেলে পালিয়ে গেলাম-
কেনো সাহসটা করতে পারলাম না!
কাল বয়ে যাবে-তুমিও থাকবে না আমিও-
তবে আক্ষেপটা রয়ে যাবে।


মুক্ত মনের লেখা
ভুলের দেশে


ভুল ভুলেতে ভুলভুলাইয়া-ভুলের ভরা দেশে-
হারিয়ে গেলাম ভুল ঠিকানায়-
মনটি গেল ভেসে।


দুর ঠিকানা দিলাম পাড়ি নিরুদ্দেশের সাগর পানে-
ভুল ভুলের ওই ভুলভুলাইয়া-
ভুলের গানের সুরের টানে।


মাগো তোমার আঁচলখানি ঢাকতে আমার দাওনা মন-
কান্না লাগে দুঃখ অনেক-ভুল গগনে
বইছে প্রাণ।


প্রাণ খুলে মা বললে সেথায়-আগুন ঝড়ায় বান-
কান্না অনেক বুকটি ফাটে-
তপ্ত গনগন।


দুহাত জুরি বলছি মাগো-আর যাবনা বইতে ভূবন-
আঁচল তলে স্থান দাও মা-সুর সে ধরি
আকাশ লগন।


মুক্ত মনের লেখা
জীবনবোধ


ভালোবাসি এ ভুবন ভালোবাসি সঙ্গীত-
ভালোবাসি স্নিগ্ধ হাসি-ভালোবাসা প্রেম প্রীত।
এ আকাশ এ বাতাস এ বসুন্ধরা-
রস রং রূপ-দিকে দিকে আলোকরা।
বৃক্ষ লতা গুল্মরাজী শীতল ছায়া তপবন-
ঝর্ণা নদী পাহাড় ঝোড়া-নজরকাড়া ত্রিভুবন।
অতল সাগর উব্ধে গগন দিগন্তের ওই মিলন রেখা-
মিলতে জীবন যুগান্তে ওই-মহাকালের সীমারেখা।
অথৈ জলের স্নিগ্ধ রাশি-লক্ষ তারা গগন নীলে-
হৃদয় আমার মুগ্ধ নয়ন-অপাড় কৃপা সৃষ্টি দিলে।
দুহাত জোড় প্রণাম তোমায়-লীলা তোমার প্রাণটি বই-
অনেক জ্বালা সংসারেতে-ভুলতে ভুবন কাব্যে রই।
দিব্য জ্যোতি প্রেম সে দানে-হৃদয় ফাগুন সিঁদুর রাঙ্গা-
ভালোবাসায় গড়তে ভুবন-জুড়তে প্রাণ মিলতে ডানা।
দিলেন রবি পূব আকাশে-জ্যোছনা দিলেন রাতে-
স্বপ্ন দিলেন হৃদয় ভরা-প্রাণ সে জীবন নদে।
ভালোবাসি ভালোবাসি-মুগ্ধ চমক শিহরণ-
গাইতে জীবন মন সে কাড়া-গাইতে প্রভু তোমার গান।