বিকাশ দা আপনি জানেন না তাই তো অবলীলায়
উচ্চারণ করলেন কাঁথি লজ ইন্দ্রপুরী বাংলা কবিতা ডট কমের
আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন ২০২২ এর সাজানো মঞ্চে;
গুরুগম্ভীর স্বরে উচ্চারণ করে গেলেন এইভাবে-
নিজের লেখা বাংলা কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ দিতে হবে বেশি বেশি করে,
না হলে বাংলা কবিতায় কী অসাধারণ তারা লিখছে তা
সাহেবরা কিছুই বুঝতে পারবে না। তাদের জানান দিতে আপনি রীতিমত অনুরোধ করলেন যে,
নিজের লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশে জোর দিতে।
কী আর বলি বিকাশদা আমি ঠিক এই কাজটাই করতে গিয়েছিলাম কারণ
আমি জানি যে বাংলা ভাষায় ঈশ্বর প্রণোদিত ক্ষমতা নিয়ে যতই সুন্দর লিখি না কেন!!
তার কোনো মূল্যই নেই।
একে তো এ জাত, কবি মরার আগে তার মূল্যায়ন মরে গেলেও করবে না।
তাই যদি করতো তবে জীববনানন্দ দাদাকে জীবিত অবস্থায়
এমন গড়িবিপণায় জীবন যাপন করতে হতো না আর
কবি সুকান্তকেও ধুঁকে ধুঁকে মরতে হতো না বোধ করি।
জানেন বিকাশ দা কবি সুকান্ত নিজে জীবদ্দশায় তার লেখা কবিতার
একটি বই ও ছাপার অক্ষরে দেখে যেতে পারেন নাই।
যা কিছু নাচা ঝাঁপা তার মৃত্যুর পর, সেই একই অবস্থা জীবনানন্দজীর।
আরে দাদা জাতটা বাঙাল , জানেন না!!
তার তো নিজেরাই নিজেদের স্বভাব ব্যক্ত করতে কিঞ্চিত দ্বিধাবোধ করে না
ওই কাঁকড়া বিছা ভরা হাঁড়ির গল্পটা বলে।
না জানলে গল্পটা শুনে নিন। জাহাজে বিভিন্ন দেশের কাঁকড়া বিছা যাচ্ছে অন্য দেশে রপ্তানির জন্য,
সব হাঁড়ির মুখ সড়া দিয়ে বন্ধ শুধুমাত্র একটি হাঁড়ি ছাড়া।
একজন উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন, হাঁড়িটার মুখ বন্ধ করে দে নইলে সব বিছা পালিয়ে যাবে।
উত্তরে একজন বাঙালি বাবুই উত্তর করলেন , আরে না না একটাও পালাবে না এটা বাংলার কাঁকড়া,
যেই একটা একটু উপড়ে উঠবে আর একটা টেনে নিচে নামিয়ে দেবে।
খাঁটি সত্য যে সেটা সব বাঙালি বাবুই জানে তা।
তা, কথা বলছিলাম অনুবাদ কবিতা নিয়ে আর আপনার আহ্বান নিয়ে যে
আমরা যেন মনযোগ দি আমাদের লেখার ইংরেজি অনুবাদে, মন দি আর প্রকাশ দি।
বিকাশটা সেটা আমি অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করেছিলাম আর করিতেছি তবে
তা করতে গিয়ে এই আসরে এমন ঘা খেয়েছি যে কবিতা লেখাই ছুটে গেছে আমার'
অনুবাদ কী করবো!!
এক মহামান্য এডমিন তো লিখেই দিলেন মন্তব্যে, পারলে অন্য ভাষার কবিতা
বাংলায় অনুবাদ করেন, নিজের বাংলা কবিতা নয়।
হল্লাচিল্লা করতেই নিয়ম কানুনের প্রশ্নে স্বয়ং মূল এডমিন ও বলতে বাধ্য হলেন,
কবিতার আসরের নিয়মে লেখা রয়েছে অন্য ভাষার কবিতা বাংলায় অনুবাদ করা যাবে,
বাংলারটা অন্য ভাষায় নয়। যদিও তিনি অনেকটাই নমনীয় নীতি নিয়েছিলেন পরে এব্যাপারে।
বিকাশদা, আপনি আমাদের জ্ঞান দেবার আগে বাংলা সাহিত্যের আসরের মুরুব্বিদের এ কথা বোঝান,
আপনি বলেছিলেন আপনার বক্তব্যে যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার লেখা কবিতাগুচ্ছ
ইংরেজিতে অনুবাদ করে লিখেছিলেন বলেই তিনি নোবেল পেয়েছিলেন।
বিকাশদা আপনি দায়িত্ব দিয়ে মাননীয় এডমিনদের বোঝান যে
ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন একদিনে তৈরি হয় নাই,
যেদিন একজনের পকেটে হটাৎ করে বল ঢুকে গেছিল খেলতে খেলতে
আর অন্য কেউ তা দেখে নাই তাই পকেটে বল নিয়ে সে ক্রিকেটার
রানের পর রান নিয়ে নিয়েছিল। ভাগ্যিস সে ব্যাপারটা আঁচ করে একজন
তার পকেট থেকে বলটা তুলে নিতে পেরেছিল।
সেদিন থেকে চালু হয় ডেড বল নিয়ম।
এমন করে বাস্তব ঘটনা লক্ষ্য করে অনেক নিয়ম কানুন নিয়ে আজকের আধুনিক ক্রিকেট।
বুঝান তাদের কে। শিখতে বলুন আর নমনীয় হতে বলুন।
আধুনিক হতে গেলে ক্রিকেটের মত অস্বাভাবিকতার নিড়িখে নতুন নতুন নিয়ম সৃষ্টি করতে বলুন
বাস্তবিকতার পথে চলতে চলতে।
নিয়মে নাই তাই ব্যান করে দিলাম দশচক্র মিলে সে মনোভাব পরিবর্তন করে
দরকারে ক্রিকেটের মতই বাস্তবিকতাকে মেনে নিয়ে
নতুন নতুন নিয়ম প্রবর্তন করতে বলুন তাদের।
বিকাশ দা আমি হলঘরে সেই মুহুর্তেই আপনাকে এতগুলি কথা বলতে পারতাম তবে,
সেই মুহুর্তে আমিই এক নতুন নিয়ম সৃষ্টি করে নিয়েছিলাম
আমার আচরণ সংবরণের উদ্দেশ্য।
ভাল থাকুন বিকাশদা।