বৃদ্ধকাল:


এই বুড়ি তোর হইছে টা কি?
বেশী কথা বলবি না,
বউয়ের কথা শুনবি রে তুই
কারো কথায় চলবি না।


মেঝেতে ঘুমাবি রে তুই
মাদুর নাই তোর সাথে,
কাঁথা, বালিশ, লাগবে না তোর
রাতে ঘুমোতে।


বউ বলে ওগো দেখো
তোমার মায়ের কান্ড,
ও আমায় বলে কিনা
আমি নাকি ভন্ড।


বলো কি তুমি, এত সাহস
তোমায় বলে ভন্ড,
আজ থেকে ঐ বুড়িটার
খাওয়া দাওয়া বন্ধ।


এভাবেই চলতে থাকে
মায়ের উপর নির্যাতন,
কিন্তু,এগুলো দেখার মতো
ছিল না তো কেউ তখন।


মৃত্যুর পরে:


এভাবেই কিছুদিন পর
মা এবার মারা গেল,
মায়ের মৃত্যুর পরে এবার
ছেলের একটু হুশ হলো।


ছেলে এখন বুঝতে পারলো
তার নিজের ভুল,
কিন্তু,এখন আর বুঝতে পেরেও
নাইতো কোন কূল।


বেচেঁ থাকতে মাগো তোমায়
দিয়েছি কত কষ্ট,
এখন আমি বুঝছি মাগো
তুমিই ছিলে সবার শ্রেষ্ঠ।


আজ থেকে কাকে আমি
মা বলে ডাকবো,
তুমি ছাড়া এই ছোট্ট ঘরে,
আমি বড়ই একাকী থাকবো।


আগে যদি বুঝতাম
এভাবেই চলে যাবে তুমি,
আমার প্রাণ দিয়ে হলেও
তোমার মান রাখতাম আমি।


অনুরোধ:


আল্লাহ ও রাসূলের পরে
মায়ের অবস্থান
তাই সবকিছু দিয়ে হলেও
রাখবে মায়ের মান।


বেচেঁ থাকতে বুঝতে হবে
তোমার মায়ের কষ্ট,
মা যদি কষ্ট পায়
তোমার জীবনটাই তো নষ্ট।


তাই বেঁচে থাকতে যত্ন কর
হেলা করো না,
মারা গেলে সব দিয়েও আর
ফিরে পাবে না।


দ্রষ্টব্য:কবিতাটি বর্তমান সমাজ বাস্তবতার আলোকে লেখা।এখানে সমাজের একশ্রেণীর মানুষের মায়ের সাথে আচরণের চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।ধন্যবাদ।


রচনার সময়: ১৪/৫/২০১৭ইং
রোজ: রবিবার
সময়: সকাল ৯টা।