“মনের নাগাল”
                 (১)
হয়তো তোমায় বিত্ত-বিভব সকল দিতে পারি।
আসল দিতে পারি এবং নকল দিতে পারি।
দু হাত ভ’রে ইচ্ছে মতো
               আর যা আছে নাও না যত,
তাই ব’লে কি মন-মুলুকের দখল দিতে পারি?
অন্য যত আসল নকল সকল দিতে পারি।


নাগাল পাওয়া মনের সে তো অনেক পরের কথা,
থাক সে অনেক সূক্ষ্ম এবং উঁচুদরের কথা।
কথার রঙিন ফুলঝুরিতে
               যতই দোলা চাও না দিতে
ঢাকা-ই রবে মনের গভীর গোপন ঘরের কথা।
নাগাল পাওয়া মনের সে তো অনেক পরের কথা।


হাত বাড়িয়ে স্বর্ণকমল ধরতে যেও নাকো,
মোহের বশে মিথ্যে বাঁধন গড়তে যেও নাকো।
মনকে রাখো সহজ ভাবে
                     পাবার হলে অমনি পাবে,
জোর ক’রে তাই বন্ধু, কিছু করতে যেও নাকো।
নিছক মোহের বশেই বাঁধন গড়তে যেও নাকো।
           ----------------


          “গভীর রাতে"
              (২)
রাত্রি গভীর হ’লো,
বাইরে দুয়ার বন্ধ এখন মনের দুয়ার খোলো।
আসতে পারে সেখান দিয়ে
কল্পনাতে রয় যে প্রিয়ে,
সারাটি দিন যাদের নিয়ে কাটাও তাদের ভোলো।
ঘুমোয় যদি ঘুমোক তারা, রাত্রি গভীর হ’লো।


স্তব্ধ নিঝুম রাতে -
ক্লান্তি আছে নিদ্রা তবু নেই দু আঁখির পাতে!
মায়াবী ঘোর লাগিয়ে একা
স্বপ্নে যে দেয় ক্বচিৎ দেখা,
যাক সে রেখে চরণ রেখা সবার অসাক্ষাতে।
সেই বাসনায় ঘুম বুঝি নেই স্তব্ধ নিঝুম রাতে।
           -------------