“প্রথমা প্রেয়সী”
                         (১)
কবিতা আমার প্রথমা প্রেয়সী, দ্বিতীয়া প্রেয়সী তুমি।
দুজনে মিলেই রাঙালে আমার জীবনের পটভূমি।
সোনালী প্রেমের আবেগে ভেসেছি কবিতাকে বুকে ধ’রে
অজানার স্রোতে ভাসিয়েছি তরী তোমাকে সঙ্গী ক’রে।
মুকুলিত নবকৈশোর থেকে কবিতা জোগালো ভাষা,
কবিতা জীবনে রয়েছে বলেই এল এত ভালোবাসা।
ভালোবাসো ঠিকই, তবুও কখনো করো তুমি মুখ ভারি,
কবিতা আমাকে কাঁদালেও তবু করে না কখনো আড়ি।
                 --------------


          “ফেলেছিনু ভালোবেসে”
                     (২)
জানি না তোমাকে দূর থেকে কবে ফেলেছিনু ভালোবেসে,
মুখ ফুটে কভু জানাতে পারিনি সে কথাটি কাছে এসে।
তুমি হেঁটে গেছ উড়িয়ে আঁচল চপলা হরিণী মেয়ে,
আমি দূর থেকে মুগ্ধ নয়নে হয়তো থেকেছি চেয়ে।
কিছুই যে আমি পারিনি জানাতে ভালোই হয়েছে তাতে
তুলনা কি চলে আমার কখনো রূপসী তোমার সাথে?
বহু সম্পদে গরবিনী তুমি, আজ নানা ধনে ধনী
আমি তো তেমন হইনি কিছুই, নই কবি শিরোমণি।
তবু সেদিনের সেই চেয়ে দেখা ভাবুক মনের কোণে
গত জনমের স্বপ্নের মতো কল্পনা-জাল বোনে।
মনে পড়ে যেন নামটি তোমার রঞ্জা বা রিণি হবে
নয়তো বা নীপা কিম্বা বিপাশা, ভুললে ক্ষতি কী তবে!
সুপ্ত যে ভাব জানাতে পারিনি সেদিন সমুখে গিয়ে
যদি চোখে পড়ে, জানালাম লিখে কবিতার বাণী দিয়ে।
আজ সে কিশোরী তন্বী তোমাকে আধুনিকা সাজে চিনি,
না বলাই থাক, সে তুমি শ্রীমতি শ্রেয়া রঞ্জা না রিণি।
                --------------