(দীর্ঘ এবং আন্তরিক মন্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে)


অজিতেশ, তুমি এতটা সময় দিয়েছ
আমাকে তাহলে বন্ধু ক'রেই  নিয়েছ।
দীর্ঘ paraতে অনেক কথাই এসেছে
মেঘের আড়ালে সূর্য কিছুটা হেসেছে।
তবে এই সবে শুরু হ'ল লেনাদেনাটা
বাকিই রয়েছে  প্রিয় মন বেচা কেনাটা।
জানি না কখনো সে ঝুলন-খেলা হবে কি!
ক্ষনিকের এই উচ্ছাস জেগে রবে কি?
যা-ই হোক সেটা ভাবা যাবে নয় পরেই,
এখন রয়েছি মত্ত কবিতা ঝড়েই।
মনে হয় আরো দুই চার কলি লিখেনি
ছন্দ গড়াটা ভালো ক'রে আরো শিখেনি।
তবে এও জানি ছন্দ সকলে খোঁজে না,
হয়তো বা তার মর্ম ও রস বোঝে না।
তুমি তো কিছুটা আমার স্বভাব জেনেছ,
ভালো বা অভালো এক কবি ব'লে মেনেছ।


জানলাম, তুমি কর্মে ব্যস্ত থেকেও
লিখে যাও রোজই অফিস বজায় রেখেও।
এ তোমার বড় ভাগ্য এবং ক্ষমতা,
বজায় রেখেছ  কাব্যে ও কাজে সমতা।
আমি ঠেকে গেছি ভেসে কবিতার নেশাতে।
ভুল ক'রে ফেলি কাধে চেপে থাকা পেশাতে।
যাই হোক তুমি যেমনটি ঠিক চেয়েছ
কপালের জোরে তেমনই অফিস পেয়েছ।
অফিসের কাজে খুব বেশি লেখো পড়ো কি!
খুশি হই যদি বলো, সেথা ঠিক করো কী?


আজকের মত যা-ই হোক তবে চলি গো,
ছন্দ-গাঁথায়    যেতে যেতে এই বলি গো
জননীকে ডেকে এ লেখাও দিও পড়িয়ে,
তার সাথে কিছু আপন মাধুরী ছড়িয়ে-
লিখো অন্তত সোজা একখানি কবিতা,
জননী তোমার প'ড়ে বোঝে যাতে সবই তা।
            -----------