হঠাৎ কখনো
কারো কোনো লেখা প'ড়ে -
তা গল্পই হোক বা কবিতা,
অনেককে বলতে শুনি
বাঃ, খুব সুন্দর তো
বেশ আধুনিক ঢংএ লেখা।
পাঠকও জুটে যায় মেলা।
যেন এক পাঠক থেকে আর এক পাঠকে
ছড়িয়ে পড়ে আবেশ,
অনেকটা ছোঁয়াচে রোগের মতো।


একদিন মনে হল
অনেক তো লেখা হল ছন্দ মিলের কবিতা
মোলায়েম ভাষায়
সেকালের  ঢংএ।
দেখা যাক-না কেমন হয়
দু'কলম লিখলে
আনকোরা আধুনিক ভাষায়।
যেখানে না থাকবে
ছন্দের দেখনাই,
না মিলের ঘ্যানঘ্যানানি।
থাকবে স্পষ্ট ভাষায় সত্য কথন
একেবারে সপাটে ব্যাট চালানোর মতো।
ক্রমে ক্রমে যেমন হয়ে যাচ্ছে
একালের জীবন যাত্রার ধরন ধারন,
চলন বলনের ভঙ্গিমা ও রকম সকম।


ভদ্র পোষাক পরা কোনো সুদর্শন যুবক
তুচ্ছ কারণে হঠাৎই হয়ে যায়
বদমেজাজী হিংস্র অতি সহজেই।
কিম্বা সুবেশী সুন্দরী কোনো রমনী
সামান্য স্বার্থের কারণে
হয়ে ওঠে মুখরা নির্মম
একেবারে শ্রীমতী ভয়ংকরী।


ছোটদের স্নেহ করা
বড়দের করা সম্মান,
আর দুস্থ বা অসুস্থকে বাড়িয়ে দেওয়া
সহানুভূতির বা সাহায্যের হাত -
এসব আগে দেখা যেত
হয়তো বা কখনো কখনো।
আর এখন অগ্রগতির যুগ
প্রবল গতির যুগ,
সময় নেই কারো
কারো দিকে ফিরে তাকাবার।
অনায়াসে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল
এখন লোকের মজ্জাগত।


আর প্রয়োজনে লোক ঠকানো
চুরি ছিনতাই রাহাজানি
এমন কী অবলীলায় খুন ধর্ষন
এসব এখন দেখে দেখে
গা সওয়া হয়ে গেছে সবারই।
যেন ওসব নিতান্ত স্বাভাবিক ব্যাপার।


তাই কবিতা লিখতে ব'সে
সুললিত ছন্দ বন্দনা বোধ হয়
নিতান্তই বালখিল্যের মতো শোনায়।
তার চেয়ে যেমন লেখা হল
হয়তো তাই বেশ ভালো।
তা, সে কবিতা হোক বা না-ই হোক।
          --------------