অনেক বছর হলো কবিতা লেখার মত কোন শব্দ পায় না,
রিয়ার কাছে শব্দ চাইলাম-
রিয়া আমার হাতে কিছু রসুন পেঁয়াজ ধরিয়ে দিল
রসুন পেঁয়াজের গন্ধ আমি আজকাল একদম সহ্য করতে পারি না।
রিয়া আমাকে এভাবে ফাকি দিবে! তা তো হয় না,
নিশ্চয় রসুন পেঁয়াজের মাঝেই শব্দ লুকিয়ে আছে
ধারালো চাকু তে ওগুলো কাটতে বসে গেলাম,
একে একে সব রসুনগুলো কাটলাম।
কোথাও কিছু নেই
শুধু রসুনের উগ্র গন্ধ আর অনুসন্ধানী চোখ,
এবার পেঁয়াজের পালা
এক একটি পেঁয়াজের খোলস খুলে বের হয়
এক একটি যন্ত্রণা,
প্রতিটি পেয়াজ বের করে আনে ফোটা ফোটা নোনাজল।
অনুসন্ধানী চোখ কাঁদে,আমি কাঁদি
কোন শব্দ খুঁজে পায় না,
যা পায় তার সাথে জীবনের সম্পর্ক
অনেক দিনের, অনেক বছরের।
কবিতার সাথে সম্পর্ক কিনা জানি না-
নোনাজল, কষ্ট আর যন্ত্রণা।
ধন্যবাদ রিয়া, তুমি আমায় যা দিয়েছো তা দিয়ে অনন্তকাল লিখবো,
অনন্তকাল বেঁচে রব তোমার দেয়া কষ্ট, যন্ত্রণা আর নোনাজল নিয়ে
খুঁজবো রসুন পেঁয়াজে।