--------------------------
হে নির্বাসিত কবি, আমি তোমাকে নিয়ে একটি কবিতা লিখতে চেয়েছি
অথচ আমিতো তোমার মত নির্বাসিত নই
আমিতো জানিনা নির্বাসন যন্ত্রণা কেমন?
যেমনটা তুমি জেনেছ কিছু বুঝে উঠার আগেই।
এখনো তোমার কল্পনায় খেলা করে গ্যালিলির স্মৃতি
জলপাই গাছের সারি, কমলা, বাদাম, দ্রাক্ষাকুঞ্জ, সমতল ভূমি, সমুদ্রতীর
তোমাকেতো আমি তোমার দেশ ফিরিয়ে দিতে পারিনা
আমি শুধু পারি তোমার বিগত দিনের স্মৃতিগুলো জাগিয়ে দিতে।
হে নির্বাসিত কবি, নির্বাসন যন্ত্রণা কেমন তা আমি জানিনা
তবে আমি অনেক নির্বাসনের গল্প শোনেছি।
নবী ইউসুফ যেমন হয়েছিল নির্বাসিত, কুয়ার অতল হতে মিশরে
তেমনি তুমি হয়েছ নির্বাসিত নিজ ভূমে, পর ভূমে।
কবি, এ নির্বাসনতো আদিকাল হতেই চলে এসেছে
চকচকে ক্ষমতার লোভ, ভূমির লোভ, স্বর্ণের লোভ, তেলের লোভ।
পৃথিবীর পরতে পরতে নির্বাসনের তিক্ত ইতিহাস।
সাতচল্লিশ, একাত্তর সর্বশেষ নাফ নদীর রক্তাক্ত সীমানায়।
কবি, তুমি বলতে পার তাই বলে গেছ তোমার নির্বাসন যন্ত্রণা
অথচ কজন আর এমনটা পেরেছে উগড়ে দিতে তার যন্ত্রণার ইতিহাস?
হে নির্বাসিত কবি, আমি ফিলিস্থীন দেখেনি
আমি তোমার কবিতা পড়েছি
তোমার কবিতাই আমার কাছে ফিলিস্থীন
তোমার ক্রোধ ই আমার কাছে ফিলিস্থীন
তোমার নির্বাসন যন্ত্রণাই আমার কাছে ফিলিস্থীন।
তোমার কবিতাই ফিলিস্থীনের মানচিত্র
ওরা ফিলিস্থীনের নাম কে মুছে দিতে চায়
অথচ তোমার কবিতার প্রতিটি লাইন ফিলিস্থীনকে জাগিয়ে তুলবে
তোমার হৃদয় যেন ফিলিস্থীনের হৃদয়!
যে হৃদয় পৃথিবীর তাবৎ নির্বাসিত মানুষের প্রতিনিধি।