যদি কোকিল হতাম কোন এক কুচকুচে কালো কোকিল
পলাশের মগডালে কিংবা কৃষ্ণ চূড়ার লালে একাকি কোকিল!
হয়ত বাসন্তি রং ছুঁয়ে যেত আমার চারপাশে
নিরব দুপুরে রক্ত লাল আগুন জ্বলত গাছে গাছে।
বিরহী পৌষ কিংবা মাঘের সন্ন্যাসী পুটলি লয়ে
চলে যেত সূদুরে আমার পালক ছুঁয়ে!
তখন বয়ে যেত মিষ্টি সমীরণ, বাতাবী লেবুর ঘ্রাণ
নিরব নদীর তীরে দস্যি ছেলেগুলোর
প্রজাপতির মত ওড়াওড়ি।
তখন ফাগুন এসে হেসে হেসে বলত আমায়-
ওগো পাখি কেন আনমনা, কেন চুপ রও আজি?
তোমার পালকে এসেছে বসন্ত, কন্ঠে বাসন্তি সুর!
তুমি সুর তোল, গাও ফাগুনের গান।
তখন আমি হয়ত ক্লান্ত গোধূলীতে
গেয়ে যেতাম কু,-উ, কু-উ,কু-উ
সে সুর ছুঁয়ে যেত আমার চারপাশে
মুগ্ধ পৃথিবীর মুগ্ধতা ছুঁয়ে যেত ফাগুনের আগুনে!