সভ্যতার গহ্বরে অসভ্যতার প্রকাশের অপেক্ষায় -
বর্ণিল সাজে ঘুমিয়ে আছে ওরা নির্দেশের প্রতিক্ষায়!
ওদের শুভ যাত্রা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিনিটি থেকে ১৯৪৫ সালে
তারপর একে একে রাশিয়ার সেমিপালাটিনস্ক হয়ে
যুক্তরাজ্যের মারালিঙ্গা, ফ্রান্সের মরুরোয়া, চীনের লুপনর
এরপর ভারতের পোরখান হয়ে পাকিস্থানের চাগাইয়ে বেঁধেছে
ঘর।
সর্বশেষ অনমনীয় উত্তর কুরিয়ার হাওয়াদিরি হয়ে
অঘোষিত আণবিকের দেশ ইতর ঈসরাইল
লজ্জার মাথা খেয়ে চোখ রাঙায় ইরানে!
ঘোষিত অঘোষিতের বাইরে পুরো পৃথিবী ছেয়ে আছে
ক্লাস্টার বোমারূপি মানুষ মারার অস্ত্রে,
শোনেছি এখন পৃথিবীর শান্তিবাদি দেশগুলো তলে তলে
মরনাস্ত্র কিনছে বেশ জোরেসোরে, অর্থের প্রবাহ সামরিক
বাজেটে!
এতসব আয়োজনের বিপরীতে -
চেয়ে দেখ লোহিত সাগরে বনীআদমের রক্তের স্রোতে
আইলান ভেসে উঠে বার বার হয়ে উঠে অসহায় প্রতীকে!
ক্ষুধার পৃথিবীতে শক্ত রুটি নিয়ে আড়াআড়ি কাড়াকাড়ি
বন্দি শিবির হতে পথে ঘাটে ঘরে মাঠে উদ্বাস্তু শিবিরে!
কুপমন্ডুক মানুষের ইশারায় একি শোনি একবিংশ শতাব্দীতে
গোমাংশ খাওয়ার গুজবে মানুষ লাশ হয় অসভ্যদের হাতে!
শোনেছি যত শিক্ষা তত মানুষ আলোকিত এ পৃথিবীতে
এখন উল্টো রথ, শিক্ষার ভারে অশিক্ষিতরা লজ্জা পায়
পথেঘাটে!
সভ্যতার দন্দ্বের কাল্পনিক শিরোনামে
মানুষের মানবতা আজ দিকে দিকে পড়ছে লুটে।
শত্রু নাই তাতে কি অদৃশ্য শত্রুর খোঁজে
অস্ত্রের পাহাড় গড়ছে আজ পৃথিবীর দিকে দিকে।
ওগো অস্ত্রের ফেরিওয়ালা তোমাদের অস্ত্র কেনা রেখে
জ্ঞানের আলো জ্বালাও ধর্ম ব্যবসায়ীদের মূখে।
ওদের বল গরুর চেয়ে মানুষের বড় দাম
মানুষ হয়ে কর মানুষেরে সম্মান।
ভেঙে দাও ঐ পারমাণবিক অস্ত্রের ভাগার
রেখে দাও সব উদ্ভট গবেষণাগার!
তোমাদের হাজারো বোমার চেয়ে একটি শিশুর হাসি
একজন মায়ের মমতা, একজন বোনের ভালোবাসা
একজন বাবার আদর, কত দামী জানোনা?
অস্ত্র না কিনে ভালোবাসা কিন, কর ভালোবাসার লেনদেন
বিনিয়োগ কর রাষ্ট্রীয় কুসংস্কার, ধর্মীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
ধর্ম পরিচয়ের চেয়ে মানুষকে মানুষ ভাব আগে
এ পৃথিবীর জঞ্জাল সরিয়ে কর ভালোবাসার চাষাবাদ?