স্বর্গের শত তোরণের দরজার ওপারে
মনে কর একদিন আমরাও ছিলাম
আমি আদম তুমি হাওয়া হয়ে।
সেই সব দিনগুলো কতই না সুন্দর মনোহর মনোরমা।
কোন পাপ নেই পংকিলতা নেই, নেই অনুতাপ।
জীবন এমনও সুন্দর হয়, এমনও বিচিত্র, অদ্ভুত,
এমনও বর্ণিল, অনিন্দ্য লাবণ্যে অপূর্ব অপরূপা!
প্রভুর ভালোবাসার চেয়ে কি হতে পারে বড় আর?
আমরা ঘুরেছি দুটো পাখি প্রভুর ভালোবাসা নিয়ে।
ঘুরেছি ঝর্ণার কলকলে কলগানে
দুধের মধুর ঝর্ণা স্রোতে।
মেশক আম্বরের ঘ্রাণে তুমি আমি
কতটা পথ হেটেছি হাত ধরে একসাথে
কতটা সময় ক্লান্তিহীন হেটে চলা
ভালোবাসার ভূবণে লীন হওয়া।
না কোন চোখ দেখেছে, না বুঝেছে কোন অন্তর
স্বর্গ হতে পারে এত সুন্দর যার পুরোটা প্রভু দিয়েছেন মোদের তরে।
কি আর স্বপ্ন দেখব বল যা ছিল মোদের তাতো স্বপ্নের চেয়েও বেশি।
মনে পড়ে তুমি আমি আনারের বাগানে
,ধরতেই ঝরে পড়ে মুক্তে দানা হয়ে,
থোকা থোকা আঙুর, রসালো আম্র,
আপেল, নাশপাতি, চেরী, কমলালেবু
উড়ে আসে পাখি কোরমার আকারে,
মধু, মদ, দুধ, শরবত আহারে।
যা চেয়েছে মন, যা চাইনি তাও,
প্রভু দিয়েছেন সব কি চাই আরও!
তারপর কি হল জানিনা
এমনও হতে পারে জীবন এমনও সুখের পরে
এমনও দুঃখ এমনও কষ্ট আসতে পারে?
না ছিল চিন্তায় না ছিল কল্পনায়।
শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গন্ধব খেলাম তুমি আমি,
কি এক লজ্জা, অনুতাপ, আত্মগ্লানি।
রুষ্ট প্রাণপ্রিয় প্রভু এহেন কৃতকর্মে।
কোথায় সে সবুজ বাগান, সোনালি উদ্যান,
কোথায় সে পাখির গান, ফুলের হাসি,
কিছু নেই কেউ নেই, উতপ্ত বালুকাময় শূণ্য প্রান্তর
বিচ্ছিন্ন মোরা কত যুগ ধরে।
কত রাত কেঁদেছি অনুতাপে অনুভবে।
হায় কাঁদলেও আর চোখে পানি আসে নাকো!
সে কান্নার পরে প্রভুর দয়া পেয়ে
তুমি আমি রয়ে গেলাম পৃথিবীর পরে।