জগতের যাহা সুন্দর, যাহা তৃপ্তির
তাহাতে তোমার বসতি।
প্রভাতের কোলে সোনা রঙ দেখি,
উজ্জল আকাশেতে।
তোমার অধরে সে রঙ যেন লেগে আছে নিভৃতে!
পাহাড়ের চূড়া অরণ্য লয়ে,
পবনের তালে দোলে।
তুমি যেন তার রূপক হয়েছ,
এলো কেশে প্রতিবারে।
কাশফুলগুলি পবনের তোড়ে জল ছুঁই ছুঁই করে,
যেন তুমি দিলে আচল উড়ায়ে পূর্ণ নদীর পাড়ে!
বিশাল গগনে চাঁদ হাসে দূরে থেকে,
তুমি যেন সে হাসি হাসছো, নিশ্চুপ নিশি মেখে।
সবুজ, হলুদ কাঁঠাল পাতায়
রোদ্রের ঝিকিমিকি।
সে রূপ যেন তোমার অধরের শাড়িতে নিয়েছ আঁকি।
রোদের শরীরে বর্ষা নামে,
তীব্র প্রখর ভেঙ্গে।
এ যেন তোমার ক্ষোভ উবে গেলো,
অশ্রু বিসর্জনে।
অপরূপ নামে যত রূপ আছে! তোমাতেই সব দেখি।
জগতের যাহা সুন্দর, যাহা অমৃতের মত তৃপ্তির!