প্রেমের ভূত তো সেই কবে পালিয়ে গেছে।
তোর বাবার বদলির সাথে!
রয়ে গেছে শুধু অনুভূতিটুকু।
কোচিং, বার্ষিক পরীক্ষা, নতুন স্কুল করে
তাও প্রায় কোণঠাসা হয়েছিলো এতদিন।
তোর জন্য জন্মিত প্রেমটুকু আজ হঠাৎ করেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো।
যখন দেখলাম, কলোনীর মাঠে আমাদের অতীত পুনরাবৃত্তি করছে।
ভিন্ন মুখোশে কোন এক রাতুল আর অবনী।
আমি অনেকক্ষণ জানালা আঁকড়িয়ে দেখেছি,
ওদের ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা।
এরপর থেকে কি যে একটা হলো আমার।
সন্ধ্যা হতে মাথায় ঢোকেনি
পদার্থ বিজ্ঞানের কোন শক্ত সমীকরণ।
দুধের গ্লাসেও চুমুক দেয়া হয়নি, একটি বারের জন্য।
টেবিল ল্যাম্পের স্থির আলোয়
আমি শুধু বারবার ফিরে গেছি
ছোট্ট রাতুল আর অবনীর কাছে।
যেখানে ওরা হাঁটু সমান ঘাসের মধ্যে ডুবে
লাল ফড়িং ধরতো।
বরফ পানি খেলতো।
আবার কোন কোন দিন ঝগড়া করে
মুখটি পর্যন্ত দেখতো না।
তরতরিয়ে মেজাজটা বিগড়ে গেলো হঠাৎ।
কেন ঝগড়া করতাম অবনীর সাথে?
কেন কতগুলো বিকেল ওর মুখটা না দেখে থেকেছিলাম?
তা না হলে, অন্তত আরো কয়েকটা বিকেল থাকতো আমাদের!
হয়তো কথিত প্রেমিকের মত, আমি অবনীর ছায়াসঙ্গী হতে পারিনি!
তবুও এতদিন বাদে,
আমি এখনও অবনীর প্রেমিক!