হয়তো তোর মুখ থেকে আর শোনা হবেনা,
সরল আপ্পায়নখানা,
‘বাবু ফেড়ার পথে বসে যাস চিড়ার মোয়া দিয়ে দু’কাপ চা খাওয়া যাবে’
বাদামী রঙের বিড়াল’টাকে আর ভিজতে হবেনা,যখন তখন ডোবার জলে।
কালোবৌদি’কে আর মুখ ব্যাথা করতে হবেনা গাল পারে,
সময়ে অসময়ে তার খোপা খোলার দায়ে।
শ্যামকাকুকে আর সুযোগ দেবো না বলতে,
‘কোমড়টা মেঝেতে লেগে গেছে লাঠিটা একটু এনে দিবি কাকু’
খুব মনে থাকবে জিতু দাদাকে,
এক সাথে আর খেলবো না মারবেল কোন মাঠে।
নতুন কোন চিঠি রাখবো না হয়তো কারো বইয়ের ভাজে।
তালপাতার বাশিঁটা জানি বিছানার নিচেই চাপা পরে থাকবে,
আর,কাঁসার থালাটা হয়তো কেউ স্বযত্নে তুলে রাখবে কাঠের বাক্সে।
শুধু আমি’টা থাকবো না বলে,
কিন্তু তাতে কি?
সময় অসময়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নাগুলো আমায় বাঁচিয়ে রাখবে, তোদের মাঝে।