বৃষ্টির শেষ ফোঁটা এখনো প্রকৃতির শরীরে,
এখনো বাবুই পাখির কুঁড়েঘরে বিন্দুর মত জমে।
দূর গ্রামে ধোঁয়ার মত উড়তে থাকা বাষ্পে।
কখনো আবার কাকের ভেজা শরীরে লেপ্টে থাকা পালকে।
বটের তলায় আশ্রিত পথিকের, মুড়ির পলিব্যাগে
বৃষ্টির শেষ ফোঁটা এখনো জানালার দ্বারে।
এখনো, উঠোনের গর্তে জমে থাকা কেঁদো জলে।
নতুন স্রোতে, ছুটতে থাকা কাগজের নৌকা জুড়ে।
বৃষ্টির শেষ ফোঁটার রেশ না কাটতেই,
পুনরায় ধেয়ে আসে মেঘের স্রোত।
আকাশের নীলাভ দ্যুতিতে ভাঁটা পড়ে মুহূর্তে,
এ গ্রাম, সে গ্রাম ঢাকা পড়ে মেঘের আয়োজনে।
কৃষাণীর ভেজা চুল দোল খায় ফের হিম বাতাসে।
সবুজ পাতায় জমে থাকা বিন্দু জল, ঝরে যায় পাগলা ঝাঁপটায়!
বিজলী চমকে চৌচির হতে চায় আকাশের শরীর।
গমগম ঘুঙুর পায়ে, দিক বিদিক ছুটে চলে মেঘের গর্জন
ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি নামে প্রান্তর জুড়ে।
ভেজা উঠোন ভেজে অবলীলায়।
সরু স্রোতে আসে জোয়ারের বেগ
পাটের ক্ষেতে ফের জমে হাঁটুসম জল।
দূরের সবুজ ঢাকা পড়ে বৃষ্টির দেয়ালে।
সন্ধ্যার সাথে সন্ধি হয় মেঘের,
অঝরে কেবল বর্ষা ঝরে আঁধারের শরীর বেঁয়ে।