এই বছর না চাইতেই শীত এসে গেল দ্রুত!
কালোবর্ণ তরুণীদের ত্বকে জাগ্রত মৃতকোষের স্তর;
ঘষে দিলেই প্রকট হবে তার শুভ্র আস্তরণ,
ব্ল্যাকবোর্ডে চক-টানা রেখাদের মতন...


আমি তাদেরই কোনো একজনের শিরা উপশিরায়-
ভ্রমণের অনুমতি পাইনি বলে অজানা রয়ে গেল
কৃষ্ণতার ভিন্ন অনুভব, অন্তর্লীন বেদবাক্য;
তারও তো আকর্ষণ অমোঘ!
আর এই অজ্ঞতাহেতু উদয় হওয়া অদম্য টান-
এড়াতে ব্যর্থ আমার প্রেম এসে গেছে অনিবার্য...


এইবার আমার অনাগত সন্তান কৃষ্ণত্বক হতে পারে,
অনাগতা কন্যার কালোবর্ণ হবার সমূহ সম্ভাবনা!
হলে হোক, এমনটাই নিয়তি ভাবছি সানন্দে।
শ্বেতশুভ্রতার মোহ ছাপিয়ে যার কারণে-
এতএত সুস্পষ্ট সম্ভাব্যতা,
তারও তো আদরের উপাধি, "কৃষ্ণকলি"


বুঝেশুনে কিংবা সুনির্দিষ্ট কারণব্যতীত
আমার চেয়ে কেউ তাকে চাইছে না অধিক!
রবিকবি তাকে যৌবনে দেখলে হয়তো
কবিতা লিখতেন আরো দুলাইন,
এর বাইরে তিনিও এতটা প্রেমিকপুরুষ ছিলেন কি?


এই বছর না চাইতেই শীত এসে গেল দ্রুত!
মেরুর নিকটবর্তী অঞ্চলে কেয়াবীজের মত
ভেসে ভেসে নামছে শ্বেতশুভ্র তুষার,
উপমহাদেশে ঘন কুয়াশা, তাতেও শুভ্রতার ছাপ।
চারপাশের অপার শুভ্রতা ভেদ করে
আমার কৃষ্ণতা মাখা দুচোখ সম্মোহিত
কৃষ্ণ আরেক তরুণী কায়াতে...


এইবার শীত শেষে আমার ভিতর
কৃষ্ণমোহ চলবে শীত থেকে নিরন্তর শীতকালে...