হয়তো হাইওয়ের কর্কশ পিচ ধরে একটা পিঁপড়ের দল চলে যাচ্ছে ওপাশের মাঠে,
যেখানটায় সবুজ গজিয়েছে এবারের বৃষ্টিতে।
সবুজ ছোঁয়ার কি তীব্রতা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রেরও!
অথচ আমরা মানু্ষ;
হিসেব কষি ঠিক কতোটা কার্বন-ডাইঅক্সাইড অক্সিজেনের অনুপাতে ওজনস্তরে জমা হওয়া উচিত, কিন্তু জমছে না;
অথচ জমে যাচ্ছে কষ্ট, বিষাদ আর ক্লেশ......


তবু, আমরা নগরায়নের গান গাই;
মাঠটায় ট্রাকের পর ট্রাক বিভীষিকা ফেলে ওঠানো হবে
সুউচ্চ প্রাসাদ।
জানালার পর জানালা হবে, হবে দরোজার পর দরোজা,
নীল নীল কাঁচ দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে মানুষের দুঃখগুলোকে;
আর শেকলসদৃশ কলাপ্সিবল গেট টানিয়ে সৃষ্টি করা হবে সম্পদের সুরক্ষাব্যবস্থা!
জারুল গাছটা উপড়ে ফেলা হবে, একদম নীচ থেকে কেটে ফেলা হবে ওসব আগাছাগুলোকেও,
এরা এবারের বৃষ্টিতে বেশ মোটাসোটা আর সবুজাভ হয়ে উঠেছিলো।


এ নগর চকচক করে ওঠে এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজলেই!
পিচের রাস্তায় নার্সিসাসের মতো দেখতে পাই নিজেকে,
কিন্তু গাছগুলোকে আর দেখা যায় না
মাঝেমাঝে আমি এদের জড়িয়ে ধরতাম,
কারন সবুজ আমার প্রিয় রঙ!
এ নগরের সবুজকে খুন করে ফেলা হচ্ছে,
সবুজ রক্তধারা প্রবাহিত হচ্ছে ধমনী-শিরা এবং উপশিরায়।
এই ধূসর নগরে একদিন আর সবুজ দেখতে পাওয়া যাবে না,
হয়তো ধূসরতাকেই ভালোবাসবো তখন,
ভালো থেকো প্রিয় রঙ সবুজ।।