হয়তো কেউ আসবে না সেদিন,
ভেজানো দরোজাটা ভেতর থেকে লকড করে সিলিংয়ে চাপিয়ে দেবো বয়ে বেড়ানো তেইশটি বৎসর....
পায়ের আঙ্গুলগুলো যখন খুব কোরে ঠাঁই খুঁজতে চাইবে,
কণ্ঠনালী যখন রোধ হতে শুরু করবে,
তোমরা তখন পুড়ে ফেলো এক এক করে সবকটি কবিতা,
যাতে কবিতার পোড়া গন্ধে আমি আবারো জন্মাতে পারি।
অথবা;
যদি আরামকেদারায় আয়েশ করে বসে,
সপ্তম সিগারেট জ্বালানোর সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগেই বিবেচনা করে ফেলি 'ট্রিগারটা এখনই টেনে দেয়া দরকার'
তবে বাদবাকি সিগারেটগুলো আর জ্বালিও না;
মগজ আর থোকথোক রক্ত বয়ে যেতে দিও কপোতাক্ষ'র ফেনিল জলের দিকে।
যদি কখনোবা,
মুড়ি-মুড়কি নিয়ে গিয়ে দাঁড়াই কচ্ছপগতির কোনো যানের সামনে,
ফিরিও না আমায়; দেখে যেও মানুষ কি অসীম ক্ষমতাধরের মতোন জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারে নিমেষেই....
আমার এপিটাফ খালি রেখো, লিখো না কিছু ওতে
কেননা, মৃত্যুও পুরোপুরিভাবে চিরসত্য নয়।।