দুপুরের উত্তাপ ছড়ানো রাস্তায় মহানগর ঝলসে যায়,
কিছু যৌনবিকারগ্রস্থ মানুষ কিংবা মানুষের মতোন
হাত-পা-মাথা আছে এমন জন্তুরা
নারীর ঘামে ভিজে যাওয়া শরীরের বিশেষ অঞ্চল দেখে আনন্দ পায়।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি, দেখতে থাকি ওদের চোখ;
মানুষেরো হায়েনার মতো চোখ হয়?


স্টেশনের ওদিকটায়,
কিছু দ্বিচক্রযান এবং ত্রিচক্রযানের চালক ভীড় করে।
কি শৈল্পিকভাবেই না তারা সিগারেটের ভেতর গাঁজা ভরে টানতে থাকে, মাঝে মাঝে ভার্সিটি পড়ুয়াদেরো ব্যাগ ঝুলিয়ে সেখানে দেখা যায় যেতে,
মাঝেমধ্যে গাড়ী থামিয়ে বড়বাবুরা...
শিল্পীমন সবারই তো আছে!
তো, সে গাঁজার গন্ধের খানিকটা যখন আমার জানালা দিয়ে অনুমতির তোয়াক্কা না করেই ঢুকে যেতে শুরু করে,
তখন আমি বুঝতে পারি সেবনের গণতান্ত্রিক আনন্দ....


সন্ধ্যেবেলায়, ঘুষখোর প্রতিবেশীকে দেখা যায় সস্ত্রীক মন্দিরে ধূপদীপ নিয়ে উপস্থিত।
কারাপ্শনাল ব্যাপারগুলোয় বেচারা ফেঁসে যাচ্ছেন ইদানীং; মায়ের আশীর্বাদ খুব দরকার!
আর,
এমনই এক সন্ধ্যায় আমি পানশালায় দরোজা অতিক্রম করতে গিয়েও পারি না,
লাল এবং নীল রংয়ের মৃদু আলোগুলো আমার চোখে ঘোর লাগিয়ে দেয়।
আমাকে নেশায় চুর করার বদলে ভর্স্যৎনা করা হয়।
আমি বেরিয়ে আসি;
এক অসীম মহাকালের পথে হাটতে শুরু করি তীব্র মদ্যপানের আকাঙ্খা নিয়ে আর ভাবি....
  একটি মহানগর সময়ের ছকে আঁকা,
সময় একে এগিয়ে নিয়ে যায়;
পেছনে পড়ে থাকে নগরীর অযুত ব্যস্ততা আর
সেইসব লোকগুলোর যাপিত জীবনের গল্প।।