এইতো সেদিন
পরিবার সমাজ বলে দিলো
তোমার আমার এক বিছানায় শোয়া বৈধ ।
ব্যাপক ইনভেস্টে বাঁকাত্যাড়া,হাঁটুগাঁড়া
কিছু ফটো
দশ লাখ দেনমোহর সাথে বিশাল আয়োজনে খরচ যত।


এরপর  
প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারনার শুরু
ইনভেস্ট তুলছিলাম,ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে
বিয়ের ছবি গিলিয়েছি
হানিমুন,রেস্টুরেন্ট,সেলফী,ট্যাগাটেগি; অতিষ্ঠ করেছি ।


তোমার
"আমার হাবি,আমার জান,ওলে বাবুটা"
"কত ভাগ্যে পাওয়া আমার এই স্বামীটা !"
উল্টেপাল্টে দেখা বিয়ের ভিডিওটা ।


আমার
"সুখী দাম্পত্য" শিরোনামে ছবি পোষ্ট করা
লাইক পড়ার আগেই তোমার চুলের ঝুঁটি ধরা
ডানগালে তোমার কষে চড় খাওয়া ।


বাসায়
একটা কুকুর পালতাম,বহুদিন একসাথে
কোন এক সকালে খুঁজে না পাওয়া
চোখে জল,একটা কুত্তার জন্য কত মায়া !


একদিন
শোয়ার বৈধতার মাস ছয়েক পর
ডিভোর্স পেপারে দুজন দুজনার পর !
কিছু মায়া,সেই কুকুর হারানোর মত,নিথর।


এরপর
সামাজিকতা,ফটোগ্রাফি,ঘোরাঘুরি,বড় দেনমোহর
পুরোটাই লস প্রজেক্ট। উপলদ্ধি অত:পর।
সাময়িক শোক শেষ,সময় আবার শোয়ার সাথী খোঁজার।


এরপরেও,
বেশিরভাগই টিকে যায়,সুখ হবে এ আশায়
অনলাইন ছবির উল্টোচিত্র প্রতিটি ছাদের তলায়।
"ভেঙ্গে গেলে বদনাম" তাই পড়ে রয় নিছক এই সামাজিকতায়।


(২৬ চৈত্র,১৪২২)