আমাকে ফেলছো কোথায় ?
তুমি রাবিশ -
তুমি যাবে ডাস্টবিনে,খানা,ডোবা,নর্দমাতে।
কেন ? আমি-তো দেখতে তোমাদেরই মত,
থাকতে চাই তোমাদের সাথে।
আচ্ছা- তোমাদের ছেলে-পুলে হলে বুঝি থাকতে হয় নর্দমাতে,
হাত-পা গুলো বড় হলে তখন বুঝি রাখো সাথে।
‘না’ যারা জারজ তারাই শুধু ঠাই পায় নর্দমাতে।
আর জাতক যারা তারাতো থাকে আমাদেরই সাথে দুধে-ভাতে।
‘ও’ আমি বুঝি তোমাদের আনন্দের উচ্ছিষ্ট ?
তাই জায়গা হয়েছে এই নর্দমাতে ?
‘ও’ এখন বুঝেছি আমি তোমাদের অনাকাঙ্খিত।
তাই জায়গা হয়নি এই সমাজে,হলো এদো-ডোবাতে।
আচ্ছা তুমি আমাকে রাখতে,পিতার পরিচয়টা নাইবা দিতে।
আমার মায়ে কিভাবে পারলে বল দিকিনী ,
নারী ছেড়া ধন ফেলতে নর্দমাতে।


এই যে, এই - তুমি আবার কে ? কি করছ এই নর্দমাতে ?
আমি কুকুর গো,খাবার খুজছি -
যদি কিছু দিতে পারি এই বুভুক্ষু পেটে।
‘ও’ তাই বুঝি,কিছু পেলে ?
তুমিতো দেখতে আমার পিতার মত ,
ও সাথে তোমার কে ‘গো’ ?
ও যে আমার মায়ের মত দেখতে।
চুপ করো কোন জারজের পিতা-মাতা আমরা নই।
ভেবে ছিলাম তুমি আমাদের ক্ষুধার্ত পেটের উৎকৃষ্ট আহার,
কিন্তু তুমি অসভ্য মনুষ্যের বীজের ফল।
তোমাকে ছুতেও আমাদের ঘেন্যা হয়,
তোমার জায়গা এই পৃথিবী নয়।


আচ্ছা এই পৃথিবী আমার জায়গা না হলে,
একটু জায়গা কি পাবো পরপারে ?
সেই দিন ঠিক আমার পিতা-মাতা কে লইবো চিনে।
যতই থাকুক সঙ সেজে।
বিচার চাইব আমি স্রষ্টার দরবারে।
কেন পাঠালে ? জারজ করে কলুষে ভরা ঐ ধরাতে।
পাঠাতে অন্তত কুকুর,বেড়ালের খাবার করে।
এখন বিচার কর আমার,না হয় আমার পিতা-মাতাতে।
সেদিন দেখব শেষ বিচারে কি হয় তাহার ফয়সালাতে।