১.
রঞ্জিতের অংক বইয়ের এক এর সঙ্গে ফখরুলের অংক বইয়ের এক এর বিরোধ তুমুল । মধ্যস্থতাকারী রূপে দাঁড়ায় 'শূন্য' । দুইটা 'এক' মিলে শূন্যকে হাওয়ায় মিলিয়ে দিল।


২.
যে ট্রেন উভয় যাত্রীই মিস করল, সে যাত্রার মৃত্যু নাই।


জংশন
বিপুল সমারোহ ।


৩.
লোকটা চতুর্দিক থেকে মরে গিয়েছিল। এমন ভাবে মরেছিল, প্রিয়জনদের মিলনমেলা উৎসবে আমেজ নিলো।
লোকটা আরও মারা গেল।


৪.
মশারী ঘরে অনেক মশা নিয়ে ঘুমিয়ে গেল বিদ্যুৎ । ম্যালেরিয়া বাহী মশা খুব করে বেরোতে চাইলো। অগত্যা শায়িতার রক্তে ম্যালেরিয়া রেখে দিল। বিদ্যুৎ আকাশে চমকালো, বিদ্যুৎ ঘোষ ঘরেই মরে রইল।


৫.
মানুষ মরে গেলে অনেক দাঁত উদ্ধার করা যায় লাশের গন্ধ থেকে ।


৬.
সারাদিন প্রজাপতি ছিল, সন্ধ্যাবেলা ফিনিক্স পাখির রূপে সোডিয়াম লাইটে ঝাঁপিয়ে পড়ল।


৭.
বিষাদের দাঁত খিচিয়ে উঠলে যেকোন লোককে প্রজা জ্ঞান করে বসিয়ে দেয়া যায় । 'বিষাদ' থেকেই 'বিষ' - এমন যাবতীয়।


৮.
সে দেশের অশ্বরোগ। জনভেদে গুটি ব্যারাম। অসুখ গোপন করায় ধরে বসলো কর্কট । প্রতিকার প্রতিরোধ হলো সেদেশের শীতঘুম ।



পাতা নাই ডালে আগুন। বৃষ্টি নামার তলে আগুন মরে গেল। আগুন মরলে থাকে কি আর?


১০.
শুনেও না শোনার ভান করি, ভান হয় না। অহংকারী হওয়ার চেষ্টা, বেমানান ঠেকে । সজোর আঘাত করতে গিয়ে পারিনা। মিথ্যা বলতে চাইলে ধরা খেয়ে যাই।
শুধু গো, প্রবল আত্ননাশি হবার চেষ্টা ঠেকাতে পারিনা।


১১.
জন্মেই স্লো পয়জন খেয়ে নিয়েছো, ধীরে, গম্ভীরে- শুক্রবার শুক্রবার মারা যাচ্ছো ।


১২. ক
লোকটা বেঘোর নাক ডেকে যাচ্ছিলো, লোকটা যারপরনাই বিরক্ত হয়ে উঠছিল। কি এক স্প্রে এনে স্প্রে করে দেখলো, লোকটার নাকডাকা বন্ধ হয়ে গেছে।
দুদিন ঘুমালো।
ঘুমাতে ভাল লাগলে আরও চিরদিন ঘুমাতে চাইল।


১২. খ
মৃত্যু এমন এক অধ্যবসায়, যা নিয়ে "জীবনের লক্ষ্য' শিরোনামে রচনা লেখা গেল ।