ঝর্ণার মতো সিঁড়ী বেয়ে আছড়ে আছড়ে নামেনি মাছরাঙা,
উত্তোলন ও নমিতকরণ স্বপ্নের যন্ত্র ধরে ভূপতিত হয়েছে।
অন্যথা করে লাভ করেছে একটি স্মৃতিফল,
একটি- স্মৃতিফল।


মোহস্রোতের উত্তালতায় ভেসে গিয়েছে যে শুভ্র আঁচল
ভেসে গিয়েছে যে কৃষ্ণকেশ
অনিন্দনীয় ভেসে উঠেছে সে মুখশ্রী,
অজস্র অজৈব ঝর্ণাস্রোত বক্ষস্থ করে-
সুদৃড়গাঁথুনি অটল পাহাড়শ্রেণীর মতো দাঁড়িয়েছে
যেন সদ্যমৃত কোনো কবিতাচক্রের রোমাঞ্চিতা খেলা করছে সে হৃদয়ে।
প্রজাপতির রঙিন ডানায় ভারী হয়ে-
উড়ে যেতে চেয়েছে ফুলে ফুলে,
গাঢ়তর মেহেদীর রঙে রক্তিমা সে হাত
হাতে হাত মিলিয়ে রাশিরাশি বালুকাময় পথচলা
আর অল্প অল্প পদস্খলন।
সবুজ পুস্পবৃক্ষে ছাওয়ানো পথ
দু'টি মানুষী ছায়া সবুজে সবুজে মিশে গিয়ে একাক্ষর,
ছায়ার পথে লজ্জালু সে মুখকমল যেন প্রগাঢ় ছায়ারাগী।
শিউলিতলায় শিউলির ভাঁজে শিশিরবিন্দুরা যেমন খেলা করে
তেমনি লাল-গোলাপি আবরণের খেলা সে কপোলে, ওষ্ঠদ্বয়ে, চোখে..... !
চৌদিকে জলাবর্ত পাহাড়চূড়ার মতো তীক্ষ্ণ দু'টি চোখ
যেন শুকনো মড়মড়ে বৃক্ষপত্রে টলল বৃষ্টিজল;
একটি মোহকর রঙিন আবেদন!
দু'হাতে হালকা পালকের মতো সে অপস্রিয়মাণ মুখখানা তোলে-
তৃষ্ণার্ত মাছরাঙা পাখায় ভর করে-
ওষ্ঠযুগল ভিজিয়ে নিলো লাল-গোলাপি আবরণে।


অন্যথা করে সে লাভ করেছে একটি স্মৃতিফল,
একটি- স্মৃতিফল!