পূর্ব দিকে রেল লাইন। এরপরে বিস্তৃত চা বাগান যারপর পাহাড় ও ভারতের রাষ্ট্রসীমা। পশ্চিমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। উত্তরে আর দক্ষিণে জনবসতি তবে হালকা। আরো রয়েছে মিল-ফেক্টরী। গ্রামটি মূলত পাহাড়ি ঢালু ভূমিতে ঠাই পেয়েছে। নাম "করড়া"। প্রশাসনিক মানচিত্রে বৃহত্তর সিলেটের হবিগঞ্জ জেলায় এর স্থান। সবুজ চা গাছের গন্ধ, পাহড়ি হড়িয়ালী এবং শিল্প কারখানার যান্ত্রিকতায় এক অদ্ভুত রকমের ভিন্ন মানের জীবনযাত্রা এখানে। ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩খ্রিঃ রোজ শুক্রবার এই নগন্য মানুষটি "করড়া" গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা ও মা গৃহিনী। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় অর্থাৎ মা-বাবার প্রথম সন্তান তিনি। বাবার চাকুরির সুবাদে শৈশব কেটেছে নিজ গ্রামের বাহিরে। বিজ্ঞান শাখা থেকে ১ম বিভাগ প্রাপ্ত হয়ে এস.এস.সি পাশ করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০০ সালে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে ১ম বিভাগ প্রাপ্ত হয়ে এইচ.এস.সি পাশ করার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে স্বনামধন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে যথাক্রমে ২০০৩ ও ২০০৪ সালে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ইংরেজি সাহিত্যে পড়ালেখা করলেও বাংলা সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ শৈশব থেকেই। চেয়েছিলেন পড়াশোনা করবেন বাংলা সাহিত্যে কিন্তু পরিবারের চাপের মুখে তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীনেই তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যে অধ্যয়নরত আরেক কলাপ্রেমীকে অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে বরন করেন। বর্তমানে তিনি "বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড" এ কর্মরত আছেন। শিক্ষিকা স্ত্রী ও দুই পুত্র-কন্যাসহ তার সংসারস্বর্গ। সৃজনশীল কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই তার অধিক পছন্দ। নীল তার প্রিয় রং। গোধূলী তার প্রিয় সময়। খেলার দিক থেকে ক্রিকেট। অবসর সময়ে দেশী-বিদেশী সিনামা দেখতে ও বই পড়তে তিনি খুব ভালবাসেন। এ পর্যন্ত তিনি ১২০০ এর অধিক কবিতা রচনা করেছেন। উপন্যাস লিখেছেন সাতটি। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় তিনি তার সকল উপন্যাস এর পান্ডুলিপি হারিয়ে ফেলেন। কুমিল্লা জেলার স্থানিয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে তার লেখা কবিতা ও প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। ২০১৭ সালের অমর একুশে বইমেলায় বাংলার কবিতা প্রকাশন এর ব্যানারে তাঁর "রাত জাগানিয়া" কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। বহুবার তিনি নিজ কবিতা পাঠ (আবৃতি) করে সমাদৃত ও পুরস্কৃত হয়েছেন। গীটার বাজানো তার প্রিয় শখের একটি।