অঞ্জনা থাকত, মোহনবাগান লেনে
পেছনের মাঠে জয় খেলত
সন্ধ্যে হওয়ার আগে
পাঁচিলটা টপকে
চুপি চুপি উঁকি মেরে দেখত ...


অন্তরা থাকত, লালকুঠি সীমানায়
নীলু তাও টফি নিয়ে ছুটত
যতই মিথ্যে হাসো
তুমি ঠিকই ভালবাসো
নীলু শুধু একা একা ভাবত ...


ল্যাঙড়ার বাগানে, মিতাদের বাড়িতে
চিরকুটে প্রেম লিখে ছুঁড়ত
সন্ধ্যে হওয়ার শেষে
ভুল করে ভালবেসে
তোতোনটা মাতলামি করত ...


মধুটাও বিকেলে,টোল ফেলা হাসিতে
ও.টি পাড়ার বুকে ঘুরত
কোনো কোনো দাদাদের
বুকের আগুন হয়ে
একা একাই নাকি পুড়ত ...


এক ছিল অনামিকা, মুখে নিয়ে অহমিকা
মানিক পাড়ার কোনে থাকত
বাপিদার প্রেমে পড়ে
রাত রাত জেগে শেষে
পালানোর মতলবও আঁটত ...


সাহেবপাড়ার প্রাণ, দেবলীনা দত্ত
ছোটকার হাত ধরে টানত
কখন একলা ফেলে
প্রবাসে রওয়ানা হল
ছোটকাটা কখনও কি তা জানত ...


আর ছিল সীমা সেন, শহরের সুন্দরী
সক্কলে সুচিত্রা ডাকত
গ্লুকোমায় বাবুদাকে
হাসি মুখে ভালবেসে
একা একা বুকে ধরে রাখত ...


( বিশ্ব কবিতা দিবসে সকলের জন্য অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা ৷ প্রেম থাকুক কবিতাও থাকুক কাছাকাছি ... পাশাপাশি )