প্রিয়দর্শিনী প্রবাসিনী, বন্দেমাতরম্ !
                                       স্বাধীনতা দিবসের সকালে তোমার পাঠানো শিশুদের ছবিগুলো দেখলাম ৷ সবগুলোই আমাদের তেরঙ্গায় রাঙানো ৷ মনটা সত্যি সত্যি ভাল হয়ে গেল ৷
গত বছর রিও অলিম্পিকে আমাদের মেয়ে দীপা কর্মকারের জীবনপণ ক'রে সেরা হওয়ার লড়াই তুমি নিশ্চিত দেখেছিলে ৷ অল্পের জন্য সেরা তিনে যাওয়া হয়নি দীপার ৷
সে দিন দেখছিলাম আর ভাবছিলাম ৷ সুউচ্চ হিমালয়ের কোলে হারিয়ে যাওয়া আমাদের
আরেক নিডর মেয়ে, ছন্দা গায়েনের কথা ৷
জীবনকে হেলায় তুচ্ছ করে তার আসমানকে জমিনে ছোঁয়ার লড়াই ৷ বজ্রকঠীন তাদের আত্মবিশ্বাসের লড়াই ৷ অতি সাধারণ এক একটি মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার আশ্চর্য সব রূপকথার লড়াই ৷
এরপর লর্ডসের মাঠ ! ক্রিকেট বিশ্বকাপ তুমিও দেখেছ ৷ ঝুলন চাকদহ এক্সপ্রেস, কীভাবে নিজেকে বারবার অতিক্রম করে গেছে তা বল !
ছন্দা ফিরে আসেনি ৷ যারা ফিরেছে, তাদের খালি হাত প্রায় ৷ কোনো এক (মহিলা)
কলামনিস্ট্ তীর্যক মন্তব্য করবে, করুক !
এই পোড়ার দেশে সোনার ফসল যে ফলতে পারে, এবার তা বিশ্বাস হয়েছে তো !
ব্যাবসা না দিলে রাষ্ট্রের সাহায্য পাওয়া যায় না -এই ধারণার অবসান হোক ৷ গোটা দুনিয়া জানুক ওরা এসে গেছে শাসনে ৷
আমি নিশ্চিত, কাঁটা তারে ঘেরা অভাগা এই দেশ একদিন বসবেই, বসবে শ্রেষ্ঠ আসনে ৷


খুব ভালো থেকো ৷ যত তাড়াতাড়ি পার দেশে ফিরে এস ৷ সীমান্তের সব অনাথ শিশুদের নিয়ে, বাংলার মাটি, দেশের মাটিতে তেরঙ্গার ছবি এঁকো ৷