পুকুর, শালিক, মাছরাঙার কাছে আবার ফিরব।
ফিরতেই হবে নিজের মতো করে,
জীবন আসলে রাস্তায় বসে থাকা সাড়ে পাঁচশো দিন
মমতাময়ী ভাবে ছাতু দিয়ে সব ঢেকে দেবে সংসারে।

কোটি কোটি টাকা প্রলভন আর দান ক্ষয়রাতি
ভেবেই নিয়েছে এভাবেই দিন গুজরান সব,
মানুষের স্তবে মার্কসবাদও লন্ডভন্ড
কংগ্রেসের ১৮৮৫ এখন কেবলই শব।

মিথ্যার উপর ক্ষমতা আর আরাম ভোগীর মাথা,
চাটা বুদ্ধিজীবীদের জিভটা বেশ লম্বা,
কৃষ্ণার্জুন জেলে থেকেও বলে
কয়লা তো কেন্দ্রের, গাঁজা খেয়ে বলে হাম্বা হাম্বা।

এভাবে কত কাল চুপ করে কান্না চোখে
দুগ্গা আসবে এই প্যান্ডেলের থিমে,
মানুষ এখন ইলিশ খেয়েও রোজ
যায় লোক দেখাতে, হার্ট অ্যাটাকের জিমে।

লোক দেখানো বাহার, মহড়া, উন্মাদনা,
কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন
প্রহশন আর লুটে খাওয়া মদ আর জ্বালানীর কর
সরকার মজায় লুটছে সাধারণকে
মধ্যবিত্তের নেই শিরদাঁড়া, সেই স্বর।

ছবি আঁকতে বা লেখা না পারলেও
কোটি কোটি রয়্যালটি পেয়ে যাওয়া চটি
চিন্তা নেই সময় তোমার জন্য তৈরি করেছে বটি।

মা নয়, আসলে অসুরের ছদ্মবেশে
আমাদের এই বাংলায় এসে
লুটে খাচ্ছিস মধ্যবিত্তের সমস্ত রক্ত
আরে পাঁচশো টাকা আর শ্রী পেয়ে,
কেউ হবে না কোনদিন তোর ভক্ত।

তুই বলতেই হয়,
কারণ মুখোশ গরীবের বড্ড ক্লিশে চটি
সাধারণ মানুষ কাঁদছে, হাতে অন্নহীন বাটি,

খাদ্য নেই, পাউরুটি কিনে খাবার টাকাও শেষ
যতই বিশ্বায়নের নামে ছাতা পরাও রঙিন
আসলে ধূসর এখন ভারত বর্ষের মতো দেশ।

ওদিকে কমলা, এদিকে ঘাস নিয়ে আর কতদিন বাঁচব!
বিকল্পহীন প্রতিবাদ চাই আর কত কাঁদব!

মধ্যবিত্তকে জাগতেই হবে,
এসব ভুল গানের সুর, আঁকার বিরুদ্ধে।
আর কত সাধারণের টাকা নিয়ে
লুম্পেনরা সাধু হয়ে ঘুরবে,
এই রাজনীতি বড্ড নোংরা, অন্ধকারের বিষ
আমরা শেষ দেখেই ছাড়ব, সাধারণ জনগণ
জাগো গণতন্ত্র অহরনিশ,
পুজোর আবহে ভুলে যেও না
রানি পাগল আর কমলা রাজা বুদ্ধিমান, ধর্ম মুখী
ভারতবাসী কোন দিক থেকেই নেই সুখী।

রঙিন চশমাতে না ভুলে প্রতিজ্ঞার প্রস্তুতি চাই ঘরে ঘরে
লোভী, গণতন্ত্রকে নষ্ট করার কীটগুলো এবার যেন মরে।