বাবা হেঁটে যায় বাজারের সিমেন্ট রেখা ধরে
বোঝা রয়েছে বাকি, এই সংসারে।
বাবার হাতে ব্যাগ, বাড়ি ফিরে গিন্নির উবাচ কথন
ভালোবাসা এমনই, বুড়োয় কথার যতন।
বাবার চোখে জল, চেয়ারে টিভির কথা
দিন কেটে যায় কাক খেলায়, নীরাবতা।
এখানে নদী কম, এখানে গরম লাগা দিন
বাবা চোখ কষ্ট চাপে, জীবন বড় কঠিন।
মেয়ের জন্য চোখে জল, মেয়ে পরের ঘর
বাবা এমনই হয়, আদরের গাছ সংসার।
মেয়ে বড় হোক, অনেক নাম হোক তার
একদিন সরকারি কর্মচারি, ফেলেছে শাটার।
তবু মনের মধ্যে মুড়ি আর ডিএ বেঁচে
আবার যাবে শহীন মিনার, বুকপেকেটে সেজে।
বাবার হাতে ব্যাগ, ইলিশ চাইছে মন
বৃষ্টি অল্প হলেও ভোলেনি পেটুক যাপন।


ইলিশের অনেক দাম, বাটা পোনাতেই মাত
কবিতা যেমনই হোক, সুদিনের সাথে মুলাকাত।
আদায় করবই ডিএ, কোন অণুপ্রেরণা চাই না
চাকরি পাক সত্য শিক্ষক, হোক সঠিক মাইনা।
চাকরি মানেই ঘুষ নয়, চৌত্রিশ বছরই সত্য
আর কোন ফুল নয়, মানুষ চায় কাস্তে হাঁতুড়ির পথ্য।


কেউ ভালো নয়, তবু কেউ তো ভালো
দ্বিকথন নয়, শ্রমজীবীরাই সত্য আলো।
মসনদে যে থাকে, সেই চালাকি করে
তবু থাকে সত্য কথা, লালবাড়ির স্বরে।
শিক্ষা আছে, বিদ্যা আছে, ফুটুনি কম
বিরিয়ানি নয়, এখনও জেগে বিড়ির দম।


রাস্তায় নামতেই হবে, পাঁচশো টাকা থাকব না চুপ
অনুপ্রেরণা হোক রবি ঠাকুর, লাল ঝান্ডাই অপরূপ।
বাবার হাতে ব্যাগ, মেয়ে এবার ফিরে আয় বাংলায়
বৃদ্ধ মা তোর, কেমন করে এ সংসার একা সামলায়
বিয়ে সংসার মা, তোর হোক, সেটুকুই তো চাই
এই বাংলায় চাকরি কর, তবু তো তোকে কাছে পাই।


মা, একটু তাকিয়ে দেখ, বৃদ্ধ কমরেডের চোখে ছবি
এখনও তোর নাচের তালে, জেগেছে সকাল ভৈরবী।
আবার জাগবে বাংলা, নন্দনে হবে শিল্প যাপন
তোর সাথে ঝগড়া না করলে, বুঝি না আপন।


বাবার হাতে ব্যাগ, ভালো ভালো বাজার করি না আর
জীবন যেমনই হোক, শেষ কথা আমাদের নিজ পরিবার।