বৃষ্টি রাতের ঠান্ডায়
ঘুমের চাদরে চাঁদ ও শুকতারা আসে না।
গভীর ঘুম অপেক্ষা করে
জেগে থাকার ঐশ্বর্য পেরিয়ে।
বৃষ্টি চোখ নিয়ে
নারীদল,
অবোধ্য জীবনকে
খুঁজে নিতে চায়
এসব রাতের ঠান্ডায়।
একটু তন্দ্রা আসে।
নারীদের এত চিন্তা,
সমস্ত কিছু ব্যালেন্স করে রাখতে হয় সংসারে।


পুরুষ কলম এসব কখনই
বুঝতে পারবে না, এ জীবনে।


বৃষ্টি রাতের ঠান্ডায়
নারী চোখ
শান্তির এক বনাঞ্চলে
সুগন্ধী ফুলের সুবাসে
জেগে ওঠে স্বপ্নের ভিতর।


তখন তন্দ্রা নয়, মায় নয়
এক রূপকথার নারী
এগিয়ে যায়
নদীর কাছাকাছি
স্রোতস্বিনী শব্দের কাছে।


শুকতারা আর ধ্রুবতারা
তখন গল্প করছে চাঁদের সাথে।


আলো কমতে থাকে জলাশয়ের।
মনে হয় গ্রহণ লেগেছে,
ঘুম ভেঙে যায়।


নারী তাকিয়ে দ্যাখে
স্বামীর গায়ে চাদর নেই।


কাল সকালেই কাশি শুরু করবে।


স্বামী, সন্তান আর বৃত্ত
এসব পেরিয়ে যেতেই তো চেয়ে নারী।


রাধা থেকে দ্রৌপদী সকলেই
ভুল বানান জেনেও
ঠিক করতে পারেনি।


মেঘ পরিণত হয়েছে নিম্নচাপে
নিম্নচাপ থেকেই সাইক্লোন,
কোথাও ভূমিকম্প, উত্তপ্ত পৃথ্বী।


ঘুম আসছে,
এখন রাত তিনটে কুড়ি
ঘুম আসছে,
এরপর...


কখন যে সকাল হয়ে গ্যাছে,
চায়ের কাপ হাতে
পুরুষ হাসি বলে উঠছে
কাল রাতের ঘুমটা...
আজ আর অফিস যাব না।


বৃষ্টি রাতের ঠান্ডা
বরফে আবৃত্ত করেছে কলকাতা,
কাশ্মীর হয়ে উঠছে বাড়ির অন্দরমহল।